ক্ষত থেকে যাদের শরীরে ‘ইনফেকশন’ হওয়ার ঝুঁকি বেশি
Published: 7th, May 2025 GMT
শরীরে গুটি, ফুসকুড়ি কিংবা ক্ষত হলে রোগীর শরীরে ‘ইনফেকশন’ দেখা দিতে পারে। ক্ষত থেকে ‘ইনফেকশন’ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন অধিক ওজনের মানুষেরা। এ ছাড়া ক্ষতস্থানে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে ‘ইনফেকশন’ হতে পারে।
এ বিষয়ে ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, আবাসিক সার্জন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘রোগী যদি পুষ্টিহীনতায় ভোগে বা স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে অধিক বেশি ওজনের হয় তাহলে শরীরে ক্ষতস্থানে ‘ইনফেকশন’ হতে পারে। যাদের স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন তারাও রয়েছেন উচ্চ ঝঁকিতে।’’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘রোগীর যদি মেটাবলিক ডিজিজ ‘ডায়াবেটিস মেলাইটাস’ থাকে তাহলে ক্ষতস্থান থেকে ‘ইনফেকশন’ হতে পারে। রোগীর শরীরের যদি ইউরেনিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলেও ‘ইনফেকশন’ হতে পারে। রোগী জন্ডিসে আক্রান্ত হলে ‘ইনফেকশন’ তৈরির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কমে যায়, যদি কোনো রোগী ‘স্ট্রয়েড’ নামক ওষুধ খায়, কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি নেয় সেকারণেও তার শরীরের ইমিউনিটি কমে যায়। এবং ক্ষত থেকে শরীরে ‘ইনফেকশন’ছড়িয়ে পড়তে পারে। ’’
আরো পড়ুন:
স্ক্যাবিস দীর্ঘস্থায়ী হলে শরীরে যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারে
‘মেডিকেল ভিসা’ প্রক্রিয়া সহজ করলো চীন
শরীরে কোনো ক্ষত তৈরি হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশিদের ভিসা চালুর বিষয়ে অগ্রগতি হওয়ায় ইউএইকে ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা চালু করার বিষয়ে অগ্রগতি অর্জিত হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিভিন্ন খাতে দেশটির বিনিয়োগ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।
আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউএইর টলারেন্স অ্যান্ড এক্সিসটেন্স-বিষয়ক ক্যাবিনেট মন্ত্রী শেখ নাহিয়ান বিন মুবারক আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় অধ্যাপক ইউনূস ইউএইকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ নাহিয়ানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলটি বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় স্বল্প সময়ের সফরে পৌঁছায়। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তাঁদের অভ্যর্থনা জানান।
প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ বিন আলী আল সায়েঘ, বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুর রহমান আল হাওয়ি।
আল নাহিয়ান প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং আমাদের বন্ধুত্ব পুনর্ব্যক্ত করতে আমি আমাদের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এখানে এসেছি।’
আল নাহিয়ান আরও বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের সরকারের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের বাড়তি সংলাপকে আমরা প্রশংসা করি। আমরা বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত সব খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
এই সৌহার্দ্যমূলক উদ্যোগের প্রশংসা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা এ ধরনের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই। আমরা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাবকেও স্বাগত জানাই।’
ভিসা নীতিতে শিথিলতার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিসার দরজা খোলার জন্য ধন্যবাদ। এখনো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি আছে, আশা করি আমরা সম্পৃক্ত থাকব এবং সমস্যাগুলো সমাধান করব।’
সম্প্রতি ইউএই প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য ভিসাগুলোও সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত অনুমোদিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেম আবার চালু করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিপণন ব্যবস্থাপক, হোটেলকর্মীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ভিসাও এই পদ্ধতিতে দেওয়া হয়। এ ছাড়া নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য ৫০০ ভিসা ইতিমধ্যে ইস্যু হয়েছে এবং আরও ১ হাজার ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হমোদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ইউএই প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ত্যাগ করে।