৫০ হাজার মানুষের বিপরীতে একজন ডেন্টাল সার্জনের পদ সৃষ্টির দাবি
Published: 5th, May 2025 GMT
প্রতি ৫০ হাজার জনের বিপরীতে একজন ডেন্টাল সার্জনের পদ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (ডেন্টাল বিভাগ)।
সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ১০ হাজার মানুষের জন্য একজন ডেন্টাল সার্জন প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে একেকটি উপজেলা বা জেলায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষের বিপরীতে এ পদে রয়েছেন একজন। সম্প্রতি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে মুখ ও মুখ গহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্তের হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দাঁত ও মুখের ক্যান্সারে বেসরকারি চিকিৎসাও অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ কারণে ১০ শয্যা, ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালসহ সব জেলা, উপজেলা পর্যায়ে প্রতি ৫০ হাজার জনগোষ্ঠীর বিপরীতে একজন ডেন্টাল সার্জনের পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। না হলে হাতুড়ে ডাক্তারদের দাপট বাড়বে।
মানববন্ধনে ৮ দফা দাবি তুলে ধরে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (ডেন্টাল বিভাগ)। এর মধ্যে আসন্ন বিশেষ বিসিএসে ৫০০ পদে ডেন্টাল সার্জন নিয়োগের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিসিএসসহ অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় চিকিৎসকদের আবেদনের বয়সসীমা ৩২ থেকে ৩৪ বছরে উন্নীত করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে উপজেলা পর্যায়ে ৬ষ্ঠ গ্রেডের দুটি জুনিয়র কনসালটেন্ট (ডেন্টাল) পদ সৃষ্টি, জেলা পর্যায়ে ৬ষ্ঠ গ্রেডের ৫টি ডেন্টাল কনসালটেন্ট এবং ৫ম গ্রেডের দুটি সিনিয়র ডেন্টাল কনসালটেন্টের পদ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় সমতা বিধান করতে হবে। ডেন্টাল বিষয়বহির্ভূত অর্থাৎ ডেন্টাল সার্জন পোস্টে সহকারী সার্জনদের পদায়ন বন্ধ করতে হবে। জনগণকে স্বল্প মূল্যে দন্ত সেবা প্রদান ও প্রাথমিক পর্যায়ে ওরাল ক্যান্সার শনাক্তের জন্য ডেন্টিস্ট্রিকে অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় আনতে হবে। সরকারি বেসরকারি সব ধরনের বিএসসি ইন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট কোর্স বন্ধ করে বিএসসি ইন ডেন্টাল ল্যাব টেকনোলজি কোর্স চালু করারও তাগিদ দেওয়া হয়।
এসময় সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা.
মানববন্ধনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য ডেন্টাল সার্জনরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর একজন ড ন ট ল স র জন ড ন ট ল স র জন র র পদ স ষ ট র ব পর ত পর য য় উপজ ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
বিদেশে পড়ানো, সরকারি চাকরি, বিমানবালা হিসেবে সুযোগ কিংবা সম্পত্তি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জন নারীকে বিয়ে করার অভিযোগে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় তদন্তের ভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু স্বপ্রণোদিত হয়ে মেট্রোপলিটন প্রথম আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মো. সাদিক আহম্মেদ মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
নালিশি মামলার বাদী অ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু বলেছেন, বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বাসিন্দা। তিনি এর আগে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত থাকাকালে ১৭টি বিয়ে ও বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন বলে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আসামি প্রতিটি বিয়ের বিষয়ে মুসলিম ফ্যামিলি আইনের ১৯৬১ এর ৬ ধারার বিধান লংঘন করে অধ্যাদেশ ৬(৫) এর (খ) ধারায় অপরাধ করেছেন। আগের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে একে একে ১৭টি বিয়ে করে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশীয় সংস্কৃতি এবং আমাদের সমাজ ব্যাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে গুরুতর অপরাধ করেছেন তিনি।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রাজিব মজুমদার জানিয়েছেন, আদালত অ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবুলর দায়ের করা মামালাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটোয়ারীর বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবার ও সুশীলসমাজের ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরীর কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করা হয়। এ সময় ঢাকার বাসিন্দা নাজনিন আক্তার শীলা, নারায়ণগঞ্জের সোনিয়া, খুলনার নাসরিন আক্তার দোলনসহ ১৭ জন নারী তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারীরা বলেন, সর্বশেষ খুলনার চাকরিজীবী খাদিজা আক্তারকে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন কবির। বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই স্ত্রীর বাবার বাড়ির সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন চাপ প্রয়োগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার বলেন, আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে কবির। পরে বাবার বাড়ির সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় সে (কবির) আমাকে নির্যাতন করে কোয়ার্টার থেকে বের করে দিয়েছে।
নাসরিন আক্তার অভিযোগ বলেন, আমাকেও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কবির বিয়ে করেছে। পরে তার বিয়ের নাটক ধরা পড়ার পর আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কবির হোসেন পাটোয়ারী এ পর্যন্ত যেসব এলাকায় চাকরি করেছে, সেসব এলাকাতেই বিয়ে করেছে। প্রত্যেক স্টেশন ত্যাগ করার পর তাদের আর খোঁজ রাখে না।
অভিযুক্ত কবির হোসেন পাটোয়ারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঢাকা/পলাশ/রফিক