অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “আমাদের দেশে ট্যাক্স দেয়, কিন্তু সেবা পায় না। তাহলে লোকজন তো একটু গোসসা করবেই। ট্যাক্স দিলাম, আর সেবা পেলাম না। সেজন্য আমি প্রায়ই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্যদের বলি, ভাই, একটু সেবা দেন।”

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ‍্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশে বন্ড ও সুকুক বাজার উন্মোচন: রাজস্ব স্থিতি, অবকাঠামো বাস্তবায়ন ও ইসলামী মানি মার্কেট উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড.

আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব‍্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। এ সময় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সদস্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, “সেবা ভালো দিলে আমরা ট্যাক্স- ফি’ও বেশি দিতে পারি। আপনি সেবা দেবেন না, দশ বার ঘোরাবেন, ফিও বেশি চাইবেন, এটা তো সম্ভব না।”

তিনি বলেন, “সবাই ট্যাক্স কমানোর কথা বলে। ট্যাক্স কমাতে কমাতে এমন অবস্থা, আমরা হয়ত বেতন-ভাতাও পাব না। সবাই বলে, ট্যাক্স কমিয়ে দেন। ট্যাক্সই দিতে চাই না। আমরা শিক্ষকদের দোষ দিই, পড়াচ্ছেন না। এই মাইনে দিয়ে কী পড়াবেন? আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও ৭.২ শতাংশ আর ব্রাজিলে সেটা ২৬ শতাংশ। ওরা ট্যাক্স দেয়, সেবা পায়।”

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “ট্যাক্স, নন-ট্যাক্স রেভিনিউ আমাদের অনেক লো। আমাদের দেশে প্রাইভেট সেক্টরের ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের চাহিদা অনেক বেশি। এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অর্থায়ন করতে পারছি না। আমরা বলি, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। তারপর শিক্ষার কথা বলেন। টাকা কোথায়?”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের দেশে সমস্যা হলো— অর্থায়নের অভাব। আমরা যেখানে বসে থাকি, সরকারি লোকজন মনে করে, সবকিছু দিয়ে দেওয়া যাবে। প্রতিদিন বলে, এই দেন, সেই দেন। যতটা আর্থিক সামর্থ্য, সেটা আমরা পাচ্ছি না।”

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসির নতুন মার্জিন রুলসের গেজেট প্রকাশ

নতুন মার্জিন রুলসের গেজেট প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মার্জিন রুলস, ১৯৯৯’ রহিত করে নতুন ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন রিপিল) রুলস, ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রকাশিত সরকারি গেজেট অনুযায়ী, নতুন এই বিধিমালা গত ৩০ অক্টোবর বিএসইসি কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

আরো পড়ুন:

টানা ৫ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের পতন

শেয়ার ফেরত না দিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের আলটিমেটাম

গেজেটে উল্লেখ করা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের XVII) এর ধারা ৩৩ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এতদ্বারা মার্জিন বিধি, ১৯৯৯ বাতিল করছে। নতুন বিধির নাম রাখা হয়েছে-‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন রিপিল) রুলস, ২০২৫’। এটি কার্যকর হবে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন) রুলস, ২০২৫’ কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে।

তবে গেজেটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর অধীনে ইতোমধ্যে গৃহীত বা সম্পন্নকৃত যেকোনো পদক্ষেপ, মামলা বা আইনি কার্যক্রম নতুন বিধিমালা কার্যকর হলেও বলবৎ থাকবে। এসব কার্যক্রম পূর্ববর্তী বিধির অধীনে সম্পন্ন হবে এবং বৈধ গণ্য হবে।

এছাড়া নতুন বিধি কার্যকর হওয়ার পূর্বে চলমান কোনো আইনি মামলা বা প্রসিকিউশন মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা যাবে এবং সেই বিধি কার্যকর বলেই গণ্য হবে যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন বিধিমালা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর না হয়।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২২ বিনিয়োগকারীকে ৪০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
  • বিএসইসির নতুন মার্জিন রুলসের গেজেট প্রকাশ
  • পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত
  • সূচক আবার ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে, বাজারে উদ্বেগ
  • আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডিকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা