বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় ইবির ২ শিক্ষক
Published: 22nd, September 2025 GMT
বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় বার্ষিক গবেষণা মূল্যায়ন ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুইজন শিক্ষক।
তারা হলেন- বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান।
আরো পড়ুন:
রাবি উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
শোকজের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করার দাবি ইবি অধ্যাপকের
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) আমেরিকার বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মেটা রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টারের (মেট্রিকস) এর গবেষক জন পিএ ইয়োনিডিস গবেষণা প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে এলসিভিয়ার জার্নালে এই তালিকা প্রকাশ করেন।
এতে গবেষকদের প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন ও অন্যান্য সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে সেরা গবেষকদের তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। ওই প্রতিবেদনটিতে বিজ্ঞানীদের ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র এবং ১৭৪টি উপ-ক্ষেত্রে শ্রেণিবদ্ধ করে এ তালিকায় দুটি ধাপে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি হল পুরো পেশাগত জীবনের ওপর, আরেকটি শুধু এক বছরের গবেষণা কর্মের ওপর।
গুগল স্কলারের তথ্য অনুযায়ী ড.
এ অর্জনের বিষয়ে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, “বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গা থেকে আমার নাম আসাটা আমার জন্য সত্যিই অনেক আনন্দের ও গর্বের বিষয়। একইসঙ্গে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এবং আমার বায়োটেকনোলজি বিভাগের জন্যও আনন্দের বলেই আমি মনে করি। এটি কেবল আমার একার অর্জন নয়, আমার সহকর্মী এবং শিক্ষার্থীদেরও অর্জন। আমি যেন এ সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি এজন্য সবার দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।”
সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান বলেন, “স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র) এবং এলসেভিয়ার কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পাওয়া শুধু আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি আমার বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের জন্য একটি সম্মানের বিষয়। এটি প্রমাণ করে যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ থেকেও বিশ্বমানের গবেষণা করা সম্ভব।”
তিনি বলেন, “এ স্বীকৃতির জন্য আমি সর্বপ্রথম আমার আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি আমার পরিবার, সহকর্মী, গবেষণা সহযোগী এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে আরো উজ্জ্বলভাবে উপস্থাপন করতে ভবিষ্যতেও গবেষণা কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।”
স্ট্যানফোর্ড–এলসেভিয়ার টপ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকা হলো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এক মানদণ্ড, যেখানে গবেষকদের অসাধারণ উদ্ধৃতি প্রভাব এবং দীর্ঘমেয়াদি একাডেমিক অবদানকে গুরুত্ব দিয়ে স্থান দেওয়া হয়। এলসেভিয়ার প্রতিবছর প্রায় ২ হাজারের বেশি জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি এবং এর আর্কাইভে ৭০ লাখের বেশি প্রকাশনা রয়েছে।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন র জন য প রক শ এলস ভ সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর খিলক্ষেত থানার মস্তুল এলাকার ৩০০ ফুট সড়কে আজ শুক্রবার বিকেলে চলন্ত একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী এক যুবক মারা গেছেন। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। পথচারীরা রক্তাক্ত অবস্থায় বাইসাইকেল আরোহী অজ্ঞাত ওই যুবক ও তাঁর সহকর্মী মনির হোসেন মাতুব্বরকে (২৭) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অজ্ঞাত যুবককে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মনির হোসেনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
রাতে মনিরের ভগ্নিপতি কামাল হোসেন মাস্টার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে মনিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মনির স্যানিটারি মিস্ত্রি। আজ বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে মাস্তুল এলাকা থেকে কাজ শেষে মনির তাঁর সহকর্মীকে বাইসাইকেলে নিয়ে দুজন তাঁদের বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মস্তুল নামক এলাকায় ৩০০ ফুট সড়কে চলন্ত একটি মোটরসাইকেল তাঁদের বাইসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তাঁরা দুজন বাইসাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন। মনির হোসেন খিলক্ষেতের ডুমনি এলাকায় থাকেন।
রাতে যোগাযোগ করা হলে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় বাইসাইকেল আরোহী এক যুবক মারা গেছেন। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁর বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর হতে পারে।
খিলক্ষেত থানার সহকারী উপপরিদর্শক সাইদুল ইসলাম জানান, তিনি কুর্মিটোলা হাসপাতালে গিয়ে জেনেছেন মনির হোসেন ছাড়াও মোটরসাইকেলের দুই আরোহীকে ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।