ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় নিখোঁজের দুইদিন পর নদী থেকে কলেজছাত্র মাহমুদুল ইসলাম বিশালের (২১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে বলভদ্র নদীর উপজেলার ফান্দাউকের সেতুর কাছে চরের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। 

আরো পড়ুন:

রাবি উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় জাবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

মাহমুদুল ইসলাম উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে পড়তেন। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানভীর আহমেদ বলেন, ‘‘মাহমুদুল ইসলাম গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে ওষুধ আনার কথা বলে বাড়ি থেকে ফান্দাউক বাজারে যায়। অনেক রাত পর্যন্ত তিনি বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ ঘটনায় রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নাসিরনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।’’

আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরিববারের বরাত দিয়ে পুলিশের পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘‘বিশাল শারীরিক ও মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। তবে কীভাবে কী ঘটেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।’’

মাহমুদুল আত্মহত্যা করতে পারেন বলেও ধারণা করছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। 
 

ঢাকা/পলাশ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর ল ইসল ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জাবি প্রশাসনের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)  সম্পর্কে আমির হামজার বক্তব্য ‘আবাসিক হলগুলোতে সকালে মদ দিয়ে কুলি করা হত’ বর্ণনাটি অসত্য বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া এরূপ মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা

ভ্রাতৃত্ব ও অসাম্প্রদায়িকতায় জবিতে মহালয়া উৎসব

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ চালু হয় এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে এই বিভাগে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। সুতরাং আমির হামজা জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হওয়ার যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা সত্য নয়।

পাশাপাশি আবাসিক হলগুলোতে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করার প্রত্যক্ষ করার বর্ণনাটিও তার মনগড়া, যা অসত্য। প্রমাণসহ এমন নজির প্রশাসনের কাছে নেই। ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটানোর তার বক্তব্যটি সত্যের অপলাপ মাত্র বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষাথীর্দের আন্তঃসম্পর্কের বন্ধন সব সময়ই প্রশংসনীয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। জাবি প্রশাসন আমির হামজাকে এ ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদানে সতর্ক ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

এর আগে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জনাব আমির হামজার একটি বক্তব্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এবং আবাসিক হলে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন।

তিনি জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটায়। 

ঢাকা/আহসান
 

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জাবি প্রশাসনের
  • আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
  • চোরাই গরু-ছাগল ভর্তি ট্রাক ফেলে পালিয়েছে চোর চক্র
  • ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপসহ অক্সফোর্ডে পিএইচডির সুযোগ জাবি ছাত্রীর