জামা-জুতাও নিয়ে গেল ছিনতাইকারীরা, ভিডিও ভাইরাল
Published: 12th, July 2025 GMT
ঢাকার শ্যামলীতে এক যুবক ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে নিজের পরনের জামা-জুতাও হারিয়েছেন। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টায় এই ঘটনাটি ঘটে শ্যামলীর এক ফাঁকা গলিতে। তবে ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ভিডিওতে দেখা যায়, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে এক যুবক ছাতা মাথায় গলির মধ্যে হেঁটে আসছেন। পেছন থেকে হেটলাইট জ্বালিয়ে একটি মোটরসাইকেল আসছে। ওই যুবকের কাছাকছি আসার পর মোটরসাইকেল থেকে খানিকটা লাফ দিয়ে একজন নামেন। মোটরসাইকেলে ৩ আরোহীর মধ্যে মাঝের জনের গায়ে কোনো জামা ছিল না এবং পা ছিল খালি। হেলমেট পরা নীল রঙের শার্ট পরা এক ছিনতাকারী চাপাতি হাতে প্রথমে ওই যুবকের পকেট চেক করেন। এর খালি গায়ে থাকা ছিনতাইকারী প্রথমে ছাতা এবং পরে যুবকের কাঁধে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নেন। এরপর চালক মোটরসাইকেলটি ঘুরিয়ে যেদিক দিয়ে আসছিলেন সেদিকে ঘোরান। ওই যুবক ছিনতাইকারীদের কথামত টি-শার্ট এবং জুতা খুলে দেন। খালি গায়ে থাকা ছিনতাইকারী ওই যুবকের জুতা পরেন এবং টি-শার্ট হাতে নেন। এরপরও নীল শার্ট পরা ছিনতাইকারী ওই যুবককে চাপাতি দিয়ে কোপাতে যান। তখন ওই যুবক দুই হাত জড়ো করে কিছুটা পেছনে সরে আসেন। আর ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলে উঠে চলে যান।
আরো পড়ুন:
সিরাজদিখানে ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ নিহত
ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবি: বড় বোন নিহত, নিখোঁজ ছোট বোন
পুরো সময়টিতে আশপাশে কেউ এগিয়ে আসেনি, বরং কেউ একজন দূর থেকে ভিডিও করেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাকারিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, “ওই ঘটনার ভিডিওটি আমরাও দেখেছি, দোষীদের শনাক্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করছি, অপরাধীদের দ্রুতই আইনের আওতায় সম্ভব হবে।”
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, এলাকায় সন্ধ্যার পর পথচারীদের চলাচল কমে যায় এবং প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তবে জামা-জুতা পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম দেখলেন বলে জানান তারা।
ঢাকা/এমআর/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি মাহমুদ খালিলের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবিতে আদালতে মামলা করেছেন ফিলিস্তিনপন্থি অধিকারকর্মী মাহমুদ খালিল। তাঁকে বেআইনিভাবে আটক করে রাখার অভিযোগে তিনি এই আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। ১০০ দিনের বেশি সময় আটক থাকার পর সম্প্রতি লুইজিয়ানার অভিবাসন কারাগার থেকে মুক্তি পান খালিল।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন মাহমুদ খালিল। গত ৮ মার্চ নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের লবি থেকে তাঁকে আটক করেন অভিবাসন কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে খালিল অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করেছে এবং বেআইনিভাবে তিন মাসের বেশি সময় ধরে তাঁকে আটক রেখেছে।
ওই আবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে বিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। খালিল জানান, তাঁর লক্ষ্য, ট্রাম্প প্রশাসনকে একটি বার্তা পাঠানো যে, তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘তারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। কারণ তারা মনে করে, তাদের কেউ আটকাতে পারবে না।’
তিনি জানান, যদি তিনি কোনো ক্ষতিপূরণের অর্থ পান, তবে সেই অর্থ ট্রাম্প প্রশাসনের ফিলিস্তিনপন্থিদের দমনে ‘ব্যর্থ’ প্রচেষ্টার ভুক্তভোগী অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেবেন। তিনি একটি আনুষ্ঠানিক ক্ষমা এবং প্রশাসনের নির্বাসন নীতিতে পরিবর্তনেরও দাবি করেছেন।
ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একজন মুখপাত্র খালিলের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, খালিলের ‘ঘৃণামূলক আচরণ ও বক্তব্য’ ইহুদি শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকি ছিল। তাঁকে আটক করে রাখা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
১০৪ দিন আটক থাকার পর গত ২০ জুন একজন ফেডারেল বিচারক খালিলকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিচারক বলেন, খালিলকে পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার সরকারি প্রচেষ্টা অসাংবিধানিক।