হিরা-মুক্তায় ভরা কারো পোশাক, কেউ লিখেছেন নাতি-নাতনির নাম
Published: 6th, May 2025 GMT
প্রত্যেক মে মাসের প্রথম সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টে বসে ফ্যাশন–জগতের সবচেয়ে জমকালো আয়োজন মেট গালা। এবার বাংলাদেশ সময় আজ ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত হয়ে গেল এবারের আয়োজন। চলুন দেখে নেওয়া যাক এবার মেট গালার আসরে কারা ছিলেন।
কিম কার্দাশিয়ান বিলাসবহুল ব্র্যান্ড ক্রোম হার্টসের পুরোপুরি চামড়ার পোশাকে সাজিয়ে ছিলেন নিজেকে, মাথা থেকে পা পর্যন্ত একচ্ছত্র চামড়ার লুকে।ছবি: সিএনএন
৭০ এর দশকের ধাঁচে তৈরি ঝকঝকে গরম গোলাপি রঙের স্যুটে নজরকাড়া উপস্থিত হন চ্যাপেল রোন। ছবি: সিএনএন
প্রথমবার এই আসরে হাজির হন বলিউড তারকা শাহরুখ খান। কালো পোশাকের সঙ্গে তিনি পরেছিলেন নজরকাড়া গহনা, সঙ্গে ছিল একটি ছড়ি। শাহরুখের পোশাক ডিজাইন করেছেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। ছবি: সিএনএন
৭০-এর দশকের স্টাইল অনুপ্রাণিত হয়, জেনডায়া পরেছিলেন একটি কাস্টম সাদা সিল্ক সিঙ্গল-ব্রেস্টেড লুই ভুইতঁ টাক্সিডো। ছবি: সিএনএন
কাইলি জেনারের জন্য তাঁর লুকটি তৈরি করেছেন ফেরাগামোর ডিজাইনার ম্যাক্সিমিলিয়ান ডেভিস। ছবি: সিএনএন
প্রথমবারের মতো মেট গালায় অংশ নিয়ে পাঞ্জাবি সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা দিলজিত দোসাঞ্জ অনুকরণ করেছেন ২০শ শতকের শুরুর দিকের এক ভারতীয় ড্যাপার ব্যক্তিত্ব স্যার ভূপিন্দর সিংহকে। ছবি: সিএনএন
আমেরিকান পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামস পুরনো হলিউডের গ্ল্যামারকে নতুন রূপ দেন বরফি নীল বারডো-স্টাইলের মনক্লেয়ার গাউন। ছবি: সিএনএন
পপ তারকা লিসা প্রথমবারের মতো মেট গালায় উপস্থিত হন। ছবি: সিএনএন
ব্যাড বানি নিজের ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে তার লুক সম্পূর্ণ করেন একটি পুয়ের্তো রিকোর ঐতিহ্যবাহী ‘পাভা’ টুপি পরে। হাতে ছিল একটি ব্যাগ। ছবি: সিএনএন
জিজি হাদিদের ঝকঝকে সোনালি মিউ মিউ গাউনটি তৈরি হয়েছে গ্যাব্রিয়েলা কারেফা-জনসনের সঙ্গে যৌথভাবে, যিনি ভোগ-এর সাবেক ফ্যাশন সম্পাদক এবং প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী, যিনি ভোগ কভারের স্টাইলিং করেছিলেন। ছবি: সিএনএন
২০০৩ সালের পর আর মেট গালায় দেখা যায়নি ডায়ানা রসকে। এবার আসার সিদ্ধান্তটা ছিল একেবারেই শেষ মুহূর্তের। তার পরনের পোশাক বলছে ভিন্ন কথা—তিনি যেটিকে বলছেন ‘ফরএভার ফ্যামিলি’ গাউন। সেই মনকাড়া পোশাকের ঝুলে সূচিকর্মে লেখা ছিল তাঁর পাঁচ সন্তান এবং আট নাতি-নাতনির নাম। ছবি: সিএনএন
ফ্যারেল উইলিয়ামস, যিনি এই ইভেন্টের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনুষ্ঠানে পরেছিলেন একটি ডাবল-ব্রেস্টেড ব্লেজার, যা ১৫,০০০ মুক্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি তৈরিতে লেগেছে ৪০০ ঘণ্টা। উইলিয়ামসের স্ত্রী হেলেন লাসিখান পরেছিলেন একটি কর্সেটেড চামড়ার বডিস্যুট। ছবি: সিএনএন
মার্কিন গীতিকার, গায়িকা, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী তেয়ানা টেলর পোশাক ডিজাইন করেছেন মার্ক জ্যাকবস। ছবি: সিএনএন
জেনি পরেছিলেন একটি কালো চামড়া স্যাটিন জাম্পস্যুট, যা মুক্তা দিয়ে সজ্জিত ছিল। সঙ্গে ছিল একটি ওভারস্কার্ট, একটি সাদা সিল্ক কামেলিয়া এবং একটি টপ হ্যাট। ছবি: সিএনএন
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ছ ল ন একট স এনএন কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইউআইইউ মার্স রোভার টিমের অনন্য সাফল্য, শুনুন পেছনের গল্প
মমঙ্গল গ্রহের উপযোগী রোবট বানিয়ে ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’ ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বমঞ্চে টানা ছয়টি সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের পতাকাকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। প্রতিটি সাফল্যের পেছনে রয়েছে অদম্য সংগ্রাম, অধ্যবসায় ও নিরলস পরিশ্রমের গল্প।
সাফল্য এসেছে আন্তর্জাতিক পরিসরেঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ইউআইইউ মার্স রোভার টিম ২০২৫ সালের ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ (ইউআরসি) প্রতিযোগিতায় এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বব্যাপী ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে। এ ছাড়া প্রতিযোগিতার সায়েন্স মিশনে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১০০-এর মধ্যে পূর্ণ ১০০ নম্বর পেয়ে এক বিরল রেকর্ড করে। তবে এই মঞ্চে এটি তাদের প্রথম অর্জন নয়। সাফল্যের ধারাবাহিকতা চলছে টানা পাঁচ বছর ধরে। একই বছরে অনুষ্ঠিত আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে (এআরসি) দলটি ১৮ ফাইনালিস্টের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তৃতীয় এবং এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
যেভাবে শুরু২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় গঠন করেন ইউআইইউ মার্স রোভার টিম। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে তাঁরা বিশ্বমঞ্চে প্রথমবার সাফল্য নিয়ে আসেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৯৯টি দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ৩৬টি ফাইনালিস্ট দলকে পেছনে ফেলে এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বব্যাপী ১৩তম স্থান অধিকার করে দলটি।
২০২৩ সালে ১০৪টি দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে, ৩৭টি ফাইনালিস্ট দলের মধ্য থেকে ইউআইইউ বিশ্বব্যাপী নবম ও এশিয়ায় আবারও ১ম স্থান অধিকার করে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে তুরস্কে আয়োজিত আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় ১৯টি ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে ইউআইইউ তৃতীয় এবং সিস্টেম বিভাগের ম্যাটেরিয়াল সিলেকশন চ্যালেঞ্জে বিশেষ পুরস্কার অর্জন করে।
২০২৪ সালে ১০২টি প্রাথমিক দল ও ৩৮ ফাইনালিস্টের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পঞ্চম ও এশিয়ায় আবারও চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। ছয়টি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রতিবারই এশীয় অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিরল রেকর্ড করেছে ইউআইইউ মার্স রোভার টিম।
ইউআইইউ মার্স রোভার টিমের বানানো রোবট