2025-08-13@07:50:45 GMT
إجمالي نتائج البحث: 27

«এসব ঋণ»:

    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৫ সাল থেকে বিদেশি ঋণ নিয়ে বড় বড় প্রকল্প করা হয়েছে। এসব ঋণের বেশির ভাগই দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে বা সরবরাহকারী ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়। এসব ঋণের বিপরীতে এখন বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে, যা অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করছে।বছরে চার বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে, এটি বেশি মনে হতো না, যদি ওই সব ঋণের সদ্ব্যবহার করতে পারতাম; অর্থনীতিতে যদি গতি থাকত। কিন্তু এসব ঋণের প্রকল্পে অপচয়, তছরুপ ও দুর্নীতি হয়েছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপের মধ্যে আছে। ওই সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে রপ্তানি আয় যদি বাড়াতে পারতাম, তাহলে ডলার আসত। তখন বিদেশি ঋণ পরিশোধে সমস্যা হতো না। তাই বিদেশি ঋণ পরিশোধ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।ভবিষ্যতে ঋণ পরিশোধ আরও উদ্বেগ বাড়াতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের...
    ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলায় তাঁর স্ত্রী রুকমীলা জামানসহ মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার মামলা করেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান খান। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করা হয়েছে।রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে কাগুজে প্রতিষ্ঠান ‘ভিশন ট্রেডিং’ করা হয়। কথিত এই প্রতিষ্ঠানের নামে চট্টগ্রামের ইউসিবি পোর্ট শাখা থেকে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ২৫ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়।যাচাই ছাড়াই ব্যাংকের ওই শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. একরাম উল্লাহ এবং শাখাপ্রধান ও ভাইস...
    ২০২৪ সালের কিছু সময়জুড়ে অস্থিরতা ছিল। আবার ব্যাংক খাতে তারল্য প্রবাহও কম ছিল। এসবের প্রভাব পড়েছে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্প (সিএমএসইএমই) খাতের ঋণ বিতরণে। করোনার পর গত বছর বিতরণ কমেছে। ২০২৪ সালে সিএমএসএমইতে বিতরণ হয়েছে মোট ২ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় যা ১৪ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা বা সাড়ে ৬ শতাংশ কম। সংশ্লিষ্টরা জানান, কম খরচে বেশি কর্মসংস্থান হয় ছোট ও মাঝারিশিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে। যে কারণে উন্নয়নশীল দেশে সব সময়ই এসব খাতে বিতরণে জোর দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বেশ আগ থেকে এ খাতে ঋণ বিতরণ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়ে আসছে। চলতি বছরের এক নির্দেশনার মাধ্যমে ব্যাংক খাতের মোট ঋণের অন্তত ২৭ শতাংশ সিএমএসএমইতে বিতরণের নির্দেশ দেওয়া। বিনা জামানতে নারীদের জন্য ২৫ লাখ টাকা এবং...
    ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা সঞ্চয়পত্রে হঠাৎ সরকারের ঋণ বেড়েছে। গত এপ্রিলে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। যদিও আগের মাসগুলোতে অনেক কমায় চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১০ মাসে ৭ হাজার ৪৩১ কোটি টাকার ঋণ কমেছে বলে সঞ্চয় পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় তিন বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় ক্ষমতা কমেছে। এর মধ্যে ২০২২ সাল থেকে ব্যাংক খাতে ব্যাপক তারল্য সংকট সৃষ্টি হওয়ায় আমানতের সুদহার বেড়ে যায়। ট্রেজারি বিল, বন্ডের সুদহারও অনেক বেড়েছে। ট্রেজারি বিল, বন্ডে বেশ কিছুদিন ধরে সুদহার রয়েছে ১২ শতাংশের আশপাশে। আবার ট্রেজারি বিল, বন্ডের মুনাফার ওপর কোনো কর কাটা হয় না। এখানে যে কোনো পরিমাণের বিনিয়োগ করা যায়। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ৫ থেকে ১০ শতাংশ কর কাটা হয়। এসব...
    বিদেশি ঋণ নেওয়ার কারণে দেশের নীতি নির্ধারণে বিদেশিদের প্রভাব আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার অর্থবিষয়ক বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী।আনিসুজ্জামান চৌধুরীর মতে, উন্নয়ন খাতে বিদেশি সহায়তা গ্রহণ করতে গিয়ে দেশকে শর্ত মেনে চলতে হয়; যে কারণে রাজস্ব আদায় ও বিদেশি বিনিয়োগ—উভয়ই বাধাগ্রস্ত হয়। বিদেশি ঋণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।আজ সোমবার রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত বাজেট পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী।আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের করনীতি কবে হবে, কত বছরে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা নেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় দেখেছি, শুধু ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে হেরে গেছে।’জাতীয় ঐক্যের অভাব, রাজনৈতিক কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়ে উদাসীনতা আর স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে দলীয়করণের প্রবণতার কথা...
    আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ হু হু করে বেড়ে গেছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদেও খেলাপি ঋণ বাড়ত। খেলাপি ঋণ কম দেখাতে তখন নানা কৌশল বেছে নেওয়া হতো। প্রতিটি নির্বাচনের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশীয় বা বৈশ্বিক যেকোনো সংকট হলেই ছিল বিশেষ ব্যবস্থা—নির্দিষ্ট সময়ের ঋণ পরিশোধ করা না হলেও খেলাপি করা হতো না। এরপরও আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে খেলাপি ঋণ বেশ বেড়েছিল।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন মোট খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। গত বছরের আগস্টে সরকার পতনের আগে জুন শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের...
    লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণের আসল চিত্র প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করে মন্দ ঋণ যেন লাফিয়ে বাড়ছে। গত মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের চার লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা বা ২৪ দশমিক ১৩ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে দশ ব্যাংকেই রয়েছে প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।  সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত সরকারের সময়ে অনিয়ম-জালিয়াতির শীর্ষে থাকা ব্যাংকগুলোই রয়েছে এ তালিকায়। সরকার ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন ব্যাংকে একক আধিপত্য বিস্তর করে নামে-বেনামে বিভিন্ন উপায়ে আমানতকারীর টাকা আত্মসাৎ করেন; যার একটি বড় অংশ পাচার করা হয়। ফলে এসব ঋণ আর ফেরত আসছে না। গত ৫ আগস্টের আগে টাকা ফেরত না দিয়েও ঋণ নিয়মিত দেখানোর যে ব্যবস্থা ছিল তাও বন্ধ হয়েছে। এসব কারণে লাফিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ।  পরিমাণ বিবেচনায়...
    দেশের পুঁজিবাজারের প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কি পরিমাণ মার্জিন ঋণ রয়েছে এবং এর বিপরীতে সৃষ্ট অনাদায়ী ক্ষতি (নেগেটিভ ইক্যুইটি) ও প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) কি পরিমাণ রয়েছে তার হালনাগাদ তথ্য জানতে চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। দুটি পৃথক পৃথক নিয়মে এসব তথ্য জমা দিতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনকে (বিএমবিএ) এসব তথ্য সংগ্রহকে বিএসইসিতে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনার চিঠি ডিএসই ও সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিএমবিএ’র সভাপতিকে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানগুলোকে মার্জিন অ্যাকাউন্টে সৃষ্ট নেগেটিভ ইক্যুইটির ওপর প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে জমা...
    দেশের ব্যাংকিং খাত দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থাপনা, রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্বল তদারকি ও নানা আইনি জটিলতার কারণে সংকটে আছে। সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংকিং খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একীভূত করা হবে পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে আগের সংকটের রেশ ধরেই ঋণ খেলাপি হওয়ার পাশাপাশি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে মন্দ ঋণ। শুধু মন্দ ঋণের পরিমাণ বাড়ছে, তা নয়; এসব মন্দ ঋণ আদায়ের সম্ভাবনাও খুবই কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে দেশের ব্যাংকগুলোর মন্দ ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণ খেলাপির ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ সময়ে ঋণ খেলাপির পরিমাণ ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। উল্লিখিত সময়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ১৭ লাখ ৪১...
    সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক মিলে একটি বড় ইসলামী ব্যাংক করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে এসব ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই (অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ– একিউআর) প্রায় শেষ হয়েছে। ব্যাংকগুলো এতদিন নিয়মিত দেখিয়ে আসছিল– এমন প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। সব মিলিয়ে পাঁচটি ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। মোট ঋণের যা প্রায় ৭৭ শতাংশ। বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৭৪ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক দুই অডিট ফার্মের একিউআর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আমানতকারীর জমানো টাকা ফেরত দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ ধার নিয়ে চলছে এমন ছয়টি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার লক্ষ্যে অবস্থা যাচাইয়ে গত জানুয়ারিতে দুটি আন্তর্জাতিক অডিট...
    টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিনসহ গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী কিনতে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ সুবিধা রয়েছে। এ জন্য কনজ্যুমার ক্রেডিট বা ভোক্তা ঋণ নামে ব্যাংকিং পণ্য রয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন উৎসব সামনে রেখে বা বছরের যে কোনো সময়ে ডেবিট, ক্রেডিট বা প্রি-পেইড কার্ডে এসব পণ্য কেনাকাটা করলে ছাড় পাওয়া যায়। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্য কিনলে ছাড় দিয়ে থাকে।  ঋণ কীভাবে পাবেন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে এ ধরনের ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে বিবরণ থাকে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের কল সেন্টারে ফোন করে এ বিষয়ে জানা যায়। কারও কোনো ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব বা অন্য কোনো ঋণ হিসাব থাকলে সেই শাখায় গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। অনেক সময় বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানও ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়।...
    কয়েক সপ্তাহ ধরে জোরালো জল্পনা-কল্পনা। সেটা হলো, বাংলাদেশ কঠিন শর্তাবলির ভয়ে এবং সেগুলোর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাবের কথা বিবেচনায় নিয়ে আইএমএফের বিদ্যমান ঋণ কর্মসূচি থেকে সরে আসার কথা ভাবছে। কিন্তু আমার মত, এমন সিদ্ধান্ত ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন এবং শুধু তাই নয়, দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য তা ক্ষতিকর। শুধু ঋণের তাৎক্ষণিক খরচের দিকে না তাকিয়ে বরং এই কর্মসূচির কৌশলগত সুবিধাগুলোর দিকে নজর দেওয়া জরুরি, বিশেষ করে ব্যাংকিং খাত, করব্যবস্থা, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও বিনিময়হার নীতির মতো দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত কাঠামোগত সংস্কারে চাপ তৈরি করার কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে আইএমএফের শর্ত।এ কথা সত্য, ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতির সাপেক্ষে খুব বড় অঙ্ক নয়, এই অর্থও আবার কয়েক ধাপে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই কর্মসূচিকে শুধু আর্থিক লেনদেন হিসেবে দেখা হলে আমরা...
    পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ নিতে হলে বিনিয়োগ থাকতে হবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া থাকতে হবে নিয়মিত আয়ের উৎস। আর বিনিয়োগের ৬ মাসের আগে ঋণ পাবে না কোনো বিনিয়োগকারী। একইসঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড এবং কোম্পানির হিসাবেও মার্জিন ঋণ দেওয়া হবে না। চূড়ান্ত মার্জিন ঋণ নীতিমালায় এসব সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি। সোমবার (২৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্জিন রুলস- ১৯৯৯ যুগোপযোগী করার চূড়ান্ত সুপারিশ প্রসঙ্গে এসব তথ্য তুলে ধরেন পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন...
    শেয়ারবাজারের নেগেটিভ ইক্যুইটি বা ঋণাত্মক ঋণ হিসাব নিয়ে জটিলতায় পড়েছে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। ২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের পর শেয়ারের বিপরীতে দেওয়া অনাদায়ি বিপুল ঋণ আদায় করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার এসব শেয়ারের বাজারমূল্য কমে যাওয়ায় শেয়ার বিক্রি করেও পুরোপুরি ঋণ সমন্বয়ের সুযোগ নেই। সে জন্য এসব ঋণাত্মক ঋণ হিসাবের বিপরীতে এত দিন নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনিংয়ে ছাড় পেয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানগুলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঋণাত্মক ঋণের বিপরীতে প্রভিশনিংয়ের বাধ্যবাধকতা পরিপালনে কয়েক দফায় সময় বাড়ায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে এই সময় শেষ হয়। ফলে এখন থেকে নিয়ম অনুযায়ী, ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ঋণাত্মক ঋণের বিপরীতে শতভাগ নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে। নয়তো ঋণাত্মক ঋণ হিসাবে থাকা শেয়ার বিক্রি করে অনাদায়ি...
    কথা ছিল, এপ্রিলের ১ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংক তার নতুন ঋণবিন্যাস নীতি চালু করবে। এখন শোনা যাচ্ছে, ব্যাংকিং খাতের নাজুকতা ও ভঙ্গুরতার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে এ কার্যক্রম নিয়ে পুনঃআলোচনা করবে। এ নতুন নীতি অনুসারে, কোনো ঋণ যদি তিন মাস পরেও অপরিশোধিত থাকে, তাহলে সে ঋণকে খেলাপি বলে ঘোষণা করা হবে। এর আগে এ সময়সীমা ছিল ছয় মাস। খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই নতুন নীতি বৈশ্বিক ‘তৃতীয় ব্যাসেল ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা’র সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছ থেকে ৪০৭ কোটি ডলারের যে ঋণ পেয়েছে, তার শর্ত হিসেবে বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে এই নতুন ঋণবিন্যাস নীতি বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছিল।  তৃতীয় ব্যাসেল ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়নের বিলম্বীকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একা নয়; যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও এ ব্যাপারে অতিরিক্ত সময় চেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র...
    বড় ঋণগ্রহীতা বেশির ভাগই পলাতক। কেউ কেউ আছেন জেলে। এর মধ্যেই খেলাপি ঋণ আদায়ে রেকর্ড হয়েছে। গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো ৯ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা আদায় করেছে। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর আদায় ৮ হাজার ২৬ কোটি টাকা, যা প্রায় ৮২ শতাংশ। ঋণ পরিশোধ না করেও নিয়মিত দেখানোর সুযোগ বন্ধ; কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকি এবং কোনো কোনো ব্যাংক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আদায় জোরদার করেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ব্যাংকাররা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর নীতি নিয়েছে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের কাছে একটা কঠোর বার্তা গেছে– টিকে থাকতে হলে ব্যাংকের টাকা ফেরত দিতে হবে। ঋণ পরিশোধ না করে আর আগের মতো নিয়মিত দেখানো যাবে না। আবার চলতি মূলধন ঋণে সীমা বাড়িয়ে নিয়মিত দেখানোর পথও বন্ধ।...
    রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি ও খারাপ ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত প্রতিনিধিদল। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।আজ রোববার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফের প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সচিবালয়ের অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। আইএমএফের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মিশন প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুন মাসে দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের জন্য এই মিশন অর্থনীতির বিভিন্ন পর্যালোচনা করবে। মে-জুন মাসে তারা বাংলাদেশের অর্থনীতি পর্যালোচনা প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠক করে ঋণের দুই কিস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, শুল্ক-কর নিয়ে আইএমএফ জানতে চেয়েছে, কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াব কীভাবে? কর আদায় বাড়াব কীভাবে? এ ছাড়া করনীতি ও কর আদায়—এ দুটি...
    অনলাইন—আইএমএফ মিশনের সফর/ বাড়তি রাজস্ব আদায়, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও খেলাপি ঋণ কমানো নিয়ে মূল আলোচনা অনলাইন—আইএমএফ মিশনের সফর/ বাড়তি রাজস্ব আদায়, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও খেলাপি ঋণ কমানো নিয়ে মূল আলোচনা আইডি: ০৩০৫৩ সেকশন: মেটা: ট্যাগ: । ছবি: বাংলাদেশ সরকার ও আইএমএফের লোগো। চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড়ের আগে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের নানা দিক পর্যালোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি মিশন এখন ঢাকার পথে রয়েছে। মিশনটি আগামীকাল রোববার লাগাতার বৈঠক শুরু করবে। দুই সপ্তাহ ধরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক চলবে। মার্কিন ডলার অর্থাৎ মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে বাড়তি ৫৭ হাজার কোটি টাকা আদায়, ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও খেলাপি ঋণের হার কমিয়ে আনা—এ বিষয়গুলো...
    শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এক-তৃতীয়াংশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি ছাড়িয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বেনামি ঋণ, জালিয়াতির ঋণসহ আদায় অযোগ্য অনেক ঋণ খেলাপির তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণও বাড়ছে। ফলে এসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে কি না—এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা।শেয়ারবাজারে বর্তমানে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ৩৬টি। এসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণার আগে তাদের গত বছরের প্রাথমিক আর্থিক প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছে। এসব প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার পর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে ব্যাংকগুলো। সেই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত ১২টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে। ফলে এসব ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারবে কি না—এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত নতুন একটি নীতিমালা করেছে। ওই নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের...
    বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ১৪টি লে–অফ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা দিচ্ছে সরকার। পাওনা পরিশোধে কোম্পানিটিকে ঋণ হিসেবে এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে, যা পরে বেক্সিমকো গ্রুপকে পরিশোধ করতে হবে। পাওনাদারদের মধ্যে শ্রমিক রয়েছেন ৩১ হাজার ৬৭৯ জন, আর কর্মচারী ১ হাজার ৫৬৫ জন। আগামী ৯ মার্চ থেকে এই পাওনা পরিশোধ শুরু হবে। রমজানের মাঝামাঝি পর্যন্ত ধাপে ধাপে এসব পাওনা পরিশোধ করা হবে।সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বেক্সিমকো শিল্পপার্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এসব তথ্য জানান।এ সময় আরও জানানো হয়, আজ শুক্রবার থেকে বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ১৪টি প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হবে। বন্ধ এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ দেবে ৩২৫ কোটি...
    ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। এর তিন মাস আগে সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা।   বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের ঋণের স্থিতি ছিল ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয় ৯ শতাংশ। এরপর ২০২৪ সালের...
    চটপটির দোকান দেখিয়ে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া নওরোজ এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজমী নওরোজের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান এ আবেদন করেন। আরো পড়ুন: চট্টগ্রাম বন সংরক্ষকের দপ্তরে দুদকের অভিযান  অবৈধ সম্পদ: রাসেল ও আলমের বিরু‌দ্ধে মামলা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম গ্রুপ) ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে চটপটির দোকানে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। দুদকের তদন্তে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নাজমী নওরোজ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে...
    বেসরকারি খাতের ব্যাংকের খেলাপি ঋণ যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে ঋণ পুনঃতপশিলের পরিমাণও। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ব্যাংকিং খাতে মোট ৭ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতপশিল হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশই নিয়মিত করেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। ব্যাংকিং খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি সময় কেবল সরকারি ব্যাংকেই নানা জালিয়াতি হতো। খেলাপি ঋণও হুহু করে বাড়ত এসব ব্যাংকে। তবে গত কয়েক বছরে বেসরকারি খাতের ব্যাংক দখল করে ঋণের নামে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা ঘটনা হয়েছে। এসব ঋণের বড় অংশই এখন খেলাপি হচ্ছে। যে কারণে খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলের প্রবণতাও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭...
    গাড়ি, জমি বা ফ্ল্যাট নয়, ব্যাংক থেকে সাধারণ মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি ঋণ করছে টেলিভিশন (টিভি), ফ্রিজ, ফার্নিচারের মতো নিত্যব্যবহার্য পণ্য কিনতে। ব্যাংকগুলো ভোক্তাঋণের আওতায় ব্যক্তিগত যেসব ঋণ দেয়, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ গেছে গৃহস্থালি সামগ্রী কেনায়। সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের গত সেপ্টেম্বরভিত্তিক ঋণের চিত্র পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকগুলো মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার ভোক্তাঋণ বা ব্যক্তিগত ঋণ বিতরণ করেছে। তার মধ্যে ৩৫ হাজার ৭২০ কোটি টাকায় বিতরণ করা হয়েছে টিভি, ফ্রিজ, এয়ারকুলার ও কম্পিউটার, আসবাবসহ গৃহস্থালি নানা সামগ্রী কেনার জন্য। অর্থাৎ ভোক্তাঋণের সাড়ে ২৫ শতাংশই গেছে গৃহস্থালি নানা সামগ্রী কেনার ঋণ হিসেবে।ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশে দুই বছরের বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে।...
    দেশে খেলাপি ঋণের মোট ঋণের ৩০ শতাংশ অতিক্রম করে যেতে পারে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাতের ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। খেলাপি ঋণের বাড়বাড়ন্ত মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে বলে মুদ্রানীতির ঘোষণায় জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা জোরদার, ব্যাংকিং খাতের সুশাসন নিশ্চিত ও যথাযথভাবে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার ওপর জোর দিয়েছে। তারা মনে করছে, এর মধ্য দিয়ে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যেমন এক্সপেকটেড ক্রেডিট লস মেথডলজি; ২০২৭ সালের মধ্যে এটি চালু করা হবে। আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে এই পদ্ধতি চালু করা হবে। সে জন্য...
    বিদেশি ঋণের অর্থে বিনিয়োগ ও রপ্তানি সহায়ক অবকাঠামো না হলে তা পরিশোধে সমস্যা তৈরি করে। কারণ ঋণের অর্থ ব্যবহারের ফলে যদি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) না আসে, যদি রপ্তানি থেকে ডলার দেশে না আসে, তাহলে ঋণ পরিশোধ বেড়াজালে পড়ে যায়। বিদেশি ঋণ খারাপ কিছু নয়। কথা হচ্ছে, এ অর্থ কোন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই হচ্ছে আসল বিষয়।  বিদেশি ঋণ নিয়ে পরিশোধে সরকারের চাপ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেছেন  শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে একনেকের অনুমোদন হওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য জানানোর পাশাপাশি  জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি কথা বলেন। একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ...
    খুলনার কয়রায় দরিদ্র নারীদের জন্য ‘সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্পে’র (ইরেসকো) প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পটির মাঠ সংগঠক জাহানারা খাতুন সমিতির সদস্যদের নামে ঋণ বিতরণ দেখিয়ে প্রকল্পের ব্যাংক হিসাব থেকে ওই টাকা তুলে নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রকল্প পরিচালকের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে তদন্ত চলছে।  বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) কয়রা উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাঁচটি সমিতির ১২৫ সদস্যের নামে ৪৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই টাকা সদস্যদের মাঝে বিতরণ না করে মাঠ সংগঠক জাহানারা খাতুন নিজেই তুলে নেন। নিয়ম অনুযায়ী, মাঠ সংগঠককে সমিতির সদস্যদের ঋণের তালিকা প্রস্তুত করে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হয়। পরে তিনি অনুমোদন দেন। ঋণগ্রহীতার নামের তালিকা...
۱