এটা বললে বাড়াবাড়ি হবে না, অনেক বলিউড অভিনয়শিল্পীর হলিউডে কাজ করার একটা সুপ্ত ইচ্ছা মনের কোণে থাকে। একাধিক বিটাউন নায়িকা হলিউডে নিজের ভাগ্য পরীক্ষাও করেছেন। তালিকায় আছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভাট, হুমা কুরেশির মতো অভিনেত্রী। তবে কারিনা কাপুর খানের এ রকম কোনো ইচ্ছা যে নেই, তা তাঁর কথায় স্পষ্ট। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড অডিও ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট (ওয়েভস) সামিট ২০২৫-এর আসরে হলিউডে অভিনয় করা নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন এই বলিউড অভিনেত্রী।
১ মে থেকে মুম্বাই জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে উদ্যাপিত হচ্ছে এই সামিট। চার দিনের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কারিনা কাপুর খান ও চিত্রনির্মাতা করণ জোহর। কারিনা খোলাখুলিভাবে বলেন যে বলিউডে কাজ করেই তিনি দারুণ খুশি।
জনপ্রিয় টক শো ‘কফি উইথ করণ’-এও বলিউড অভিনেতাদের হলিউডে কাজ করা নিয়ে কারিনাকে একটা প্রশ্ন করেছিলেন করণ। কারিনা তখন বলেছিলেন, ‘সবার যেন হলিউডে যাওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছে।’
কারিনা কাপুর খান। এএনআই.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চলে গেলেন শিক্ষাবিদ যতীন সরকার
বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার আর নেই। আজ বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। যতীন সরকারের ছেলে সুমন সরকার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
যতীন সরকার বেশ কয়েক মাস ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলি আর্থ্রাইটিসে ভুগছিলেন। জুন মাসে বেশ কিছু কারণে তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাঁকে ময়মনসিংহে তাঁর মেয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি তাঁকে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ময়মনসিংহ জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ বাহার মজুমদার প্রথম আলোকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জানান, বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তাঁর মৃত্যু হয়। এখন লাশ হাসপাতালেই আছে। সেখান থেকে জেলার উদীচী কার্যালয়ে বিকেল ৪টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। পরে সেখান থেকে নিজ জেলা নেত্রকোণায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
যতীন সরকার ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোনার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক সুদীর্ঘকাল ধরে মননশীল সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
লেখক হিসেবে যতীন সরকার ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পদক, ২০০৫ সালে ‘পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন’ গ্রন্থের জন্য প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থপুরস্কার, ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার, মনিরুদ্দীন ইউসুফ সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন।
৪২ বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা পেশায় থেকে ২০০২ সালে অবসর গ্রহণের পর যতীন সরকার স্ত্রী কানন সরকারকে নিয়ে শিকড়ের টানে চলে যান নিজ জেলা নেত্রকোনায়। সেখানে শহরের সাতপাই এলাকার নিজ বাড়িতেই থাকতেন।