ভারতের হামলায় পাকিস্তানে মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হওয়ার খবর
Published: 7th, May 2025 GMT
পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের ‘সুবহান আল্লাহ’ মসজিদে ভারতের হামলায় মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও চারজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পাকিস্তানভিত্তিক জয়শ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) পক্ষ থেকে আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এ খবর দেওয়া হয়। মাওলানা মাসুদ আজহার সংগঠনটির প্রধান। জাতিসংঘ মাসুদ আজহারকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর (মাসুদ আজহারের) বড় বোন, বড় বোনের স্বামী, ভাতিজা ও ভাতিজার স্ত্রী, ভাতিজি এবং পরিবারের পাঁচ শিশুও রয়েছে।
এ বিষয়ে ভারত বা পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
জয়শ-ই-মোহাম্মদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর (মাসুদ আজহারের) বড় বোন, বড় বোনের স্বামী, ভাতিজা ও ভাতিজার স্ত্রী, ভাতিজি এবং পরিবারের পাঁচ শিশুও রয়েছে।ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। এ ঘটনায় হওয়া এক মামলার অভিযোগপত্রে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দাবি করেছিল, জয়শ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহার ও তাঁর ভাই আবদুর রউফ আসগর ওই নাশকতা চালান। পুলওয়ামায় হামলার পরও ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল।
জেইএমের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলায় মাসুদ আজহারের তিন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাঁদের একজনের মা নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুনমাসুদ আজহার আফগানিস্তানে নেই, পাকিস্তানের চিঠির জবাবে তালেবান১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২আরও পড়ুনপাকিস্তানের ৬ স্থানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশ ও স্থলে জবাব ইসলামাবাদের৬ ঘণ্টা আগেগতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত পাকিস্তানের নয়টি ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ ক্ষেত্রে হামলা চালানোর দাবি করেছে।
তবে ইসলামাবাদ বলেছে, পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে হামলা হয়েছে এবং সেগুলোর কোনোটি ‘জঙ্গি শিবির’ ছিল না।
আরও পড়ুনভারত–পাকিস্তান কি সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে, সর্বশেষ যা জানা গেল১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনরাতে ২৫ মিনিটের মধ্যেই পাকিস্তানের ৯ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়: ভারতের ব্রিফিংয়ে তথ্য২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম স দ আজহ র র পর ব র র বড় ব ন
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো আসামি গ্রেপ্তার
বগুড়ার আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়ার একদিন পর হত্যা মামলার আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে আদমদীঘি উপজেলার বাগিচাপাড়া থেকে তাকে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
আদালত চত্বরে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান, যুবক গ্রেপ্তার
মহেশখালীর মনির হত্যার রহস্য উদঘাটন, ২ আসামির জবানবন্দি
আতোয়ার রহমান বলেন, ‘‘রফিকুল ইসলামকে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপচাঁচিয়া থানার হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজিরা দিতে আনা হয়। হাজিরা শেষে জেলা কারাগারে ফেরত নেওয়ার সময় দুপুর ৩টা ৫৫ মিনিটে আদালতের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় কৌশলে পালিয়ে যায়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এ ঘটনার পরপরই ডিবি ও থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। পরে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ রফিকুলকে আদমদীঘির বাগিচাপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’
গত ৯ জুলাই বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগরের লক্ষ্মীমন্ডপ এলাকায় শ্বশুর ও পূত্রবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও ডাকাতি করা হয়। সেই মামলার অন্যতম আসামি রফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চকপাড়া গ্রামে।
ঢাকা/এনাম/বকুল