জানালার কাচ ভাঙায় দুই স্কুলছাত্রকে ফটকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
Published: 22nd, September 2025 GMT
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জানালার কাচ ভাঙার অভিযোগে দুই শিশুকে লোহার ফটকে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত এক শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার ডুমরাই সমজানপাড়া গ্রামের চাঁদপুর রফাতুল্লাহ সোনার উচ্চবিদ্যালয়ে শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে আজ সোমবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক শিশুর বাবা। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাগাতিপাড়া থানা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের মাঠে খেলতে যায়। একপর্যায়ে তাদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জানালা একটি কাচের কিছু অংশ ভেঙে যায়। এ সময় বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী লতিফ সোনার (৪৫) ও তাঁর ভাতিজা হাবিল সোনার (২৮) তাদের আটক করেন। এরপর বিদ্যালয়ের লোহার ফটকের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। পরে তারা ওই দুই শিশুকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও চড়থাপ্পড় মেরে আহত করেন। শিশুদের চিৎকারে তাদের স্বজনদের পাশাপাশি এলাকার লোকজন এসে শিশুদের উদ্ধার করেন। পরে একজনকে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, তারা জানালাটি কাচের না প্লাস্টিকের, তা পরীক্ষার জন্য ঘুষি মারে। এতে কাচের কিছু অংশ ভেঙে যায়। এর জন্য নৈশপ্রহরী ও তাঁর ভাতিজা তাদের কিলঘুষির পাশাপাশি গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, তিনি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি। তিনি এর বিচার চান।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। রোববার বিদ্যালয়ে এসে প্রহরীকে শিক্ষার্থীদের মারার কারণ জানতে চাইলে তিনি মারার ও বাধার অভিযোগ অস্বীকার করেন। পুলিশ তদন্ত করছে। তারা যা ভালো মনে করে, তা–ই হবে।
অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী লতিফ সোনার দুই শিশুশিক্ষার্থীকে আটক করার কথা স্বীকার করলেও বেঁধে রাখার কথা স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, অনেক লোক জড়ো হয়েছিলেন। হয়তো অন্য কেউ তাদের বেঁধে রাখতে পারেন।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সোমবার বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। কিছু ভুলত্রুটি রয়েছে। বাদীকে আসতে বলেছেন। এলেই মামলা নথিভুক্ত করা হবে। এ ছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রহর
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের বাজারে নতুন গেমিং ল্যাপটপ
গেমস এখন শুধু ভিজ্যুয়াল কোনো চমক নয়, বিনোদনের অন্যতম মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। আর তাই নতুন প্রজন্মের উচ্চ রেজল্যুশনের সব গেমের জন্য বাজারে একাধিক মডেলের শক্তিশালী গেমিং ল্যাপটপ এনেছে আসুস বাংলাদেশ। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আসুসের নতুন প্রজন্মের আরওজি বা রিপাবলিক অব গেইমারস, টাফ সিরিজ ও ভি সিরিজের নতুন গেমিং ল্যাপটপ উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশের আলোচিত গেমার, প্রযুক্তিপ্রেমী ও আধেয় (কনটেন্ট) নির্মাতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এনভিডিয়া আরটিএক্স ৫০ সিরিজের জিপিইউ ব্যবহারের কারণে ল্যাপটপগুলোর কাজের গতি অনেক বেশি, আর তাই সহজেই গেম খেলা যায়। ১৮ ইঞ্চি পর্দার আরওজি স্ট্রিক্স স্কার ১৮ মডেলের ল্যাপটপে আরটিএক্স ৫০৯০ জিপিইউ থাকায় ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতো সুবিধা পাওয়া যায়। ল্যাপটপটির দাম ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯০ টাকা। আরওজি স্ট্রিক্স সিরিজের বিভিন্ন মডেলের ল্যাপটপগুলোর সর্বনিম্ন দাম ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে গেমারদের জন্য আরওজি জেফাইরাস জি১৪ ও জি১৬ দুটি ল্যাপটপ প্রদর্শন করা হয়। আরওজি জেফাইরাস জি১৪–এর দাম ৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং জি১৬–এর মূল্য ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
আরওজি সিরিজ ছাড়াও অনুষ্ঠানে ২০২৫ ভার্সনের টাফ গেমিং এ১৪, এ১৬ এবং এফ১৬ মডেলের ল্যাপটপ প্রদর্শন করা হয়। আরটিএক্স ৫০৬০ জিপিইউ থাকায় উচ্চ গতি, গেমিং অভিজ্ঞতা ও স্থায়িত্বের কারণে গেমারদের পাশাপাশি পেশাজীবীদের জন্যও ল্যাপটপগুলো উপযোগী। আসুসের টাফ গেমিং এ১৪ মডেলের ল্যাপটপের দাম ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, এ১৬ মডেলের দাম সর্বনিম্ন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং এফ১৬ মডেলের সর্বনিম্ন দাম ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে আসুস গেমিং ভি১৬ (ভি৩৬০৭) মডেলের ল্যাপটপও প্রদর্শন করা হয়। ইন্টেল কোর ৫ সিরিজের প্রসেসর ও এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৫০৫০ জিপিইউযুক্ত ল্যাপটপটির পর্দার আকার ১৬ ইঞ্চি। রিফ্রেশ রেট ১৪৪ হার্টজ হওয়ায় সহজেই উন্নত রেজল্যুশনের ছবি ও ভিডিও দেখা যায় ল্যাপটপটিতে। দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।