‘অহন এই ডিপকল হইছে, মনে অয় পানির কষ্ট কিছুডা দূর অইব’
Published: 2nd, July 2025 GMT
বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শরীর নিয়েও ছুটে এসেছেন কবিতা পাতাং (৭৩)। চোখে-মুখে বিস্ময় ছড়িয়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছেন একটি নলকূপের দিকে। তাঁর ভাষ্য, এত গভীর নলকূপ এলাকাটিতে এর আগে ছিল না। শুধু কবিতা নন, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপারটি হচ্ছে—লাল রঙের নয়, নলকূপটি থেকে বের হচ্ছে স্বচ্ছ সুপেয় পানি। অথচ প্রান্তিক জনপদের এসব মানুষ যুগ যুগ ধরে পানির জন্য কষ্ট করেছেন।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের ঘিলাগড়া গ্রামবাসীর জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো সুপেয় পানির গভীর নলকূপটি স্থাপন করা হয়েছে। বাসিন্দারা আশা করছেন, এর মাধ্যমে পানির জন্য নিজেদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কবিতার ভাষ্য, ‘আমরা কুয়া খুঁইড়া পানি খাই। কল (টিউবওয়েল) দিলে লাল পানি বাইর অয়, খাওন যায় না। হের লাইগ্যা কেউ কল করত না। অহন এই ডিপকল (গভীর নলকূপ) হইছে, মনে অয় পানির কষ্ট কিছুডা দূর অইব।’
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাসনাগিরী এলাকার বিপরীত অংশে ঘিলাগড়া গ্রামের অবস্থান। ময়মনসিংহ শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। ছবির মতো সুন্দর এই গ্রামে প্রায় ৪ হাজার মানুষের বসবাস। সীমান্তবর্তী এ গ্রামের মাটির গভীরে খুঁড়লেই বের হয় নুড়িপাথর। এ কারণে নলকূপ স্থাপন করা যায় না। ফলে যুগ যুগ ধরে গ্রামটির মানুষের ভরসা ছিল ছড়া, কুয়া ও বৃষ্টির পানি। বাসিন্দাদের কষ্ট লাঘব করতে ঘিলাগড়া গ্রামে পাঞ্জেখানার পাশে গভীর নলকূপটি স্থাপন করে দিয়েছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সালমান ওমর। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আরও কিছু গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেওয়া হলে গ্রামের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন—এমনটাই আশা তাঁর।
প্রায় দুই মাস সময় নিয়ে ৪০০ ফুট গভীরে স্থাপিত হয়েছে সাবমার্সিবলটি। সেখান থেকে সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে ৫০টি পরিবারে সংযোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গ্রামটির সব মানুষ এখান থেকে পানি সংগ্রহ করতে পারবেন।
গ্রামটি কোথাও টিউবওয়েল নেই জানিয়ে কৃষক আবদুস সালাম বলেন, এ গ্রামে বাসিন্দা আছে প্রায় ৪ হাজার। সবাই নদী, ছড়া, কুয়া ও বৃষ্টির পানি খায়। বিশুদ্ধ পানির জন্য গ্রামে প্রথম গভীর নলকূপ হয়েছে।
সীমান্ত এলাকার মানুষের সুপেয় পানির কষ্ট দূর করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানান ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলএম প্রোগ্রাম, আবেদন জমা ২০ আগস্ট
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে ফল-২০২৫ সেশনে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) এলএলএম ( প্রফেশনাল) মাস্টার প্রোগ্রামে সংশোধিত ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রোগ্রামের ক্লাস শুক্রবার ও শনিবার ময়মনসিংহ শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনের যোগ্যতা—
অনুমোদিত যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে চার বছর মেয়াদি এলএলবি (স্নাতক) অথবা অনুমোদিত আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি (পাস) থাকতে হবে।
কোর্সের মেয়াদ—
এলএলবি স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য এক বছর এবং এলএলবি ডিগ্রি (পাস) কোর্সধারীদের জন্য দুই বছর মেয়াদ ।
আবেদনের নিয়ম—
১. অফিস চলাকালীন সময়ে এক হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকের (জাককানইবি) শাখায় নির্ধারিত হিসাব নম্বরে জমা দিয়ে অফিস থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
২. এ ছাড়াও বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টে আবেদন ফি জমা দিয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে ।
১. আবেদনপত্র জমার শেষ তারিখ: ২০ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।
২. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: ২২ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার।
৩. ভর্তি পরীক্ষার স্থান: আইন ও বিচার বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট: