শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অযৌক্তিক সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গত ডিসেম্বর মাস থেকে আন্দোলন করছেন। তবে ফি কমানোর প্রতিশ্রুতির ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেমিস্টার ফি’র পরিমাণ এক লাফে ৩ হাজার ৩৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ১ বছর আগে ছিল ২ হাজার ৪৩০ টাকা। পাশাপাশি তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ক্রেডিট ফি’র পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত তত্ত্বীয় ক্রেডিট ফি ছিল ১০৫ টাকা, যা এখন ১৪০ টাকা করা হয়েছে। ব্যবহারিক ক্রেডিট ফি ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। ফলে নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা আর্থিক চাপে পড়েছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেমিস্টার ফি’র মধ্যে এমন কিছু খাত যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলোর কোন বাস্তব সেবা তারা পাচ্ছেন না। যেমন- ইউনিয়ন ফি হিসেবে প্রতি শিক্ষার্থীকে ১০০ টাকা করে দিতে হলেও, গত ২৭ বছর ধরে শাবিপ্রবিতে ছাত্র সংসদ কার্যকর নেই। এছাড়া রোভার স্কাউট ফি নেওয়া হলেও কার্যত এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ড নেই।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার বলেন, “আমরা গত ডিসেম্বর থেকে অযৌক্তিক ফি কমানোর দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, দ্রুত সেমিস্টার ফি পুনর্বিবেচনা করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।”

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মমিনুর রশিদ বলেন, “জুনিয়রদের ফি জ্যেষ্ঠদের সমান থাকা উচিত। কিন্তু দুই ব্যাচের ফি এর মধ্যে ৭০০ টাকার পার্থক্য তৈরি করা চরম বৈষম্য। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো.

সাজেদুল করিম বলেন, “সেমিস্টার ফির বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান ও ডিনদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। এ আলোচনা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম আলো কোনো সংবাদ প্রকাশ করলে ধরে নিই সংবাদটি ঠিক আছে: মানজুর-আল-মতিন

প্রথম আলো দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দ্রুত সংবাদ প্রকাশ করছে উল্লেখ করে মানজুর-আল-মতিন বলেন, প্রথম আলো কোনো সংবাদ প্রকাশ করলে ধরে নিই সংবাদটি ঠিক আছে।

আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোর ২৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন। এ বছর ‘সত্যই সাহস’ স্লোগান সামনে রেখে নানা আয়োজনে দিনটি পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি।

মানজুর-আল-মতিন বলেন, 'যখন একটা নতুন খবর আসে, কেউ ব্রেকিং চালিয়ে দিয়েছে, আমরা কিন্তু প্রথমে অনলাইন খুলে দেখি যে আপনারা দিলেন কিনা, যদি আপনারা দেন, আমরা মোটামুটি ধরে নেই যে আচ্ছা ঠিক আছে, খবরটা ঠিক আছে।'

তিনি বলেন, প্রথম আলোকে এই মানদন্ডটা ধরে রাখতে হবে। তিনি মনে করেন, সংবাদ মাধ্যম যদি ভরসার জায়গা না থেকে দ্রুত হওয়ার তাগিদে ভুল করে, তখন সেটা বিপদজনক হয়ে যায়।

প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সারা দেশের কর্মীদের অংশগ্রহণে এক প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল দশটায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী এ আয়োজনে আলোচনা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সেরা কর্মীদের পুরস্কারসহ থাকছে নানা অনুষ্ঠান।

মানজুর-আল-মতিন বলেন, 'এখন বাস্তব থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যন্ত নারীরা ভীষণভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। প্রতিদিন সেটা ডান শিবির হোক, বাম শিবির হোক দিনের শেষে লক্ষ্যবস্তু একজন নারী।'

নিপীড়নের শিকার নারীদের পাশে থেকে জোরােলো অবস্থান নিতে তিনি প্রথম আলোর প্রতি আহ্বান জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ