মানবিক সহায়তা করিডরের সঙ্গে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা জড়িত
Published: 3rd, May 2025 GMT
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শর্ত সাপেক্ষে মিয়ানমারের বেসামরিক লোকজনের জন্য মানবিক করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা ও ঐকমত্য জরুরি বলে মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মানবিক সহায়তা করিডরের সঙ্গে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা জড়িত, এ কথা উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চ আশা প্রকাশ করেছে, যেখানে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত, সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার একক সিদ্ধান্ত না নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেছেন। মঞ্চভুক্ত দল নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু (মঞ্চের সমন্বয়ক), রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এই বিবৃতিতে সই করেছেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা সংকট জটিল আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই সংকটের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ বিষয়ে আলাপ–আলোচনা ও ঐকমত্য জরুরি। মানবিক সহায়তা করিডরের সঙ্গে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা জড়িত। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত স্বৈরাচারী সরকার একক সিদ্ধান্তে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয় এবং বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছে। এ কারণে বাংলাদেশ নিরাপত্তাসহ সামাজিক নানা সমস্যায় জর্জরিত। সংবাদমাধ্যমের বরাতে আমরা জেনেছি, মিয়ানমার সরকার প্রথম দফায় ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে। তবে এরপরই ইতিমধ্যে আরও ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কথা শোনা যাচ্ছে। এতে করে সমস্যা আরও বাড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
গণতন্ত্র মঞ্চ মনে করে, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে গত বছরের ৫ আগস্ট যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে, সেটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছতার হবে। তাদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সব সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমরা আশা করি, যেখানে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত, সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার একক সিদ্ধান্ত না নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। দেশের নিরাপত্তা সবার আগে। তাই স্পর্শকাতর এই বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে গণতন্ত্র মঞ্চ বিশ্বাস করে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক দল র র বর ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সংকট এখনও কাটেনি, বললেন রিজভী
সংকট এখনও কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছে সেটি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।
বুধবার সকালে নরসিংদী জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি অর্ন্তবর্তী সরকারকে সমর্থন করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে গায়েবী মামলা দিয়ে যারা নির্যাতন করেছে তাদের এখনও কেনো আইনের আওতায় আনা হয়নি প্রশ্ন রাখেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘কারও যদি মনে হয় সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে, সেটি আলাপ আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।’
রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আপোসহীন নেতৃত্বের জন্য বিএনপিতে ভাঙন ধরানো যায়নি। বিএনপি ভাঙার জন্য হাসিনার প্রতিটি চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল এগিয়ে যাচ্ছে।’
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘সংকট এখনও কাটেনি। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে এখনও অনেক কাজ বাকি। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনে তা সুপ্রতিষ্ঠিত করা, গণতন্ত্রের সৌধ নির্মাণ করা, এ কাজগুলো আমাদের করতে হবে।’ ডেঙ্গু ও করোনা মোকাবিলায় জাতীয় টাস্কফোর্স করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহি, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, জয়নাল আবদেীন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েলসহ নরসিংদী জেলা বিএনপির নেতারা। এ সময় নবনির্বাচিত নেতাদের নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করান।