খালেদা জিয়া কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন
Published: 3rd, May 2025 GMT
কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) দেশে ফিরবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি আগামীকাল সোমবার লন্ডন থেকে রওনা হবেন, মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবেন।
বিএনপির মিডিয়া উইং থেকে আজ রাত পৌনে ১২টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অবশ্য মঙ্গলবার ঠিক কখন খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন, তা জানা যায়নি। এই তথ্য পরে জানানো হবে বলে ওই বার্তায় উল্লেখ করেছে মিডিয়া উইং।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করেন। তখন অবশ্য বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া সোমবার দেশে ফিরবেন। তবে সোমবার ঠিক কোন সময়ে তিনি দেশে পৌঁছাবেন, সেটা নিশ্চিত করে বলেননি তিনি। তাঁর সংবাদ সম্মেলনের সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিএনপির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, সোমবার নয়, মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে বিমানে তিনি (খালেদা জিয়া) গেছেন, কাতারের রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্স, সেই অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইটেই তিনি ফিরে আসবেন। সময়টা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। সময়টা নির্ভর করবে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। যখনই নিশ্চিত হব, আবার গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দেব।’
আরও পড়ুনসবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: খালেদা জিয়া০১ এপ্রিল ২০২৫এর আগে গত শুক্রবার বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রোববার সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমানও দেশে আসছেন।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাজকীয় বহরের বিশেষ বিমান দিয়েছিলেন। ওই বিশেষ বিমানে (বিশেষ ধরনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে তিনি লন্ডনে যান। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানেই আবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন তিনি।
আরও পড়ুনতারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের পার্কে ঘুরলেন খালেদা জিয়া০২ এপ্রিল ২০২৫লন্ডনে চিকিৎসা শেষে চার মাস পর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন তাঁকে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, অত্যন্ত শৃঙ্খলাসহকারে যানজট সৃষ্টি না করে রাস্তার দুই ধারে দলের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন। নেতা-কর্মীরা এক হাতে জাতীয় পতাকা, আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন খালেদা জিয়াকে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চার মাস পর চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। স্বাভাবিকভাবে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগ আছে। তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো নৈতিক দায়িত্ব। সারা দেশের মানুষ অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত। শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জনগণ যেন তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে যৌথ সভা করেন মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার প্রমুখ।
আরও পড়ুন১৭ বছর পর শাশুড়ির সঙ্গে দেশে ফিরছেন জুবাইদা রহমান০২ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র র আম র ব এনপ র ম র ব এনপ র স মব র ফখর ল রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়েই জ্যোতিদের বিশ্বকাপের মিশন
আইসিসি উইমেনস ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার অংশ নিতে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়বে নিগার সুলতানার দল। আগামী ২ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মূল লড়াই।
বিশ্বকাপের মিশনে ভালো করতে মরিয়া বাংলাদেশ। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের পরিবর্তে বাংলাদেশ দলের সঙ্গী প্রস্তুতির ঘাটতি। কেননা পাঁচ মাস বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। কেবল নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতিতে কি আর বিশ্বকাপে ভালো করা সম্ভব? সেই প্রশ্নটা উঠতেই আশা দিয়ে বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।
আরো পড়ুন:
বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয়
বিশ্বকাপে রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ফের এক নম্বরে হিলি
বিসিবিতে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে কোচ সরোয়ার ইমরান ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি পাশাপাশি বসে প্রায় একই কথা বললেন।
সারোয়ার ইমরান বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি ম্যাচ ধরে খেলা ও ভালো খেলা। আমাদের দুটি ম্যাচে ভালো সুযোগ আছে, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এছাড়া অন্যান্য দলের সঙ্গেও আমরা... কাউকে বড় করে দেখছি না। শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।”
লম্বা সময় ধরে যে ক্যাম্প করেছেন জ্যোতিরা সেটিকেই ভরসা মানছেন অধিনায়ক, “অবশ্যই (বড় দলের সঙ্গে খেলতে পারলে ভালো হতো) ..আদর্শ প্রস্তুতি হয়তো হয়নি। তবে আমি মনে করি, বাংলাদেশে যত ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে, সবগুলো আমরা পেয়েছি। এখনো পর্যন্ত আমরা যতগুলো ক্যাম্প করেছি, সব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছি। চেষ্টা তো করা হয়েছে। তবে যেটা হয়নি, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। যেভাবে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি, আমার মনে হয় ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।”
মূল মঞ্চে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কায় দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে৷ দুটি ম্যাচে ভালো কিছুর আশায় সরোয়ার ইমরান, “প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলব। তবু অস্ট্রেলিয়া বা আরো দু-একটা দলের যে স্ট্যান্ডার্ড, তাদেরকে আমরা নিজেদের চেয়ে অনেক ওপরে দেখব না। আমাদের মতো ভাবব এবং জেতার জন্যই খেলব প্রতিটি ম্যাচ। গত বিশ্বকাপে আমরা পাকিস্তানকে হারিয়েছি। এবার আরো কিছু ম্যাচ জেতার জন্য যাচ্ছি।”
আগামী ২ অক্টোবর বাংলাদেশের মিশন শুরু হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এরপর ভারত সফর করবে নারীরা। ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। খেলা হবে গৌহাটিতে। ১০ অক্টোবর একই মাঠে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড।
১৩ অক্টোবর বিশাখাপত্তনমে বাংলাদেশ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। একই মাঠে ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের খেলা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। রাউন্ড রবিন লিগের শেষ দুই ম্যাচ হবে মুম্বাইয়ে। ২০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা ও ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
মূল প্রতিযোগিতায় মাঠে নামার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। একদিন পর বাংলাদেশ খেলবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার (সহ অধিনায়ক), ফারজানা হক, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক, শারমিন আক্তার সুপ্তা, সোবহানা মোস্তারি, রিতু মনি, স্বর্ণা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, রায়েয়া খান, মারুফা আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, সানজিদা আক্তার মেঘলা, নিশিতা আক্তার নিশি ও সুমাইয়া আক্তার।
ঢাকা/ইয়াসিন/এসবি