নাসিক প্রশাসককে আমরা নাঃগঞ্জবাসী’র স্মারকলিপি পেশ
Published: 22nd, September 2025 GMT
কদম রসূল সেতু নির্মান কাজ চলমান রাখা সহ ১১ দফা দাবিতে নাসিক প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ এর নিকট আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর নেতৃবৃন্দ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্মারকলিপি পেশ করেন।
নাসিক প্রশাসক গভীর মনোযোগের সাথে দাবীগুলো শোনেন এবং দাবীগুলি যৌক্তিক বলে মত প্রকাশ করে স্মারকলিপি গ্রহনপূর্বক দাবীগুলো দ্রুত সমাধানে সচেষ্ট হবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ নবাগত প্রশাসক মহোদয়কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং নারায়ণগঞ্জের নাগরিক সমস্যা সমাধান ও জন কল্যাণে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
জানাগেছে, বেলা ১১টায় আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুর উদ্দিন আহম্মেদ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কদম রসূল সেতু নির্মান কাজ শুরু এবং মেট্রো রেল প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জ সদর ও মদনপুরকে সংযুক্ত করা সহ শহরের যানজট নিরসন ও বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নিম্নে বর্ণিত ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নে স্মারকলিপি পেশ করেন।
স্মারকলিপি দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন মন্টু, সহ সভাপতি কুতুবউদ্দিন আহম্মদ, হাজী মোঃ রমজান উল রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক-১ মাহমুদ হোসেন, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হাজী লোকমান আহম্মদ, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম খান, সাংবাদিক আব্দুল লতিফ রানা প্রমুখ।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কদম রসূল সেতু নির্মান কাজ চলমান রেখে সেতুর পশ্চিমাংশে র্যাম্প/ল্যান্ডিং পয়েন্টটি প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উত্তর দিকে আরেকটি র্যাম্প/ল্যান্ডিং পয়েন্ট সংযোগের দাবী জানান। তাদের ১১ দফা দাবি হচ্ছে, বন্দরবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে কদম রসুল সেতুর প্রয়োজনীয় র্যাম্প পরিবর্তন করে দ্রুত নির্মান কাজ শুরু ও চলমাল রাখা। মেট্রো রেল গজঞ-২ প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জ সদর ও মদনপুরকে সংযুক্ত করে প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহন করা।
রাসেল পার্ক, জল্লারপাড় লেক ও বাবুরাইল খালের পানিতে ভাসমান কচুরীপানা ও ময়লা আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করে তা প্রতি মাসে অন্তত: দুই বার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। বঙ্গবন্ধু রোড সহ শহরের সকল সড়ক বাতি এবং রাসেল পার্ক, জল্লারপাড় লেক ও বাবুরাইল লেকের চতুর্পাশে স্থাপিত নিশ্চল সড়ক বাতিগুলি ধারাবাহিক ভাবে সচল রাখা। মীরজুমলা রোড, সিরাজদ্দৌল্লা রোড ও শায়েস্তা খাঁন রোড সম্পূর্ণ হকার মুক্ত করে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখা।
২নং গেইট এর মোড় দিয়ে উল্টো পথে পশ্চিমে আলী আহাম্মদ চুনকা সড়কে অবৈধ ভাবে যান চলাচল প্রবেশ বন্ধ করা। বঙ্গবন্ধু সড়কের গলাচিপা মোড় থেকে উল্টোপথে ডানদিকে তথা দক্ষিনে যান চলাচল বন্ধ করা। ২নং গেইট দিয়ে দক্ষিণে বঙ্গবন্ধু সড়কের বিভাজকের দুই পার্শ্বেই গাড়ি চলাচলা নিশ্চিত করা।
২নং রেল গেইট থেকে বাস ষ্টোপেজ অপসারণ এবং এসএস রোড (চেম্বার রোড) থেকে বাম দিকে কোনাকুনি (মুক্তিযোদ্ধা স্তম্ভ সংলগ্ন) বঙ্গবন্ধু সড়কে যাওয়ার ফুটপাত ও রাস্তাটি হকার মুক্ত করে পথচারী ও যান চলাচলে উন্মুক্ত করা।
২নং গেইট হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন দেওভোগ অঞ্চলে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পথ তৈরি করা। ২নং গেইট তথা আলমাস পয়েন্ট থেকে উত্তরে ২নং রেল গেইট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তাটি ১০/১৫ ফুট প্রশস্ত করা।
চাষাড়া মোড়ের সোনালী ব্যাংকের সম্মুখে বঙ্গবন্ধু সড়কের পূর্ব পার্শ্বটি যান চলাচলে উন্মুক্ত রাখতে অবৈধ মিশুক ও সিএনজি ষ্টেশন অপসারন করা। এবং ২নং রেল গেইট থেকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে চাষাড়া পর্যন্ত অস্থায়ী রাস্তাটি সংস্কার ও যান চলাচলে উন্মুক্ত করা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স ম রকল প ম ক ত কর স গঠন র সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
শারদীয় দুর্গাপূজায় কোন নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় কোন নিরাপত্তার ঝুকি নাই। বিগত সময়ের চেয়ে এবার আরো বেশী সম্প্রতির বন্ধন অটুট থাকবে এবং উৎবসমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রামকৃষ্ণ মিশনের পূজা মন্ডপ প্রদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,সারাদেশে ৩৩ হাজার মন্ডবে শারদীয় দুর্গা পুজোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। আনসার,পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। এ সময় তিনি পূজার সার্বিক নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, নারায়ণগঞ্জে দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের শংকা নাই। এই পূজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সকল মন্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এবার পূজা উৎসবমুখর হবে। নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নাই। নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি সবসময়ই ছিলো। এবছর সম্প্রিতি আরও ভালো হয়েছে। দেশে এবছর ৩৩ হাজার পূজামন্ডপ রয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে পূজা উদযাপন কমিটি ৭ জন করে ভলেন্টিয়ার নিয়োগ দিবে, আনসার সদস্য থাকবে ৮জন করে। এছাড়াও পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন, র্যাব-১১ অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা প্রবীর কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারন সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, আমলাপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবির কুমার সাহাসহ স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে আমলাপাড়া পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে সার্কিট হাউজে জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা।