ইমানদার করণীয় সম্পর্কে সুরা আসরের শিক্ষা
Published: 5th, May 2025 GMT
আসর মানে কাল বা অপরাহ্ন কাল। পবিত্র কোরআনের ১০৩তম সুরা। কালের শপথ করে এই সুরা আরম্ভ করা হয়েছে বলে সুরার নামকরণ হয়েছে ‘আসর’। বলা হয়েছে, যারা অন্তরে বিশ্বাস রেখে সৎ কাজ করে এবং পরস্পরকে ন্যায়পরায়ণ ও সহিষ্ণু হতে উদ্বুদ্ধ করে, তাদের জীবন সার্থক।
সুরা আসরের অর্থ আবার দেখে নিই
১. মহাকালের শপথ! ২. মানুষ তো ক্ষতিগ্রস্ত ৩.
সুরা আসরে মানুষের কল্যাণ, সাফল্য এবং ক্ষতির কথা বলা হয়েছে। ব্যক্তির ৪টি গুণাবলির কথা বলা হয়েছে। ইমাম শাফেয়ি বলেন, মানুষ যদি এই একটি সুরা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে, তাহলে এটিই তাদের হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট। ৪টি গুণাবলি ১. ইমান। ২. সৎ কাজ ৩. পরস্পরকে হকের উপদেশ দেওয়া। ৪. পরস্পরকে ধৈর্য ধরার উপদেশ দেওয়া।
আরও পড়ুনযে সুরায় আছে কোরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনি০৮ মার্চ ২০২৫সুরা আসরের শিক্ষা হলো দুনিয়া ও আখিরাতের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রকৃত ইমানদার হতে হবে। প্রকৃত ইমানদারকে অবশ্যই সৎ কাজ করতে হবে এবং পরস্পরকে হক কথা বলতে হবে।
ইমানদারকে অবশ্যই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং অন্যায়কে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেবে না। সত্যের পথে চলার সময় বাধাবিপত্তি আসবে, তখন অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করে সামনের দিকে এগোতে হবে।
প্রথম আয়াতে মহাকালের শপথ করা হয়েছে। আসর বলতে দিনের শেষ বেলা, আসরের নামাজ ও এর সময় এবং যুগ বা সময়ের সমষ্টিও বোঝায়। আবার আসর বলতে সময় যা তাড়াতাড়ি চলে বা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তা-ও বোঝায়। তবে তৎকালীন আরবে আসর বলতে দিনের শেষ সময় বোঝানো হতো। যখন সবাই খুব ব্যস্ত হয়ে পড়ত। সময় নেই, তাড়াতাড়ি না করলে ক্ষতির মধ্যে পড়তে হবে, সে বিষয়টিও এখানে উঠে এসেছে।
দ্বিতীয় আয়াতে মানুষের স্বভাব ও কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে আল্লাহ বলেছেন, মানুষ তো ক্ষতিগ্রস্ত।
তৃতীয় আয়াতে বলেছেন, কিন্তু তারা ক্ষতিগ্রস্ত নয় যারা বিশ্বাস করে, সৎকর্ম করে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিতে থাকে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিতে থাকে।
পুরো সুরাটিকে একটি উদাহরণের মাধ্যমে তুলনা করে বোঝানো যেতে পারে। যেমন কোনো ব্যক্তি ঘুমন্ত অবস্থায় ডুবে মারা যাচ্ছে। সুতরাং প্রথম কাজ হলো জেগে উঠে বিশ্বাস করা যে সে কোনো রঙিন স্বপ্ন দেখছে না বরং ক্ষতির মধ্যে আছে। দ্বিতীয় কাজ হলো সাঁতার কেটে ওপরে উঠতে থাকা অর্থাৎ ভালো কাজ করা। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে সে দেখল যে তার পা শিকল দিয়ে বাঁধা এবং অপর প্রান্তে তারই পরিচিত একজন বাঁধা, যে কিনা অচেতন অবস্থায় ডুবে যাচ্ছে। তৃতীয় কাজ হলো অবচেতন অবস্থায় রঙিন স্বপ্ন দেখতে থাকা পরিচিতকে জাগিয়ে তুলে সত্যের উপদেশ দিতে থাকা ও বোঝানো যে সেও ক্ষতির মধ্যে আছে। কেননা, সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া বাঁচা সম্ভব না। চুতর্থ কাজ হলো অবচেতন অবস্থায় রঙিন স্বপ্ন দেখতে থাকা পরিচিতের অনীহা সত্ত্বেও ধৈর্যসহকারে তাকে জাগিয়ে একসঙ্গে সাঁতরানো এবং এরপর অন্য মানুষদের বেঁচে ওঠার ক্ষেত্রে ধৈর্যের উপদেশ দিতে থাকা।
আরও পড়ুনসত্যের পয়গাম১৫ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য র উপদ শ দ ত অবস থ য় ক জ কর ক জ হল আসর র
এছাড়াও পড়ুন:
আশুগঞ্জে বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
আশুগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল ইসলামকে (৫৬) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
শুক্রবার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল আশুগঞ্জ রেলগেট এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার বাসা থেকে নগদ ৭ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার কবিরুল ইসলাম আশুগঞ্জ রেলগেট এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে। তিনি আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ছিলেন।
আশুগঞ্জ থানার ওসি মো. খাইরুল আলম বলেন, কবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।