রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল ছাত্র সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।

ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে দুর্গাপূজার পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আর ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান বলছেন, তারা আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন চান।

আজ সোমবার দুপুরে এক বিফ্রিংয়ে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন তাদের প্যানেলের এই অবস্থান সাংবাদিকদের জানান। বেলা ৩টার দিকে রাকসুর কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের অবস্থান জানান ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান।

শেখ নূর উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রদল সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। ক্যাম্পাসে যে উৎসবমুখর পরিবেশ ও ভোটারদের আনাগোনা ছিল, সেটা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। ভোটার নেই বললেই চলে, বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গেছে। আমরা চাই, সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে একটি নির্বাচন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করেন, শিক্ষার্থীদের পালস বোঝার চেষ্টা করেন। আমাদের চাওয়া, নির্বাচনটা ছুটির (দুর্গাপূজার ছুটি) পরে হোক।’

এদিকে মোস্তাকুর রহমান বলেছেন, ‘অনেক রাকসু বানচালকারী গোষ্ঠী নির্বাচন পেছানোর অপরাজনীতি করছে। সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে কিছু বোল্ড স্টেটমেন্ট দিয়েছি। আমাদের প্রথম মতামত হচ্ছে, যথা সময়েই নির্বাচন হতে হবে। এটা কোনোভাবেই পেছানো যাবে না। দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে, নির্বাচনের দিন বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। তৃতীয় দাবি হচ্ছে, ভোট গণনা সুষ্ঠুভাবে হতে হবে। চতুর্থ দাবি, ভোটের দিনই ফলাফল ঘোষণা করতে হবে।’ যারা জয়ী হবে না তারা নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে উল্লেখ করে তিনি এই অপরাজনীতি থেকে তাদের বিরত থাকার আহ্বান জানান।

নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে হলে দেখেছেন, দাবি করে মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘যে দুই-একজন চলে যাচ্ছেন, তারা এই আশঙ্কায় চলে যাচ্ছেন যে নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে কি না। প্রশাসন যদি এটা নিশ্চিত করে যে নির্বাচন ২৫ তারিখেই হবে.

..। নির্বাচনের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের নিরাশ হওয়ার দরকার নেই।’

এর আগে আজ দুপুরে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কয়েকটি প্যানেলসহ স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম স ত ক র রহম ন ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত ৪৮ হাজারের বেশি পুলিশ 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দায়িত্ব পালনে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নির্বাচনি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।

পুলিশ সদর দফতরের তত্ত্বাবধানে চলমান এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেড় লাখের বেশি পুলিশ সদস্যকে মাঠপর্যায়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ প্রশিক্ষণ। 

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর)  সকালে  পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে জানানো হয়, পুলিশের ৪৮ হাজার ১৩৪ জন সদস্য এ পর্যন্ত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে।

জানানো হয়, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনি প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য। আইজিপি পুলিশের চলমান নির্বাচনি প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটর করা হচ্ছে জানিয়ে ওই বার্তায় জানানো হয়, আইজিপি মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত রবিবার (২ নভেম্বর) রাজশাহী ও বগুড়া সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন এবারই প্রথম।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত ৪৮ হাজারের বেশি পুলিশ