গাজা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইসরায়েলের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান শনিবার মিশরে আলোচনার পর এ কথা বলেছেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় শুক্রবার জানিয়েছে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। ইসরায়েলি চ্যানেল ১২ অনুসারে, এই পরিকল্পনার অর্থ হবে ভূখণ্ডে স্থল সেনা পাঠানো, হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা, ভূখণ্ডে খাদ্য সরবরাহের প্রচেষ্টাকে আরো ব্যাহত করা এবং গাজা শহর ও অন্যান্য অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে উপত্যকার দক্ষিণ অংশে সরে যেতে বাধ্য করা।

আঞ্চলিক শক্তি মিশর ও তুরস্ক উভয়ই এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে। আঙ্কারা জানিয়েছে, এটি ইসরায়েলের গণহত্যা এবং সম্প্রসারণবাদী নীতির একটি নতুন পর্যায় চিহ্নিত করেছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বন্ধে বিশ্বব্যাপী ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে তুরস্ক।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সাথে দেখা করার পর এল আলামিনে তার মিশরীয় প্রতিপক্ষ বদর আবদেলাত্তির সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফিদান।

তিনি জানান, ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) একটি জরুরি বৈঠকে ডাকা হয়েছে।

ফিদান বলেন, “ইসরায়েলের নীতির লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রেখে তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেওয়া এবং গাজায় স্থায়ীভাবে আক্রমণ করা।”

তুর্কি মন্ত্রী বলেন, “আজ যা ঘটছে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘটনা.

..যা কেবল ফিলিস্তিনি জনগণ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যই নয়।”

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ইসরায়েলের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো এখনো এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। অথচ নেতানিয়াহুর ঘোষণার পরপরই পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত রস ক ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিষেবা

যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি অচলাবস্থার (শাটডাউন) কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে ৫,০০০-এর বেশি ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বিত হয়েছে। ওয়াশিংটনের রেগান বিমানবন্দরে ফ্লাইট প্রায় ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে ছেড়েছে, ১৭% বাতিল হয়েছে।

পরিবহনমন্ত্রী সিন ডেফি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খারাপ হলে ২০% পর্যন্ত ফ্লাইট কমানো হতে পারে। আমেরিকান, সাউথওয়েস্ট ও ডেল্টার মতো সংস্থাগুলো যাত্রীদের অর্থ ফেরত ও ফ্লাইট বদলের সুযোগ দিচ্ছে। বেতন না পাওয়ায় অনেক এটিসি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ