কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) দেশে ফিরবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি আগামীকাল সোমবার লন্ডন থেকে রওনা হবেন, মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবেন।

বিএনপির মিডিয়া উইং থেকে আজ রাত পৌনে ১২টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অবশ্য মঙ্গলবার ঠিক কখন খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন, তা জানা যায়নি। এই তথ্য পরে জানানো হবে বলে ওই বার্তায় উল্লেখ করেছে মিডিয়া উইং।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করেন। তখন অবশ্য বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া সোমবার দেশে ফিরবেন। তবে সোমবার ঠিক কোন সময়ে তিনি দেশে পৌঁছাবেন, সেটা নিশ্চিত করে বলেননি তিনি। তাঁর সংবাদ সম্মেলনের সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিএনপির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, সোমবার নয়, মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া।

গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে বিমানে তিনি (খালেদা জিয়া) গেছেন, কাতারের রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্স, সেই অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইটেই তিনি ফিরে আসবেন। সময়টা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। সময়টা নির্ভর করবে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। যখনই নিশ্চিত হব, আবার গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দেব।’

আরও পড়ুনসবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: খালেদা জিয়া০১ এপ্রিল ২০২৫

এর আগে গত শুক্রবার বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রোববার সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমানও দেশে আসছেন।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাজকীয় বহরের বিশেষ বিমান দিয়েছিলেন। ওই বিশেষ বিমানে (বিশেষ ধরনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে তিনি লন্ডনে যান। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানেই আবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন তিনি।

আরও পড়ুনতারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের পার্কে ঘুরলেন খালেদা জিয়া০২ এপ্রিল ২০২৫

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে চার মাস পর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন তাঁকে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, অত্যন্ত শৃঙ্খলাসহকারে যানজট সৃষ্টি না করে রাস্তার দুই ধারে দলের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন। নেতা-কর্মীরা এক হাতে জাতীয় পতাকা, আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন খালেদা জিয়াকে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চার মাস পর চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। স্বাভাবিকভাবে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগ আছে। তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো নৈতিক দায়িত্ব। সারা দেশের মানুষ অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত। শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জনগণ যেন তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের আগে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে যৌথ সভা করেন মির্জা ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার প্রমুখ।

আরও পড়ুন১৭ বছর পর শাশুড়ির সঙ্গে দেশে ফিরছেন জুবাইদা রহমান০২ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ত র র আম র ব এনপ র ম র ব এনপ র স মব র ফখর ল রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সরাসরি: যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি ১৪ বিমানে সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে ইসরায়েলকে

যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির ১৪টি সামরিক কার্গো বিমান ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য সরঞ্জাম ও রসদ বহন করে এনেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির সামরিক সহায়তা দেশে পৌঁছেছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিমানগুলো ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে পরিচালিত বিমান ও সমুদ্রপথের ‘সাপ্লাই ব্রিজ’ বা সরবরাহ-সেতুর অংশ।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব চালান সেনাবাহিনীর ‘অপারেশনাল প্রস্তুতি’ বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামলার পর থেকে ইসরায়েলে আসা আট শতাধিক সামরিক কার্গো বিমানের পর এটি আরো একটি দারুণ সংযোজন।

যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে আসা সামরিক সরঞ্জামগুলোর প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ওয়াশিংটন ও বার্লিনও এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।

১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলার পর থেকে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এই পর্যন্ত উভয় দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; প্রাণহানি হয়েছে বহু মানুষের।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জন নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছে।

অন্যদিকে, ইরানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৬৩৯ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ