আগস্ট মাসে কলমানি সুদের হার কমেছে
Published: 22nd, September 2025 GMT
চলতি বছর জুলাই মাসের চেয়ে আগস্ট মাসে কলমানি সুদের হার কিছুটা কমেছে। সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো আগস্ট মাসে ধার করেছে ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। এ সময় ব্যাংকগুলোর একদিনের বা ওভারনাইট কলমানি লেনদেনে সুদের হার ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আগের মাস জুলাইয়ে একদিনের ধারের গড় সুদ হার ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে সুদহার কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সালমান-সায়ান-শিবলী আজীবন নিষিদ্ধ, আদেশ জারি
একীভূতকরণে সম্মতি দিল গ্লোবাল ইসলামীসহ অধিকাংশ ব্যাংক
সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে একদিনের জন্য ব্যাংকগুলো ধার করেছে ১ লাখ ১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। এই মাসে শর্টনোটিশ মেয়াদে ধারের পরিমাণ ১২ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। আর ১৫ দিন থেকে এক বছর মেয়াদি ধারের পরিমাণ ১ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। ওভারনাইট ধারের মতো ওই দুই শ্রেণিতেও ধারের পরিমাণ জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে কমেছে।
কলমানি হচ্ছে, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে টাকা ধার দেওয়া-নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় যেসব ব্যাংকের হাতে নগদ টাকার সংকট থাকে, তাদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে অতিরিক্ত তারল্য বা অর্থ থাকা ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। এ জন্য সুদ দিতে হয়। কলমানিতে ব্যাংকগুলো তিন ধরনের মেয়াদে টাকা ধার করে। এগুলো হলো, ওভারনাইট বা একদিনের জন্য, শর্টনোটিশ ও টার্ম বা মেয়াদি কলমানি। ওভারনাইট হলো এক দিন মেয়াদের জন্য ধার। শর্টনোটিশে ধারের মেয়াদ ২ থেকে ১৪ দিন। আর টার্ম বা মেয়াদি ধার ১৫ দিন থেকে এক বছর মেয়াদ। ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে টাকা ধার দেওয়া-নেওয়া বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকে জানায়। কলমানি বাজারের প্রতিদিনের লেনদেন ও সুদের তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের ব্যাংক খাতের ১৪ থেকে ১৫টি ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে। এ কারণে এসব ব্যাংকের আমানতকারীরা দুর্ভোগে আছে। ব্যাংকগুলো থেকে আমানতকারীদের বড় অঙ্কের জমাকৃত অর্থ মাসে মাসে সামান্য পরিমাণে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। ফলে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় এ সব ব্যাংককে অন্য ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে হচ্ছে।
ব্যাংক খাত নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক আলোচনা সভায় ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহাইল আর কে হোসেন বলেন, ‘‘ব্যাংকের মোট মূলধনের ৯৫ শতাংশ আসে আমানতকারীদের কাছ থেকে। আমানতকারীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে দেশের ব্যাংকখাত এখন তার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংকটে রয়েছে। কিছু ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এর মূল কারণ সুশাসনের অভাব, সরকারি হস্তক্ষেপ।’’
ওই আলোচনা সভায় সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘‘দেশের ব্যাংকখাতে মোট ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ কোটি টাকা, এর মধ্যে ৪ লাখ কোটি টাকা মন্দ ঋণ, আর ৭ লাখ কোটি টাকা সমস্যাপূর্ণ (ডিট্রেসড) অবস্থায় রয়েছে।’’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘‘আগস্ট মাসে ব্যাংকগুলোকে ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা বিশেষ তারল্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সুবিধার সুদহার ছিল ১০ শতাংশ।’’
ঢাকা/নাজমুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগস ট ম স র পর ম ণ একদ ন র ধ র কর কলম ন
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে গ্যারেজে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর, লুট : আহত ৪
বন্দরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ৪ যুবক জখমসহ গ্যারেজ ভাংচুর চালিয়ে অটোগাড়ী ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ৩ দিন পর এ ব্যাপারে আহতের বড় বোন সিমা বেগম বাদী হয়ে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হামলাকারি সন্ত্রাসী ইফতি, আসলাম, আওলাদ, আজিজ, রোহান ও বিনা বেগমের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ও একই দিন রাত সাড়ে ৯টায় বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা কেল্লা সংলগ্ন পাঁকা রাস্তার উপরে দুই দফা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো বন্দর থানার সোনাকান্দা কড়ইতলা এলাকার তাহের আলী মিয়ার ছেলে দেবর সাইফুল (২৫) একই থানার বন্দর রুপালী আবাসিক এলাকার রিজন মিয়ার ছেলে এলাহি (২৩) সোনাকান্দা কড়ইতলা এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে সুজন (২৫) ও রুপালী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা লিমন (৩০)।
স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৪ জনের মধ্যে গুরুত্বর জখম এলাহিকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক এলাহিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শ্যামলী প্রাইমা অর্থোপেডিক হাসপাতলে প্রেরণ করে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার সোনাকান্দা চৌধুরীপাড়া এলাকার তাহের আলী ছেলে ও অভিযোগের বাদিনী দেবর সাইফুলের সাথে মোবাইল বিক্রি টাকা নিয়ে একই এলাকার আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে প্রতিপক্ষ ইফতি একই এলাকার মৃত সাহাদাত মিয়ার ছেলে আসলাম একই এলাকার মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে তাওলাদ, মানিক মিয়ার ছেলে আজিজ ও তার স্ত্রী বিনা বেগম ও ছেলে রোহানের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।
উল্লেখিত বিরোধের জের ধরে লেডি সন্ত্রাসী বিনা বেগমের হুকুমে ইফতি, আসলাম, তাওলাদ, আজিজ ও তার ছেলে রোহানসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অভিযোগের বাদিনী দেবর সাইফুলের উপর অর্তকিত হামলা চালায়।
লোক মারফতে খবর পেয়ে বাদিনীর ছোট ভাই মোঃ এলাহি (২৫) ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় ৫নং বিবাদী বিনা বেগমের হুকুমে ১নং বিবাদী ইফতি বাদিনীর ভাই এলাহিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে বাম হাতের কুনুইয়ে কোপ দিয়ে হাতের এপার ওপারে করে ফেলে এবং ও ৬নং বিবাদী ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে কোপ দিয়ে বাম পায়ের গোড়ালির উপরে মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
এ ছাড়াও বিবাদী আসলাম, তাওলাদ, আজিজ ও তার স্ত্রী বিনা বেগমসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অটো গ্যারেজে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটো যাহার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও একটি রানার ব্রান্ডের মোটরসাইকেল যাহার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আহত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে আহত যুবক এহাহি মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা শ্যামলী প্রাইমা অর্থোপেডিক হাসপাতলে আইসিওতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। তার অবস্থা আংশকাজনক বলে আরো জানা গেছে। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।