প্রতি ৫০ হাজার জনের বিপরীতে একজন ডেন্টাল সার্জনের পদ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (ডেন্টাল বিভাগ)।

সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ১০ হাজার মানুষের জন্য একজন ডেন্টাল সার্জন প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে একেকটি উপজেলা বা জেলায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষের বিপরীতে এ পদে রয়েছেন একজন। সম্প্রতি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে মুখ ও মুখ গহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্তের হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দাঁত ও মুখের ক্যান্সারে বেসরকারি চিকিৎসাও অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ কারণে ১০ শয্যা, ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালসহ সব জেলা, উপজেলা পর্যায়ে প্রতি ৫০ হাজার জনগোষ্ঠীর বিপরীতে একজন ডেন্টাল সার্জনের পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। না হলে হাতুড়ে ডাক্তারদের দাপট বাড়বে।

মানববন্ধনে ৮ দফা দাবি তুলে ধরে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (ডেন্টাল বিভাগ)। এর মধ্যে আসন্ন বিশেষ বিসিএসে ৫০০ পদে ডেন্টাল সার্জন নিয়োগের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিসিএসসহ অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় চিকিৎসকদের আবেদনের বয়সসীমা ৩২ থেকে ৩৪ বছরে উন্নীত করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে উপজেলা পর্যায়ে ৬ষ্ঠ গ্রেডের দুটি জুনিয়র কনসালটেন্ট (ডেন্টাল) পদ সৃষ্টি, জেলা পর্যায়ে ৬ষ্ঠ গ্রেডের ৫টি ডেন্টাল কনসালটেন্ট এবং ৫ম গ্রেডের দুটি সিনিয়র ডেন্টাল কনসালটেন্টের পদ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় সমতা বিধান করতে হবে। ডেন্টাল বিষয়বহির্ভূত অর্থাৎ ডেন্টাল সার্জন পোস্টে সহকারী সার্জনদের পদায়ন বন্ধ করতে হবে। জনগণকে স্বল্প মূল্যে দন্ত সেবা প্রদান ও প্রাথমিক পর্যায়ে ওরাল ক্যান্সার শনাক্তের জন্য ডেন্টিস্ট্রিকে অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় আনতে হবে। সরকারি বেসরকারি সব ধরনের বিএসসি ইন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট কোর্স বন্ধ করে বিএসসি ইন ডেন্টাল ল্যাব টেকনোলজি কোর্স চালু করারও তাগিদ দেওয়া হয়।

এসময় সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা.

মো. নুরুল আমিন বলেন, “১৮ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ। এই দেশের বেশিরভাগ মানুষ মুখ ও দাঁতের নানাবিধ রোগে ভুগে থাকেন। কিন্তু বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালেই নেই ডেন্টাল সার্জনের কোনো পদ। ফলে দেশের বেশিরভাগ মানুষ সরকারিভাবে মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ডেন্টাল সার্জনদের স্বল্পতার কারণে হাতুড়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হচ্ছেন।”

মানববন্ধনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য ডেন্টাল সার্জনরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর একজন ড ন ট ল স র জন ড ন ট ল স র জন র র পদ স ষ ট র ব পর ত পর য য় উপজ ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘বীক্ষণ’ মুক্ত মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়ার প্রতিবাদে সোনারগাঁয়ে মানববন্ধন 

ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের ঐতিহাসিক ‘বীক্ষণ’ মুক্ত মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়ার প্রতিবাদে এবং একই স্থানে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে মঞ্চটি দ্রুত পুনঃনির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সুবর্ণগ্রাম সংস্কৃতি অঙ্গন। রবিবার সকালে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সুবর্ণগ্রাম সংস্কৃতি অঙ্গনের সভাপতি কবি শাহেদ কায়েসের সভাপতিত্বে, লেখক ও উদীচী’র সোনারগাঁ শাখার সভাপতি শংকর প্রকাশের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের উপদেষ্টা কবি রহমান মুজিব, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সোনারগাঁ শাখার সম্পাদক, লেখক ও সাংবাদিক মিজানুর রহমান, সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের সাধারণ সম্পাদক, লেখক ও সাংবাদিক রবিউল হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক লেখক মোফাখখার সাগর, কবি ও সাংবাদিক এরশাদ হুসাইন অন্য, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী শামীমা নাসরিন শাম্মী।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতিকর্মী আব্দুস সাত্তার, আব্দুল করিম, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী লতা মাহমুদ, খাদিজা আক্তার, তানিয়া আক্তার, পল্লবী সরকার, শিক্ষার্থী আনন্দ দাস প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘৪৫ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের ঐতিহাসিক ‘বীক্ষণ’ মঞ্চ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন। আমরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই। আমরা মনে করি এটি শুধু একটি স্থাপনা ধ্বংস নয়, বরং মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা এবং শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার ওপর একটি চরম আঘাত। ১৯৯৩ সাল হতে প্রতি শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে বীক্ষণ আসরে বিভিন্ন সময়ে ইতিহাসবিদ-লেখক বদরুদ্দীন উমর, কবি শামসুর রাহমান, কবি আল মাহমুদ, কবি শহিদ কাদরী, কবি ও গবেষক আব্দুল মান্নান সৈয়দ, কবি হেলাল হাফিজ, কবি আবু করিম, কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি আল মুজাহিদী, ছড়াকার আবু সালেহ, কবি মাহবুব সাদিক, কবি আসাদ চৌধুরী, কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীসহ আরও অসংখ্য  কবি-সাহিত্যিকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল। আমরা এই মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে ঐতিহ্যবাহী ‘বীক্ষণ মঞ্চের’ পুনর্র্নিমাণের দাবি জানাচ্ছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাওলানা রঈস হত্যা: দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ
  • ‘বীক্ষণ’ মুক্ত মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়ার প্রতিবাদে সোনারগাঁয়ে মানববন্ধন 
  • পটিয়ায় সরকারি জায়গায় দেয়াল দিয়ে পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধের অভিযোগ
  • বাজেটে কাঠামোগত সংস্কার চায় সংগঠন ‘সেতু’
  • দুই মাসের মধ্যে হেফাজতের নেতা–কর্মীদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি মামুনুল হকের
  • সোহরাওয়ার্দীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ শুরু 
  • পণ্য লুট, চাঁদাবাজির বিচার চান ব্যবসায়ীরা
  • বজ্রপাতে একদিনে ২৩ প্রাণহানির ১৯ জনই কৃষক
  • নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও প্রতিবেদন বাতিলের দাবি