শোকজের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করার দাবি ইবি অধ্যাপকের
Published: 22nd, September 2025 GMT
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামকে চাকরিচ্যুত করেছে প্রশাসন। তবে শোকজ বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে দাবি ওই অধ্যাপকের।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তার চাকরিচ্যুতির বিষয়টি জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় জাবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বেরোবির ৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
তবে অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “আমি নিজেও জানি না কোন কারণে অনুমতিবিহীন ছুটি বলছে। আমি ৫ বছরের লিভ বন্ড দিয়ে গবেষণার জন্য আমেরিকায় আসলাম। ১ বছর ছুটি ভোগের পর দ্বিতীয় বছরের ৩ মাস অতিক্রান্ত হলে বেআইনিভাবে প্রশাসন আমাকে গত বছর ৩ নভেম্বর ছুটি বাতিল করে যোগদান করতে বলে। আমি পুনরায় দরখাস্ত করলে সে বিষয়ে চলতি বছর ১৮ মার্চ চিঠি পাই যে, আমার ছুটির আবেদন মঞ্জুর হয়নি এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।”
তিনি আরো বলেন, “কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বা তদন্ত কমিটি আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি আশা করেছিলাম কর্তৃপক্ষ আমাকে চিঠি দিবে এবং যুক্তিসঙ্গত সময় দেবে। পরবর্তীতে গত ২৮ আগস্ট পুনঃবিবেচনার আবেদন দেই এবং ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটা বিবেচনা করেনি। আমি এখন পর্যন্ত ইউএসেতে শিক্ষা ও গবেষণায় কর্মরত আছি।”
ড. জহুরুল বলেন, “প্রশাসনের পত্রটিও অসঙ্গতিপূর্ণ। তারা বলছে, ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৯৭তম স্ট্যান্ডিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর পত্রে তাকে যোগদান করতে বলা হয়। এটা কি ঘোড়ার আগে গাড়ি নয়। ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখের সিদ্ধান্ত তো আর নভেম্বর মাসের ১১ তারিখে জানানো যায় না! তাই না?”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত চ কর চ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
পণ্য রপ্তানিতে বিলিয়ন ডলারের কাছে ইয়াংওয়ান, অর্ধবিলিয়ন ছাড়িয়ে হা-মীম, মণ্ডল ও ডিবিএল
বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে শীর্ষ অবস্থানটি দক্ষিণ কোরীয় ব্যবসায়ী কিহাক সাংয়ের মালিকানাধীন ইয়াংওয়ান করপোরেশনের। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশীয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের মালিকানাধীন হা-মীম গ্রুপ।
ইয়াংওয়ান ও হা-মীম ছাড়াও রপ্তানিতে সেরা দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা বাকি আট শিল্প গ্রুপ হচ্ছে মণ্ডল গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, অনন্ত, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ, পলমল গ্রুপ, প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ ও মাইক্রো ফাইবার গ্রুপ।
সেরা দশে থাকা নয়টি শিল্প গ্রুপের রপ্তানির ৯০ থেকে ১০০ শতাংশই তৈরি পোশাক। এই তালিকায় ব্যতিক্রম শুধু প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে শুরু করে জুতা, আসবাব, প্লাস্টিক ও হালকা প্রকৌশল পণ্য—প্রায় সবই আছে শিল্প গ্রুপটির রপ্তানির তালিকায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রপ্তানি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে প্রথম আলো বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের শীর্ষ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর এই তালিকা তৈরি করেছে। এনবিআরের পরিসংখ্যান থেকে স্থানীয় বা প্রচ্ছন্ন রপ্তানি ও নমুনা রপ্তানি বাদ দিয়ে প্রকৃত রপ্তানির হিসাব নেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশ থেকে মোট ৪৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ দশ গ্রুপের সম্মিলিত রপ্তানির পরিমাণ ৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ৫২৫ কোটি মার্কিন ডলার, যা মোট রপ্তানির ১১ শতাংশ।
গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক শিল্পগোষ্ঠী