ময়মনসিংহের ভালুকায় কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে। গতকাল সোমবার গভীর রাতে উপজেলার ভরাডোবা খানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভরাডোবা গ্রামের মোস্তাকুল আলমের স্ত্রী রিনা আক্তার দুই বছর আগে মারা যান। ছয় মাস আগে মারা যান তাঁর মা রহিমা খাতুন। মা ও স্ত্রীকে বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল। গতকাল গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা ওই দুটি কবরের মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল তুলে নিয়ে যায়। আজ মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

মোস্তাকুল আলম বলেন, ‘গত রাতে দুর্বৃত্তরা আমার মা ও স্ত্রীর কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।’ তিনি আজ দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘কবর থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা সাজিয়ে পুলিশে চাকরি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হককে নানা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সম্রাট হাসান তুহিন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে রাঙামাটির কাউখালী থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তার বিপি নম্বর ৯৪১৪১৭১২০৯।

অভিযুক্ত তুহিন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় তুহিনের স্ত্রী হোসনা বেগম গত ১৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আরো পড়ুন:

৭১-এর মতো ২৪-এ বুক পেতে দিয়েছেন বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী: হাফিজ

মুজিবনগর সরকারের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে হোসনা বেগমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তুহিনের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদানের সময় তিনি মোহনগঞ্জ উপজেলার শেখপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হককে নানা সাজিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সুনামগঞ্জ নোটারি পাবলিকে হলফনামা তৈরি করেন। এতে নিজেকে ওই মুক্তিযোদ্ধার দৌহিত্র পরিচয় দেন। পরে সেই নকল হলফনামা ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধায় পুলিশে চাকরি নেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হক বলেন, ‘‘তুহিন নামে আমার কোনো নাতি নেই। হলফনামায় দেওয়া স্বাক্ষরও আমার নয়। কে বা কারা প্রতারণা করেছেন, তাদের শাস্তি চাই।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে মোহনগঞ্জেই, সুনামগঞ্জে নয়।’’

অভিযোগকারী হোসনা বেগম বলেন, ‘‘তুহিন প্রতারণা করে আমার অজান্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হকের সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেন। তিনি আমার নানা নন।’’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তুহিন দাবি করেন, ‘‘স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। মনজুরুল হক আমার নানা, তার সনদেই চাকরি নিয়েছি। প্রতারণা করে থাকলে এতদিন চাকরিতে থাকা সম্ভব হতো না।’’

ময়মনসিংহ দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিযোগটি ঢাকায় পাঠানো হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিধিসম্মত হলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/ইবাদ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা সাজিয়ে পুলিশে চাকরি
  • ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৬৭৮
  • সাগরে আরো লঘুচাপের শঙ্কা, ঢাকায় ৩ ঘণ্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি 
  • গফরগাঁওয়ে বন্ধ করা হলো সিসা তৈরির কারখানা
  • ‘অসামাজিক’ কিছু দেখেননি স্থানীয় বাসিন্দারা, তারপরও মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা
  • অভিযানের পর ধর্মঘটে অ্যাম্বুলেন্সচালকেরা, ময়মনসিংহ মেডিকেলের রোগীদের দুর্ভোগ