খালেদা জিয়া মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় আসছেন
Published: 4th, May 2025 GMT
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দেশে ফিরছেন। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছাবেন। আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকায় বিমান বন্দরে পৌঁছাবেন বলে আমরা আশা করছি।’
কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) দেশে ফিরবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি আগামীকাল সোমবার লন্ডন থেকে রওনা হবেন, মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবেন।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাজকীয় বহরের বিশেষ বিমান দিয়েছিলেন। ওই বিশেষ বিমানে (বিশেষ ধরনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে তিনি লন্ডনে যান। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানেই আবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন তিনি।
লন্ডনে চিকিৎসা শেষে চার মাস পর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন তাঁকে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে বলে জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গতকাল শনিবার বলেন, অত্যন্ত শৃঙ্খলা সহকারে যানজট সৃষ্টি না করে রাস্তার দুই ধারে দলের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন। নেতা-কর্মীরা এক হাতে জাতীয় পতাকা, আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন খালেদা জিয়াকে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চার মাস পর চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। স্বাভাবিকভাবে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগ আছে। তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো নৈতিক দায়িত্ব। সারা দেশের মানুষ অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত। শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জনগণ যেন তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. আলমগীর (১৮) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে অপর এক রোহিঙ্গা।
সোমবার দুপুরে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ডি ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক নূরে আযম। নিহত আলমগীর ওই ক্যাম্পের ডি ব্লকের মৃত মোহাম্মদ হারেছের ছেলে।
নূরে আযম জানান, আলমগীরের সাথে সি ব্লকের রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুল আলমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নুরুল আলম তার হাতে থাকা ওয়ান শুটার গান দিয়ে আলমগীরের বুকে পাঁজরের নিচে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশেপাশে থাকা লোকজনের সহায়তায় ভিকটিমকে ক্যাম্প সংলগ্ন জিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহটি টেকনাফ থানার পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
টেকনাফ থানার ওসি তদন্ত হিমেল রায় জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে।