শাবিপ্রবিতে দেড় মাসেও কমেনি সেমিস্টার ফি, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
Published: 26th, January 2025 GMT
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অযৌক্তিক সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গত ডিসেম্বর মাস থেকে আন্দোলন করছেন। তবে ফি কমানোর প্রতিশ্রুতির ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেমিস্টার ফি’র পরিমাণ এক লাফে ৩ হাজার ৩৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ১ বছর আগে ছিল ২ হাজার ৪৩০ টাকা। পাশাপাশি তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ক্রেডিট ফি’র পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত তত্ত্বীয় ক্রেডিট ফি ছিল ১০৫ টাকা, যা এখন ১৪০ টাকা করা হয়েছে। ব্যবহারিক ক্রেডিট ফি ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। ফলে নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা আর্থিক চাপে পড়েছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেমিস্টার ফি’র মধ্যে এমন কিছু খাত যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলোর কোন বাস্তব সেবা তারা পাচ্ছেন না। যেমন- ইউনিয়ন ফি হিসেবে প্রতি শিক্ষার্থীকে ১০০ টাকা করে দিতে হলেও, গত ২৭ বছর ধরে শাবিপ্রবিতে ছাত্র সংসদ কার্যকর নেই। এছাড়া রোভার স্কাউট ফি নেওয়া হলেও কার্যত এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ড নেই।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার বলেন, “আমরা গত ডিসেম্বর থেকে অযৌক্তিক ফি কমানোর দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, দ্রুত সেমিস্টার ফি পুনর্বিবেচনা করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।”
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মমিনুর রশিদ বলেন, “জুনিয়রদের ফি জ্যেষ্ঠদের সমান থাকা উচিত। কিন্তু দুই ব্যাচের ফি এর মধ্যে ৭০০ টাকার পার্থক্য তৈরি করা চরম বৈষম্য। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো.
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।