প্রতিটি রক্তবিন্দুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে: শাহবাজ শরিফ
Published: 7th, May 2025 GMT
গতরাতে ভারতের বিমান হামলায় নিহতদের প্রতিটি রক্তবিন্দুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আজ বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান। খবর ডনের
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ পর্যটক। এ হামলার বদলা নিতে হুমকি-ধমকির একপর্যায়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে আক্রমণ চালায় ভারত। এতে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত এবং আহত হন আরও অনেকে। জবাবে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। এতে ১৫ ভারতীয় নাগরিকের প্রাণহানি ও বেশ কয়েকজন আহত হন। পাল্টাপাল্টি আক্রমণের ফলে দুই দেশের উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আজ স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কাপুরুষ শত্রু, যারা নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালায় এবং নিজেকে শক্তিশালী ভাবে। আমরা গত রাতে প্রমাণ করেছি, পাকিস্তান জানে প্রতিরক্ষা করতে, কীভাবে উপযুক্ত জবাব দিতে হয়। জাতি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সাহস ও শক্তিকে শ্রদ্ধা জানায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান বিমানবাহিনী ভারতীয় বাহিনীর এত ক্ষতি করেছে যে তারা এই ক্ষত সহজে সারতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শত্রুকে নতজানু করতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছে। আল্লাহর কৃপায়, আমাদের বিমানগুলো আকাশে এমন ঝড় তুলেছিল যে শত্রুরা চিৎকার করে উঠল। ভারতের গর্ব ছিল, এমন পাঁচটি যুদ্ধবিমান এখন কেবল ছাই ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।’
‘ভারতের কাপুরুষোচিত আক্রমণে ২৬ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছে। আমরা মাত্র সাত বছর বয়সী এক শিশু ইরতাজা আব্বাসের জানাজা আদায় করেছি।’
ভারতকে তাদের বিমান হামলার ‘পরিণাম ভোগ করতে হবে’ হুঁশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ‘হয়তো তারা ভাবছিল আমরা পিছু হটব, কিন্তু তারা ভুলে গেছে যে এটা এমন একটা জাতি, যারা তাদের দেশের জন্য লড়াই করতে জানে।’
প্রচলিত যুদ্ধে শত্রুর ওপর পাকিস্তান সামরিক বাহিনী আবারও তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ। তিনি দেশের সামরিক, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন যে সমগ্র জাতি তাদের জন্য গর্বিত।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ হব জ
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে লাঠিপেটার ভিডিও ভাইরাল
ময়মনসিংহে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানকে লাঠি দিয়ে পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বুধবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক অজ্ঞাত যুবক তাঁর দুই হাত চেপে ধরে রেখেছেন। এ সময় মাক্স পরে থাকা অপর এক যুবক তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন।
১৩ সেকেন্ডের এ ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নেটিজেনরা বলেন, একজন প্রবীণ শিক্ষক ও রাজনীতিককে এভাবে হেয় করা ঠিক হয়নি।
অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান। ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, লাঠি দিয়ে পেনোর ভিডিওটি ঢাকার কোনো একটি এলাকার। কিছুদিন আগে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে এই আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয় প্রকাশ হলে তারা তাকে আটক করেন। এ সময় তাঁকে লাঠিপেটা করে মধ্যস্থতার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার সত্যতার বিষয়ে দায়িত্বশীল কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নগরীর মহারাজা রোড এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত ৫ আগস্ট থেকে ইউসুফ খান পাঠান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক।