2025-10-06@08:06:07 GMT
إجمالي نتائج البحث: 39

«ব পৎস ম র ওপর দ য়»:

    ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বিপৎসীমা অতিক্রম করার পর তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) পানি কমে আসায় নিজেদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন লালমনিরহাটে এই নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষজন। তবে, কমেনি তাদের কষ্ট, এখনো নিম্নাঞ্চলে পানি রয়েছে। নদী পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতংক।  আরো পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ দিন ধরে বন্ধ টিকাসেবা ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১০ মিটার। যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে। গতকাল রাতে পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।  লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে...
    কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে আজ সোমবার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গাধর নদের পানিও বেড়েছে। তবে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে সকালে তিস্তা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে গতকাল রোববার তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপরে উঠেছিল।কুড়িগ্রামতিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই তিন ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উজানের হঠাৎ বন্যার খবরে কেউ কেউ তিস্তার চর থেকে গৃহপালিত পশু ও শিশুদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে।ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গাধর নদের পানি বেড়ে চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আমন ধান ও শীতকালীন সবজির খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।আজ সকালে কুড়িগ্রাম...
    উজানের ঢল এবং টানা বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ মিটার। যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। এদিকে, রবিবার (৫ অক্টোবর) দিনভর পানি বাড়ার পর রাতে তা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে যায়। আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই নদী তীরবর্তী লালমনিরহাটসহ নীলফামারী ও রংপুরের নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ বন্যা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। আরো পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৭০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত দুই মাসে পদ্মার পেটে ২০০ হেক্টর জমি লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ‍“ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে পানি দ্রুত...
    টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হাতীবান্ধার ছয়টি ইউনিয়নসহ পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে রেড অ্যালার্ট জারির পর মাইকিং করে তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে লালমনিরহাটসহ নীলফামারী ও রংপুর জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা আছে। ইতিমধ্যে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে দুই উপজেলার প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে পুকুর,...
    ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।রোববার সকাল ছয়টায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ১২ ঘণ্টার ব্যবধানের সন্ধ্যা ছয়টায় সেখানে ৮৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। সকাল ৬টায় প্রবাহিত হচ্ছিল ৫১ দশমিক ৪৩ মিটার দিয়ে। সন্ধ্যা ছয়টায় সেখানে প্রবাহিত হচ্ছিল ৫২ দশমিক ২৮ মিটার দিয়ে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার ডান তীরের বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে বাশের পাইলিং করে বালির বস্তা...
    কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিতে ভেসে গেছে মাছের খামার। আমন ধানসহ নানা জাতের সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে থাকায় ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষিরা।  বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি, রবিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়। রাতে পানি আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা তাদের।   আরো পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে সেন্টমার্টিনে জলাবদ্ধতা, ঘরবন্দি কয়েকশ পরিবার ভবদহ জলাবদ্ধতা: ৫ নদী খননের কাজ পেল সেনাবাহিনী স্থানীয়রা জানান, গত দুইদিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়ছে। রবিবার বিকেল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার...
    তিস্তা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বেড়েছে নদীভাঙন। ইতোমধ্যে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে পানি নিষ্কাশনে দেরি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন অনেক মানুষ।   সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৯টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে নেমেছে। বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৪ মিটার।  আরো পড়ুন: ইছামতীর পাড়ের জমি অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ যমুনার করালগ্রাসে বাঘুটিয়া চর এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়।  নদীপাড়ের মানুষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে হঠাৎ পানি বেড়ে যায়। রবিবার দিনভর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি...
    নওগাঁয় আত্রাই নদের একটি পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় মান্দার চকরামপুর এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙা স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এতে নওগাঁর নিচু এলাকা মান্দা, রানীনগর ও আত্রাই উপজেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নওগাঁ কার্যালয় সূত্র জানায়, ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী পয়েন্টে নদের পানি বিপৎসীমার ১৪ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৪৫ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া মান্দার জোতবাজার পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৪২ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার। সেখানে আজ শনিবার সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা মাপা হয় ৩১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার।পাউবো নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শিমুলতলী পয়েন্টে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ৫ সেন্টিমিটার। আবহাওয়ার...
    কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে। নিচু এলাকাগুলোতে প্রবেশ করছে বন্যার পানি। তবে, এখনো বাসবাড়িতে পানি প্রবেশ করেনি। এদিকে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দুধকুমার, তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীপাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দুধকুমারের ভাঙনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর, তিস্তার ভাঙনে উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে উলিপুরের বেগমগঞ্জ এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অন্তত ৩০টি পয়েন্টে নদ-নদীর ভাঙন অব্যাহত আছে। এক সপ্তাহের নদীভাঙনে এসব এলাকার শতাধিক ঘর-বাড়িসহ মসজিদ, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে আছে আরো শত শত ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। ভাঙনকবলিতরা জানিয়েছেন, নদীভাঙনের কবলে পড়ে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন তারা। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট...
    তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দেশের উত্তর জনপদের আরেক নদ দুধকুমারের পানিও ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। শুধু উত্তরের এসব নদ–নদীই নয়, বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মার পানিও। পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে উত্তরের তিন জেলা নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের নদীসংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। পদ্মা ও যমুনাপাড়ের জেলাগুলোর কিছু এলাকাতে পানি ঢুকে গেছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের মধ্যে টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণেই নদ–নদীগুলোতে পানি বাড়ছে।বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে আজ। আর দুধকুমারের পানি কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।...
    উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে পানির এ বিপৎসীমা রেকর্ড করা হয়। গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে প্রথমে ৭ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে তিস্তার পানি, পরে কিছুটা কমলেও রাতের বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে আজ ভোরে তা ১১ সেন্টিমিটার ছাড়িয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। আগামী দুইদিন ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে।” আরো পড়ুন: তিস্তা পাড়ের ২০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি কুষ্টিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১৩ স্কুল বন্ধ ঘোষণা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৪...
    ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীতীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয়ে ১০ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এখানে পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। গতকাল সকাল ৯টায় নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৫২ দশমিক ২০ মিটার ওপর দিয়ে। আজ সকাল ৯টায় পানি প্রবাহিত হয় ৫২ দশমিক ৩০ মিটার দিয়ে।তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তাতীরবর্তী ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবে আছে বিস্তির্ণ এলাকার রোপা আমন চারা।ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)...
    উজানে লাগাতার বৃষ্টি এবং ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের জলকপাট খুলে দেওয়ায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী এই জেলার ২০টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।  নদীর পানিতে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক, ফসলের মাঠ এবং সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অনেক পুকুরের মাছও ভেসে গেছে। পানিবন্দি এলাকার মানুষ গবাদি পশু নিয়ে উঁচু স্থান, বাঁধ ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকেই তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রাত পানি আরো বৃদ্ধি পায়। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টায় পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।  আরো পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১৩ স্কুল বন্ধ ঘোষণা তিস্তা পাড়ের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি সংশ্লিষ্ট...
    ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। আজ বুধবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে তিস্তাপারের পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। আজ সকাল ৯টায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৫২ দশমিক ২০ মিটার ওপর দিয়ে। এর আগে ৩ আগস্ট নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এরপর পানি কমে যায়।তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা তীরবর্তী নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ছয়টায় পানি...
    উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং গত কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে এ পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা বিপৎসীমার চেয়ে ৭ সেন্টিমিটার বেশি। উজানের ঢলের কারণে তিস্তার পানি ক্রমাগত বাড়ছে, ফলে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল ও চর এলাকাগুলো এরইমধ্যে তলিয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি স্লুইসগেটই খুলে দেওয়া হয়েছে। ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম বলেন, “উজানের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চল ও চরগ্রামগুলো এরইমধ্যে তলিয়ে গেছে। আশঙ্কা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে।” বন্যার...
    উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি আবারো বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে এই নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার দুইটি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় আছেন এসব এলাকার পাঁচ হাজার পরিবার।পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আরো পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাড়ে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি  রাঙামাটিতে পানিবন্দি ২৩...
    রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট (জলকপাট) গতকাল সোমবার রাত ১২টা ২ মিনিটে খুলে দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় এসব গেট খুলে দেওয়া হয়।কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৬টি গেটে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন করা হচ্ছে।কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, হ্রদে পানির চাপ বাড়ায় আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় কাপ্তাই বাঁধের সব কটি গেট খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে দ্রুত পানি বেড়ে যাওয়ায় রাতেই গেট খুলে দেওয়া হয়।পানি ছাড়ার আগে কাপ্তাই হ্রদে পানি ছিল ১০৮ দশমিক ৫ ফুট। ১০৮ ফুট উচ্চতা কাপ্তাই হ্রদের পানির বিপৎসীমা হিসেবে নির্ধারণ করা...
    উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এর ফলে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।  পানির কারণে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শত শত পরিবার। অনেকে গবাদি পশু ও সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধ ও বিদ্যালয়ে। প্লাবিত মানুষদের রাত কেটেছে চরম আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে—কখন যে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে, সেই ভয়ে নির্ঘুম রাত পার করেছেন তারা। রবিবার (৩ জুলাই) সারা দিন তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় অনেকে বাড়ি ছেড়েছেন। পানি আরো বাড়াও আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ফলে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে প্রশাসন। পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গতকাল তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা...
    উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে নদীপাড়ের মানুষদের মধ্যে নতুন করে বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে। সকাল ৯টার দিকে তা বিপৎসীমায় পৌঁছে যায় এবং দুপুর নাগাদ ৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে যায়। এর আগে ২৯ জুলাই একই মাত্রায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছিল। নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকার ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকের বাড়ির উঠোনেও পানি উঠেছে। স্থানীয় কৃষক আব্দুল খালেক...
    তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়ে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নীলফামারীসহ আশপাশের নদীতীরবর্তী এলাকায়। সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ৫২.১৫ মিটার অতিক্রম করে প্রবাহিত হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। দুপুরে তা আরো নেমে ২২ সেন্টিমিটার নিচে চলে গেলেও সন্ধ্যার পর আকস্মিকভাবে পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে। পানি বৃদ্ধির ফলে ডিমলা, জলঢাকা, গঙ্গাচড়াসহ তিস্তাপাড়ের নিচু এলাকা ও চরাঞ্চলের মানুষ চরম উদ্বেগে পড়েছেন। ফসলের মাঠ, বসতঘর ও গবাদিপশু নিয়ে নতুন করে দুর্ভোগের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ডিমলার পূর্বখড়িবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, “কয়েকদিন ধরেই পানি ওঠা-নামা করছে। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে পানি হু হু করে বাড়ছে।...
    অমাবস্যার কারণে সৃষ্ট জোয়ারের প্রভাবে পটুয়াখালীর সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত চারদিন ধরে প্রতিনিয়ত দুই দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বেড়িবাঁধের বাইরের সব নিম্নাঞ্চল। এ জেলায় নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙে সদর উপজেলার ইদ্রাকপুর, কাঁকড়াবুনিয়া এবং দমুকি উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়া, উত্তর মুরাদিয়া, সন্তোষদি ও চরগরদি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  এর আগে, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে রাঙ্গাবালী উপজেলার অন্তত ১০টি ও বাউফল উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। আরো পড়ুন: সেন্টমার্টিনে তিনদিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ, খাদ্য সংকট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলায় ৩০ গ্রাম প্লাবিত স্থানীয়রা জানান, পানি প্রবেশ করেছে অনেকের বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। অনেক পাকা ও আধা পাক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর।  ...
    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ এবং অমাবস্যার প্রভাবে ভোলার মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় এই নদীর পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। পানি বাড়ায় সদর, মনপুরা, তজুমদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে বসতঘর, বাড়ির আঙিনা, রাস্তাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোমর সমান পানিতে তলিয়ে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে অনেক স্থানে। অতি জোয়ারের ফলে পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে গেছে।  আরো পড়ুন: চবির আলাওল হলে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ, ভোগান্তি চিকিৎসক সংকটে ধুঁকছে খাগড়াছড়ি...
    সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণ উপকূলের বরিশালসহ বিভাগের অন্যান্য জেলাতে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলের নদ-নদীর পানিতে অস্বাভাবিক জোয়ার প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার বিকেল থেকে মেঘনা, পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর, কচাসহ অন্যান্য নদ-নদীতে বিপৎসীমার অনেক ওপরে জোয়ার প্রবাহিত হচ্ছে। উঁচু জোয়ারের কারণে বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির নিচু এলাকা ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে সকাল থেকে থেমে থেমে ভারী ও হালাকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে।বিভাগের বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোলার তজুমদ্দিন, দৌলতখানসহ মেঘনার তীরবর্তী নিচু গ্রামগুলোতে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। মেঘনা নদীর তজুমদ্দিন পয়েন্টে বিপৎসীমার চেয়ে প্রায় পাঁচ ফুট ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পানি উন্নয়ন...
    ফেনীর মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদীগুলোর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে। এর পাশাপাশি ফেনী জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের বার্তায় বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উপকূলীয় ও পূর্বাঞ্চলীয় চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় লঘুচাপ আছে।আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালদা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং চট্টগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। পরে অবশ্য তা কমে যাবে।সিলেট বিভাগের মনু, ধলাই ও খোয়াই নদের পানি...
    ফেনীতে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে ফেনী আবহাওয়া অফিস। যা মৌসুমের সর্বাধিক বৃষ্টি। এদিকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মুহুরী নদীর বাঁধে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টির কারণে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, ডাক্তারপাড়া, মিজান রোড, কলেজ রোড, একাডেমি রোড, রামপুর শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ি এলাকা, নাজির রোড, পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় পানি নামছে ধীর গতিতে। টানা বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতার কারণে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। সড়কে রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন কম থাকায়...
    টানা বৃষ্টিতে ফেনী শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। গত ২৪ ঘণ্টায় (৭ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) জেলায় ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এটি চলতি বছর দেশের একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃষ্টিতে শহরের এসএসকে সড়ক, রামপুর শাহীন একাডেমি, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, পেট্রোবাংলোসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোমর সমান পানি জমেছে অনেক সড়কে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন। এদিকে, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। আজ রাত ৮টা ২০ মিনিটে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।  আরো পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে মৌসুমের...
    ফেনীতে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে ফেনী আবহাওয়া অফিস। যা মৌসুমের সর্বাধিক বৃষ্টি। এদিকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মুহুরী নদীর বাঁধে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টির কারণে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, ডাক্তারপাড়া, মিজান রোড, কলেজ রোড, একাডেমি রোড, রামপুর শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ি এলাকা, নাজির রোড, পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় পানি নামছে ধীর গতিতে। টানা বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতার কারণে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। সড়কে রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন কম থাকায়...
    উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে টানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নদ-নদীর জলস্তর বৃদ্ধি, মাটিধস ও ঘরবাড়ি ধসে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। বন্যায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত রাজ্য আসাম। সেখানে অন্তত সাড়ে তিন লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।সরকারি হিসাব অনুযায়ী রোববার পর্যন্ত আসামে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের ১২টি জেলায় কয়েক লাখ মানুষ বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। জুনের ৩ তারিখ থেকে ভোটের দিন ৭ জুন পর্যন্ত কয়েকটি নদীতে পানি বিপৎসীমার অনেক ওপরে ছিল। তবে বর্তমানে কিছু জায়গায় পানি কমলেও পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি।আসামের পশ্চিমাঞ্চলের ধুবড়ি এবং দক্ষিণাঞ্চলের হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ অংশ এখনো প্লাবিত। কোপিলি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।দক্ষিণ আসামের শ্রীভূমি জেলায় বন্যা...
    সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে এখনো পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এ দুটি নদীসহ জেলার প্রতিটি নদ-নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে ভারতে বৃষ্টিপাত কমায় পাহাড়ি ঢল কমেছে। স্বাভাবিক কারণেই আমাদের এখানেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ধীরে ধীরে পানি নেমে যাবে। তাই নতুন করে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।’পাউবো সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ২৬ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫১ মিটার ওপরে। অমলশিদ পয়েন্টে ১৬ দশমিক ১৭...
    সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি কিছুটা কমলেও সীমান্তের ওপারে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল থামেনি। ফলে নদ-নদীর পানি বাড়ছেই। জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এদিকে নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত না হলেও সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম ও রাস্তা এখনো প্লাবিত রয়েছে। গতকাল সোমবার জকিগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজার প্লাবিত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোরে পানি পুরোপুরি নেমে গেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী, আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে আগের দিনের মতো পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৬৯ মিটারে অবস্থান করছিল,...
    দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চল বা সিলেট এলাকার অন্তত ৮ নদ–নদীর পানি বাড়ছে। আগামীকাল মঙ্গলবারও বাড়তে পারে এসব নদ–নদীর পানি। আর আগামীকাল তিন জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সেই জেলাগুলো হলো সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা নদী ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদের পানি সমতল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা নদী, মনু ও খোয়াই নদের পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘণ্টা বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর পাশাপাশি সারি, গোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও সোমেশ্বরীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং সুনামগঞ্জ ও...
    উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের বিভিন্ন নদ–নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার চার‌টি নদ-নদী‌র পা‌নি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ ছাড়া ভোগাই ও শেরপুরে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এ ছাড়া ঝিনাইগাতীতে মহারশি নদ ও সোমেশ্বরী নদীর পানি রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে।ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলায়ও বৃ‌ষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফ‌লে মেঘালয় থে‌কে নে‌মে আসা জেলার চেল্লাখালী, ভোগাই, মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি একটু থেমেই আবার বাড়তে শুরু ক‌রে‌ছে।চেল্লাখালী নদীর পা‌ড়ের কচুবা‌ড়ি গ্রা‌মের বা‌সিন্দা...
    সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জেলার কয়েকটি নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে।সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, আজ সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল।কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার পানি ১৩ দশমিক ৫৪ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭৯ মিটার ওপরে। কুশিয়ারার অমলশিদ পয়েন্টে পানি ১৭ দশমিক ১৬ মিটার, যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৬ মিটার ওপরে। শেওলা পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৫০ মিটার, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪৫ মিটার ওপরে এবং ফেঞ্চুগঞ্জে ৯ দশমিক ৬৮ মিটার, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৩ মিটার ওপরে...
    রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আজ সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ বাদে বাকি ছয় বিভাগের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ গতকাল রোববারের চেয়ে আজ কম হতে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার বৃষ্টি আরও কমে যেতে পারে।তবে যেহেতু মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয় আছে, তাই এখন বৃষ্টি মোটামুটি হবে—এমনটা বলেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির। তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে আজ বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা বেশি হতে পারে। এ ছাড়া ঢাকা, রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু স্থানে আজ বৃষ্টি হতে পারে।ভারী বৃষ্টির ফলে সিলেট ও চট্টগ্রামের পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরের নদী তিস্তার পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত...
    কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সিলেটসহ উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জনজীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সিলেটের গোলাপগঞ্জে গভীর রাতে টিলাধসে একই পরিবারের চারজন মারা গেছেন। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধস ও সড়কধসের ঘটনায় থমকে গেছে স্বাভাবিক চলাচল। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নদনদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সোমবার ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।  শনিবার রাত ২টার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মণাবন্দ ইউনিয়নের বখতিয়ারঘাট এলাকায় টিলা ধসে পড়ায় এক পরিবারের চারজন নিহত হন। টিলার পাদদেশে একটি আনারস বাগানের পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন (৫৫), তাঁর স্ত্রী রহিমা বেগম, মেয়ে সামিয়া বেগম (১৪) ও ছেলে আলী আব্বাস (৯)। হঠাৎ...
    সীমান্তের ওপারে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির পানিতে সিলেটের দুটি নদীর দুই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। নগরের ভেতরে অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি জমেছে।সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৪৬ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭১ মিটার ওপরে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে ১৬ দশমিক ১৩ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭৩ মিটার ওপরে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদী ছাড়াও জেলার লোভা, সারি-গোয়াইন ও ধলাইসহ সব কটি নদ-নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সারি ও ডাউকি নদীর পানি গতকালের চেয়ে আজ সামান্য কমেছে।এদিকে ভারী বৃষ্টিপাত...
    তিন দিনের টানা ভারী বর্ষণে বন্যার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে সিলেট অঞ্চলে। এরইমধ্যে গোয়াইনঘাট-রাধানগরের সড়কসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয় ১৩২ মিলিমিটার। অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে নদীর পানি। প্রতিটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে সবার আগে।  শনিবার সকাল থেকে গোয়াইনঘাট-রাধানগর সড়কের কিছু অংশের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করে। এতে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। লোকজন পানি ডিঙিয়ে যাতায়াত করছে। এ উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও বিছনাকান্দি তলিয়ে গেছে পানিতে। পাশের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীতে পানি বাড়ার কারণে সেখানকার পর্যটনকেন্দ্র...
    টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার চারটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ১২টায় চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া ভোগাই ও শেরপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। ঝিনাইগাতীতে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলায়ও গত বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি বেড়েছে। ফলে মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার চেল্লাখালী, ভোগাই, মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।পাউবোর শেরপুর কার্যালয়ের নির্বাহী...
    ভারতের মেঘালয়ে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের বিভিন্ন নদ–নদীর পানি বাড়ছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য নদ–নদীর পানি বাড়ছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা তিনটায় চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে ভোগাই নদের পানি বিপৎসীমার ১৮৪ সেন্টিমিটার ও শেরপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৬৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ঝিনাইগাতীতে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি সকাল থেকে বাড়তে শুরু করেছে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, ২০ মে পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট ও...
۱