ভাষা শেখানোর প্ল্যাটফর্ম ডুয়োলিঙ্গো চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নিজেদের ‘এআই ফার্স্ট’ প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করেছিল। তখন অনেকে ধারণা করেছিলেন, এআই ব্যবহারের ফলে প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে কর্মী ছাঁটাইয়ে পথে যাবে।

কিন্তু পাঁচ মাস পরও কোম্পানিটি একজন পূর্ণকালীন কর্মীকেও ছাঁটাই করেনি। বরং এআই ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের কর্মীদের কাজের গুণমান বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ডুয়োলিঙ্গোর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লুইস ভন আহন।

গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফাস্ট কোম্পানি ইনোভেশন ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এ বক্তৃতায় লুইস ভন আহন বলেন, ‘একই সংখ্যক কর্মী দিয়ে আমরা এখন একই সময়ে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি কনটেন্ট তৈরি করতে পারছি। এখনো মানুষের তত্ত্বাবধান প্রয়োজন হয়, যাতে কম্পিউটার সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।’

এআই ব্যবহারে বেড়েছে কনটেন্ট নির্মাণের গতি

ভন আহন জানান, এআই ব্যবহারের ফলে ডুয়োলিঙ্গোর প্রকৌশলীরা ভাষা, গণিত, সংগীত এবং দাবার মতো পাঠ অনেক দ্রুত তৈরি করতে পারছেন। এপ্রিলের ঘোষণার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে চুক্তিভিত্তিক কর্মী (কন্ট্রাক্টর) কমিয়ে আনছে। তবে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনো একজন পূর্ণকালীন কর্মীকেও ছাঁটাই করা হয়নি। বরং গত এপ্রিলের পর থেকে নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ডুয়োলিঙ্গোর সিইও জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য টাকা বাঁচানো বা মানব কর্মীদের প্রতিস্থাপন নয়, আমাদের লক্ষ্য হলো সামান্য সংখ্যক কর্মী নিয়ে অনেক বেশি কাজ করা।’

আরও পড়ুনপাঁচ বছর ধরে কেন আটকে আছে মাউশির ৬১০ পদে নিয়োগ৮ ঘণ্টা আগেএআই প্রকল্প এবং নতুন ফিচার

ডুয়োলিঙ্গোর বেশ কিছু এআইভিত্তিক প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘লিলি’ (Lily) নামের একটি এআই এজেন্ট, যা ভিডিও কলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কথোপকথনের ভাষা অনুশীলনে সাহায্য করে। আরেকটি সফল প্রকল্প হলো দাবা শেখানোর পাঠ। এটি মূলত একজন ডিজাইনার এবং প্রোডাক্ট ম্যানেজারের ‘ভাইব কোডিং’ পরীক্ষামূলক এআই প্রজেক্ট থেকে শুরু হয়েছিল।

অর্থনৈতিক লাভ

এআই ব্যবহারের ইতিবাচক ফলাফল ইতিমধ্যেই আর্থিক খাতেও দেখা যাচ্ছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত ডুয়োলিঙ্গোর বাজারমূল্য ছিল ১২ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আগস্ট মাসে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৫ সালের থেকে ১ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার বেশি আয় করেছে।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকেরা ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে পাচ্ছেন উচ্চতর স্কেল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫এআই-এ চাকরি হারানোর ভয়

যদিও ডুয়োলিঙ্গো এআই ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ধরে রেখেছে, প্রযুক্তি খাতের অনেক বড় কোম্পানি বিপরীত পথে হেঁটেছে। সেলসফোর্স (Salesforce) এবং ক্রাউডস্ট্রাইক (CrowdStrike)-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এআই ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ালেও একই সঙ্গে ব্যয় কমাতে কর্মী ছাঁটাই করেছে।

এআই সমর্থকেরা যেমন বিল গেটস এবং ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান দাবি করেন, এআই কর্মীদের একঘেয়ে কাজ থেকে মুক্ত করে তাদের সৃজনশীল কাজে মনোযোগী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু বাস্তবে অনেক প্রতিষ্ঠানে এআই ব্যবহারের পরই বড় আকারের ছাঁটাই হয়েছে।

আরও পড়ুনখাদ্য অধিদপ্তরের ৩য় পর্যায়ে বাছাই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ

যাঁরা নিজেদের বস হতে চান, তাঁদের জন্য স্মার্টার বাই সিএনবিসি মেক ইট (Smarter by CNBC Make It) একটি নতুন অনলাইন কোর্স চালু করেছে, ‘হাউ টু স্টার্ট এ বিজনেস: ফর ফার্স্ট-টাইম ফাউন্ডারস’।

কোর্সের নিয়মিত মূল্য ১২৭ ডলার (কর ব্যতীত)। ১৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত EARLYBIRD কুপন কোড ব্যবহার করলে ৩০ শতাংশ ছাড়ে কোর্সটি কেনা যাবে।

এ ছাড়া সিএনবিসি মেক ইট-এর নিউজলেটারে সাইনআপ করে কর্মজীবন, অর্থ ও ব্যক্তিগত সাফল্যের নানা টিপস পাওয়া যাবে এবং লিংকডইনের এক্সক্লুসিভ কমিউনিটিতে বিশেষজ্ঞ ও সহকর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগও রয়েছে।

আরও পড়ুনবেসরকারি ব্যাংকে চাকরি, ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এআই ব যবহ র র স প ট ম বর কর ম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক ‘অস্ত্র’ না হয়ে প্রভাবমুক্ত হোক পুলিশ

ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা—এই প্রবণতা স্বাধীনতার পর থেকেই দেখা গেছে। যখন যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের স্বার্থে পুলিশকে কাজে লাগিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের অনেক সদস্য রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়েছেন। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে দেশে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য স্বাধীন বা স্বায়ত্তশাসিত পুলিশ কমিশন গঠন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

‘পুলিশ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা: নাগরিক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্টজনদের আলোচনায় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশ গঠনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে। ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার আয়োজিত এই বৈঠকে আলোচকদের মধ্যে রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি পুলিশের বর্তমান ও সাবেক আইজিপি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আইনজীবীসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ছিলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান শেখ। তিনি বলেন, পুলিশের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করার জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত পুলিশ কমিশন প্রতিষ্ঠা করা উচিত। সাবেক ও বর্তমান বিচারপতি, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৯-১১ সদস্যের এই কমিশন হতে পারে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, চীন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে এমন কমিশন আছে।

সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৪০০ মানুষের বিপরীতে একজন পুলিশ থাকার কথা। বাংলাদেশে ৮৪৩ জনের বিপরীতে একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এমনকি এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়েও বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে। ভারতে ৬৬৭ জনের বিপরীতে একজন, পাকিস্তানে ৫৫২, থাইল্যান্ডে ২৯৭ এবং মালয়েশিয়ায় ৩১৩ জনের বিপরীতে একজন পুলিশ সদস্য আছেন।

বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম। তিনি বলেন, সব প্রতিষ্ঠানের আগে পুলিশ সংস্কার প্রয়োজন। রাষ্ট্রের উপস্থিতি প্রথমেই পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে শুরু হয়। অথচ যুগ যুগ ধরে পুলিশকে অপব্যবহার করা হয়েছে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় এই বাহিনীর যে ভূমিকা দেখা গেছে, সেটিও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের কারণেই ঘটেছে। দেশ পরিচালনার অংশ না হয়ে পুলিশ দল চালানোর জন্য কাজ করেছে। তখন যে দল ক্ষমতাসীন ছিল, তারা মনে করত পুলিশ তাদের দলেরই একটি বর্ধিত অংশ।

মাহ্‌ফুজ আনাম বলেন, কাজের স্বাধীনতা দিতে হবে পুলিশকে। রাজনৈতিক কারণে পুলিশকে যেন অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা না যায়, সেই সংস্কার করতে হবে। এ জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে পুলিশকে ব্যবহার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে যারাই সরকারের এসেছি, তারাই এই পুলিশকে বিনষ্ট করেছি। সবাই রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত বা শক্তিশালী করতে অথবা পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পুলিশকে ব্যবহার করেছি। এতে কমবেশি অসত্য কিছু নেই। কিন্তু পুলিশ ব্যবহৃত হয়েছে, এটাও সত্য। নিয়োগ থেকে শুরু করে পদোন্নতি পর্যন্ত সব জায়গায় যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে, সেই পুলিশ দিয়ে কী আশা করা যায়?’

জনমুখী পুলিশ করতে চাইলে কিছুটা স্বায়ত্তশাসন বা স্বাধীনতা দিতে হবে। বাহারুল আলম, পুলিশের মহাপরিদর্শক

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যত মামলা হয়েছে এবং মব ক্রাইসিস হয়েছে, এই দুটো জিনিস এই সরকার এবং জনগণের সবচেয়ে বেশি ড্যামেজ করেছে। একটি মামলায় দুই হাজার, পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাগুলো নিয়েছে পুলিশ।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি, যারাই সরকারে যাক, তাদের মধ্যে যেন এমন বদ্ধমূল ধারণা না থেকে যে আগামীবার তারা বিরোধী দলে যাবে না। বিরোধী দলে যাওয়ার মানসিকতা থাকলে রাষ্ট্রে সুশাসন জারি হবে। তাহলেই পুলিশ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হবে না। প্রশাসন স্বচ্ছভাবে কাজ করতে পারবে।’

পুলিশকে নির্যাতকের ভূমিকায় মানুষ আর দেখতে চায় না বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন। তিনি বলেন, জনবান্ধব করতে পুলিশকে নৈতিক প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের সময় পুলিশের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র থাকা উচিত নয় বলেও মনে করেন তিনি।

রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন দরকার

বৈঠকে হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, মামলার তদন্তে বিলম্বের অন্যতম কারণ ক্ষমতাসীনদের নির্দেশ পুলিশ পরিচালিত হয়। ধীরে চলার নির্দেশনা এলে পুলিশের তদন্তের গতিও কমে যায়। রাজনৈতিক প্রভাব ও হস্তক্ষেপের বাইরে আসতে হবে পুলিশকে। একই সঙ্গে পুলিশের নিয়োগ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার পাশাপাশি স্বচ্ছ হতে হবে।

স্বাধীন পুলিশ কমিশনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিরোধিতা করা হয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো কিছুই কার্যত কাজে আসবে না।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আরেকজন সদস্য ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিগত সময়ে পুলিশের মূল কর্তৃত্বের অধিকারী যাঁরা ছিলেন, তাঁরা এমন কোনো অপরাধ বাকি রাখেননি, যেটা অপরাধ বইয়ে নেই। এটা কেবল রাজনৈতিক কারণে হয়েছে—এমন ন্যায্যতা দেওয়ার সুযোগ নেই।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন শেষ সময় পর্যন্ত ঐকমত্য কমিশনে আলোচিত হয়নি। এর কারণ পরিষ্কার। রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক এবং পুলিশ নিজেই সেটি হতে দেয়নি। ক্ষমতাকে জবাবদিহির জায়গায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক শক্তি যেমন চায় না, তেমনি আমলাতন্ত্র এবং পুলিশও চায় না।

ক্ষমতা ধরে রাখার মানসিকতা

পুলিশ সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা সবচেয়ে বেশি দরকার বলে মনে করেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা। তিনি বৈঠকে বলেন, ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন পরিবর্তন করতে হবে। এই আইন পরিবর্তন হয় না ক্ষমতা ধরে রাখার মানসিকতা থেকে। যতগুলো পুলিশ কমিশন হয়েছে, এর মধ্যে এবারের কমিশন সবচেয়ে আশাহীন এবং অকার্যকর কমিশন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

‘আমরা ভালো হতে চাই’

বৈঠকে পুলিশের বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘পুলিশের তরফ থেকে ২০০৬-০৭ সাল থেকেই বলছিলাম, আমাদের সংস্কার হোক। আমরা ভালো হতে চাই। প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করেন। ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন পরিবর্তন করতে বলেছিলাম। কিন্তু ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমাদের দেওয়া সেই প্রস্তাবনা ঘুমন্ত অবস্থাতেই আছে।’

বাহারুল আলম বলেন, জনমুখী পুলিশ করতে চাইলে কিছুটা স্বায়ত্তশাসন বা স্বাধীনতা দিতে হবে। পুলিশকে মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে হবে। পুলিশ একটি স্বাধীন সংস্থার কাছে থাকুক। তিনি বলেন, মামলায় কাকে গ্রেপ্তার করা হবে, কার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে—সেটা যেন কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব চাপিয়ে দিতে না পারে। এই জায়গাটা পুলিশ চেয়েছে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে পুলিশ অনেক কাজ সঠিকভাবে করতে পারছে না বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ।

বৈঠকে বক্তব্য দেন সাবেক পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিজওয়ানুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজির (প্রশাসন) দায়িত্বে থাকা কাজী মো. ফজলুল করিম, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও ফাহমিদা আক্তার, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুর্দান্ত প্রকৌশলী, প্রাণবন্ত মানুষ
  • ‘আপনাদের কার্যক্রম তো সন্ত্রাসীদের মতো’ সাংবাদিকদের বললেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভিডিও ভাইরাল
  • ‎ বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বেরোবির ৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
  • ব্যাংকিং খাতে আস্থা বাড়াতে নিজের কর্মপরিকল্পনা ও উদ্যোগের গল্প বললেন সৈয়দ মাহবুবুর রহমান
  • ভারত ম্যাচের আগে দলে মনোবিদ যুক্ত করেছে পাকিস্তান
  • প্রকাশ্য থেকে গুপ্ত: ভেতর থেকে দেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি
  • ডাকাতি হওয়া ২৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
  • বেতনের অর্ধেক যদি চলে যায় বাসা ভাড়ার পেছনে...
  • রাজনৈতিক ‘অস্ত্র’ না হয়ে প্রভাবমুক্ত হোক পুলিশ