ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি রাজপথেও সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এরপর কয়েক মাস নিজেকে আড়াল করে নিয়েছিলেন। তবে আবারও সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি নারীর অবমাননা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাঁধন। যেখানে তিনি বলতে চেয়েছেন, স্বাধীনতা হবে শর্তসাপেক্ষ- এমন পৃথিবী কখনো দেখতে চান না তিনি।

বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি, কিন্তু আমি সেখানে মরতে রাজি নই। আমি এমন পৃথিবী দেখতে চাই না, যেখানে অধিকার নির্ধারিত হবে ক্ষমতার ভিত্তিতে, আর স্বাধীনতা হবে শর্তসাপেক্ষ। আমি এমন ভবিষ্যতে বিশ্বাস করি, যেখানে প্রতিটি মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে, থাকবে নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা, যা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।’

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি স্ট্যাটাসেই উঠে এসেছে বাঁধনের প্রতিবাদী কণ্ঠ। হঠাৎ কেন এমন উপলব্ধি তার? অভিনেত্রী জানালেন, ‘এটা হঠাৎ কোনো উপলব্ধি নয়, বরং বহুদিনের ভাবনা। আমি এমন পরিবারেই বড় হয়েছি, যেখানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার ছাপ স্পষ্ট। আমার নিজের বাবাও সেই ব্যবস্থার অংশ ছিলেন।’

এর আগেও এক স্ট্যাটাসে বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি এখানে কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি। আমার জীবন, আমার নিয়ম-আমি কী করব, কীভাবে বাঁচব, আর কী হব, তা একমাত্র আমিই ঠিক করি। আমার পথ আমি নিজেই বেছে নিই, আমার সিদ্ধান্ত আমার নিজের।’

তিনি আরও লেখেন, ‘কারও অনুমতি, প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই আমার। আমি শুনি যখন চাই, করি যখন মন চায়, আর যে যা-ই বলুক, নিজের অবস্থানে অটল থাকি। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে? কখনও না, কোনোদিন না।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব ধ নত এমন প

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। পরে এ বিষয়ে বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন তারা। 

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘অসম্প্রদায়িক বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এক দুই তিন চার, ধর্ম অবমাননাকারী বহিষ্কার’, ‘আমার পরিচয়, আগে আমি বাংলাদেশি’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

আরো পড়ুন:

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে জবিতে মানববন্ধন

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যা: তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি

শিক্ষার্থীরা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কিছু শিক্ষার্থী অবমাননাকর পোস্ট দিচ্ছে। এসব পোস্ট বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে অ্যাডমিনদের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।

আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে, যিনি ধর্ম অবমাননার কাজ করেছেন, তারও তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি— যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ