বিসিবি নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। গতকাল রাজধানীর ফারস্ হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল অভিযোগ করেছিলেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকেও নাকি বিসিবির নির্বাচন প্রভাবিত করা চেষ্টা করা হচ্ছে। তামিম নিজেও এই নির্বাচনে একজন প্রার্থী। সরাসরি নাম না বললেও তামিমের ইঙ্গিতটা ছিল যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার দিকে।

সেই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়েই গতকাল রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া দাবি করেছেন, নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। উল্টো তিনি বলেছেন, নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কিছু বিষয়ে তামিমকে সামনে রেখে সুবিধা আদায় করতে চাইছে একটা পক্ষ। তামিমকে সামনে রেখে সন্ত্রাসী কার্যক্রম হচ্ছে বলেও দাবি আসিফ মাহমুদের।

আরও পড়ুনতাহলে কি বিসিবি সভাপতি পদে তামিমের সঙ্গে লড়বেন আমিনুল০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গতকাল জেলা, বিভাগ ও ক্লাব সংগঠকদের একটি পক্ষের যে সংবাদ সম্মেলনে তামিম উপস্থিত ছিলেন, সেখান থেকেই অভিযোগ উঠেছে, সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভিন্ন রকম চিঠি দিয়ে বিসিবির নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

তাস খেলার সময় পুলিশ আসার খবরে ডোবায় লাফ, পরে লাশ উদ্ধার

বন্ধুরা মিলে তাস খেলছিলেন। কেউ একজন তাঁদের বলেন, পুলিশ আসছে। এটি শুনেই পার্শ্ববর্তী ডোবায় লাফ দেন মাসুদ রানা (৩৫) নামের এক যুবক। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আজ সোমবার দুপুরে নগরের বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর ২ নম্বর সাইট থেকে লাশটি উদ্ধার করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার মো. মাঈনুদ্দীন জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সকালে একটি ডুবুরি টিম ওই জলাশয়ে তল্লাশি শুরু করে। দুপুরের দিকে প্রায় ২০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রোববার বিকেল থেকে জলাশয়ের ধারে বসে তাস খেলছিলেন মাসুদসহ স্থানীয় কয়েকজন। সন্ধ্যার পর পুলিশ আসার খবর পেয়ে ৭ থেকে ৮ জন একসঙ্গে জলাশয়ে লাফ দেন। অন্যরা তীরে উঠতে পারলেও মাসুদ তলিয়ে যান।

জানতে চাইলে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের কোনো অভিযান সেখানে ছিল না। কেউ দুষ্টুমি করে তাঁদের ভয় দেখানোর জন্য পুলিশের কথা বলতে পারেন। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত মাসুদ পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ