সৌদি আরবের কাছে ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরের আগে শুক্রবার এ অনুমোদন দেওয়া হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি তারা কংগ্রেসকে জানিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে থাকবে মধ্যপাল্লার ১ হাজার ‘এআইএম–১২০’ ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে থাকা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য কোনো আকাশযান থেকে (এয়ার টু এয়ার) এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া যায়।

আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে সম্প্রতি প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে ইতালির রাজধানী রোমে সংক্ষিপ্ত সফর করেছিলেন তিনি। এটিই ছিল দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম বিদেশ সফর।

তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের সঙ্গে বড় ধরনের বাণিজ্যচুক্তি করার কথা আগে থেকেই বলে আসছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে মস্কো ও কিয়েভের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে রিয়াদ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আরব র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের নিট মুনাফা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে

বেসরকারি খাতের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড অতিক্রম করলেও নিট মুনাফায় বড় ধাক্কা খেয়েছে। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে ৪৭৩ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে, ২০২৩ সালে যা ছিল ৮০২ কোটি টাকা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটি শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

ব্যাংকটি সূত্রে জানা গেছে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০২৪ সালে ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করে। ২০২৩ সালে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। ওই বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা ছিল ৮০২ কোটি টাকা; যা ছিল দেশীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে গত বছরে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হয়েছে ৪৭৩ কোটি টাকা।

ব্যাংকটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্যে জানিয়েছে, ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করায় মুনাফা কমে গেছে; যা ভবিষ্যতে ব্যাংকটির স্বাস্থ্য উন্নতি করতে ভূমিকা রাখবে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন প্রথম আলোকে বলেন, এবার পরিচালন মুনাফা অনেক হলেও চাহিদামতো ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতের ঝুঁকি চিন্তা করে ব্যাংকের ভিত্তি শক্তিশালী করার পদক্ষেপ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য মুনাফা কমে গেছে। তবে শেয়ারধারীদের ঠিকই ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ