বিশ্বজুড়ে শহরগুলো যে গতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে, তাতে পরিবেশ এবং মানুষের ভারসাম্য নিশ্চিত করা প্রতিনিয়ত কঠিন হয়ে উঠছে। জাতিসংঘের ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ১১ নম্বর লক্ষ্য হলো ‘সাসটেইনেবল সিটিজ অ্যান্ড কমিউনিটিজ’; অর্থাৎ এমন শহর গড়ে তুলতে হবে, যা হবে সবার জন্য নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই।
এ ভাবনা সামনে রেখে শেল্টেক তাদের প্রতিটি প্রকল্পে সচেতনভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কাজ করে চলেছে। দ্রুত নগরায়ণের এই সময়ে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ, সামাজিক সম্প্রীতি এবং ভবিষ্যৎকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প পরিকল্পনা করে চলেছে শেল্টেক।
১৯৮৮ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি তাদের গুণগত নির্মাণ, সময়মতো হস্তান্তর এবং গ্রাহকসেবার জন্য বেশ প্রশংসিত। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আবাসন প্রতিষ্ঠান শেল্টেক (প্রা.
গত ৩৭ বছরে শেল্টেক ঢাকায় ৪ হাজার ১৪৫টির বেশি আবাসিক ও বাণিজ্যিক ইউনিট হস্তান্তর করেছে। শেল্টেকের টেকসই নগর নির্মাণের প্রচেষ্টা নজর কাড়ে ডিজাইনে। প্রতিটি প্রকল্পে দেখা যায় খোলা জায়গা, ছাদবাগান, হাঁটার পথ ও বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা রয়েছে। পরিকল্পিত ছাদবাগান শহরের তাপমাত্রা কমায়, বাতাস বিশুদ্ধ রাখে এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। খোলা জায়গাগুলো ছোটদের খেলার জন্য যেমন প্রয়োজন, তেমনি বড়দের হেঁটে বেড়ানো বা একটু নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা হিসেবেও কাজ করে। শেল্টেকের প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্ট এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে দিনের অধিকাংশ সময় প্রাকৃতিক আলো ও বাতাস যাওয়া-আসা করতে পারে; যাতে কৃত্রিম আলো বা শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার কমানো যায়।
শেল্টেকের ভবনের ডিজাইনে ফুটে ওঠে টেকসই নগর নির্মাণের প্রচেষ্টাউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সব ধরনের মব ভায়োলেন্স নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘দেশে এখন কোনো ধরনের মব ভায়োলেন্স নেই। বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই মব ভায়োলেন্স ছিল। আমাদের সময়ও কিছু মব ভায়োলেন্স হয়েছে, এটা আমরা অস্বীকার করছি না; কিন্তু এখন সব ধরনের মব ভায়োলেন্স নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। যারা মব ভায়োলেন্স ভয় পান বা এসব নিয়ে কথা বলেন, তাদের ভেতরে দুর্বলতা আছে। তারা স্বৈরাচারের দোসর।’ আজ শুক্রবার সকালে নেত্রকোনার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের এই সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে গেছে। সংস্কার কমিশনের কাজেও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কতটা সংস্কার হয়েছে, তার স্পষ্ট দলিল থাকবে। আর গণভোটের বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকানোর কারও সাধ্য নেই। সারা দেশে এখন নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এখনো নির্বাচন নিয়ে যাঁরা বিভ্রান্ত বক্তব্য দিচ্ছেন, নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর।
গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্যের প্রচার বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘৯ মাসে ৮৩ কোটি টাকা খরচ করে আলী রীয়াজ পালিয়ে গেছেন বলে এক ব্যক্তি বিভ্রান্তি ছড়াছেন; কিন্তু এই টাকার হিসাব তিনি কোথায় পেলেন আমার জানা নাই। ডাহা মিথ্যা বললে অনেকের জনপ্রিয়তা বাড়ে। তাই জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য অনেকেই মিথ্যাচার করে থাকেন।’
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘বিদেশে প্রচলন আছে—টেলিভিশনে যাঁকে আপনি টক শোতে আনবেন, তিনি অত্যন্ত সত্যবাদী মানুষ হবেন এবং তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে; কিন্তু আমাদের দেশে এটার বিপরীত। একজন লোক যদি ডাহা মিথ্যা কথা বলেন, তাঁকে আপনি টক শোতে আনছেন। কারণ, তাঁকে আনলে আপনার টক শো গরম হবে; টিভির জনপ্রিয়তা বাড়বে। তাহলে কী হলো? টিভি হিসেবে আপনি জোর করে তাকে দিয়ে বলা মিথ্যা কথাটা জনগণকে দিচ্ছেন। এই মিথ্যা প্রচারিত হচ্ছে। এগুলো জেনেও তাকে আপনি ডেকে আনছেন। আমরা মাইলস্টোন নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, আমরা সেন্ট মার্টিন নিয়ে দেখেছি, এমন কোনো মিথ্যাচার বাদ যায়নি যা বলা হয়নি। উপদেষ্টাদের নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, আমরা মিনিস্ট্রি নিয়ে মিথ্যাচার দেখছি, সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান প্রমুখ।