গতরাতে ভারতের বিমান হামলায় নিহতদের প্রতিটি রক্তবিন্দুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আজ বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান। খবর ডনের

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ পর্যটক। এ হামলার  বদলা নিতে হুমকি-ধমকির একপর্যায়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে আক্রমণ চালায় ভারত। এতে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত এবং আহত হন আরও অনেকে। জবাবে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। এতে ১৫ ভারতীয় নাগরিকের প্রাণহানি ও বেশ কয়েকজন আহত হন। পাল্টাপাল্টি আক্রমণের ফলে দুই দেশের উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। 

এমন পরিস্থিতিতে আজ স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কাপুরুষ শত্রু, যারা নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালায় এবং নিজেকে শক্তিশালী ভাবে। আমরা গত রাতে প্রমাণ করেছি, পাকিস্তান জানে প্রতিরক্ষা করতে, কীভাবে উপযুক্ত জবাব দিতে হয়। জাতি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সাহস ও শক্তিকে শ্রদ্ধা জানায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান বিমানবাহিনী ভারতীয় বাহিনীর এত ক্ষতি করেছে যে তারা এই ক্ষত সহজে সারতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শত্রুকে নতজানু করতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছে। আল্লাহর কৃপায়, আমাদের বিমানগুলো আকাশে এমন ঝড় তুলেছিল যে শত্রুরা চিৎকার করে উঠল। ভারতের গর্ব ছিল, এমন পাঁচটি যুদ্ধবিমান এখন কেবল ছাই ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।’

‘ভারতের কাপুরুষোচিত আক্রমণে ২৬ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছে। আমরা মাত্র সাত বছর বয়সী এক শিশু ইরতাজা আব্বাসের জানাজা আদায় করেছি।’

ভারতকে তাদের বিমান হামলার ‘পরিণাম ভোগ করতে হবে’ হুঁশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ‘হয়তো তারা ভাবছিল আমরা পিছু হটব, কিন্তু তারা ভুলে গেছে যে এটা এমন একটা জাতি, যারা তাদের দেশের জন্য লড়াই করতে জানে।’

প্রচলিত যুদ্ধে শত্রুর ওপর পাকিস্তান সামরিক বাহিনী আবারও তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ। তিনি দেশের সামরিক, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন যে সমগ্র জাতি তাদের জন্য গর্বিত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ হব জ

এছাড়াও পড়ুন:

তিনজনের ব্যাটে ১৫০, ৬০০ ছাড়াল নিউজিল্যান্ড

দিনের শেষ ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে বেশ সমীহই করলেন রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলস। জিম্বাবুয়ের খণ্ডকালীন স্পিনারের করা শেষ ওভারটি থেকে নিলেন মাত্র ১ রান। কতটা সমীহ করেছেন, সেটা বুঝতে চোখ রাখতে পারেন আগের ওভারগুলোতেও। ব্রেনেটের আগের ৫ ওভারে রান উঠেছে যথাক্রমে ১২, ১১, ১২, ২০ ও ৬।

বুলাওয়েতে আজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিক বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সারা দিনে ৯১ ওভার ব্যাট করেছে কিউইরা। মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে রান করেছে ৪২৭। আগের দিনের রান যোগ করে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের রান দাঁড়িয়েছে ৩ উইকেটে ৬০১–এ। প্রথম ইনিংসে ১২৫ রানে অলআউট হওয়া জিম্বাবুয়ে এখনই ম্যাচে ৪৭৬ রানে পিছিয়ে।

নিউজিল্যান্ডের এই বড় সংগ্রহের মূলে তিন ব্যাটসম্যানের দেড় শ ছোঁয়া ইনিংস। ১ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে দিন শুরুর সময় ডেভন কনওয়ে অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানে। বাঁহাতি এই ওপেনার নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে আউট হয়েছেন ১৫৩ রানে। তার আগে দিনের শুরুর দিকে ফেরেন আগের বিকেলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা জ্যাকব ডাফি। কনওয়েকে বোল্ড করেন ব্লেসিং মুজারাবানি, ডাফিকে বেনেটের ক্যাচ বানান ভিনসেন্ট মাসেকেসা।

লাঞ্চ বিরতি থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পর কনওয়ে আউট হয়ে গেলে জুটি বাঁধেন রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলস। দিনের বাকি অংশে এ দুই ব্যাটসম্যানই জিম্বাবুয়ে বোলারদের সময়টা কঠিন করে তুলেছেন। দিন শেষে অবিচ্ছিন্ন দুজনই, এরই মধ্যে যোগ করেছেন ২৫৬ রান।

এর চেয়েও বড় অর্জন দুজনই সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর দেড় শর ঘরও ছুঁয়েছেন। চারে নামা নিকোলসের অপরাজিত ২৪৫ বলে ১৫০ রান করে। আর তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র অপরাজিত ১৩৯ বলে ১৬৫ রানে। যার মধ্যে ২১টি চারের সঙ্গে আছে ২টি ছক্কাও।

নিউজিল্যান্ডের তিন ব্যাটসম্যান ১৫০ স্পর্শের মাধ্যমে একটি রেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে এর আগে এক ইনিংসে তিনটি দেড় শ দেখা গেছে দুবার। প্রথমবার ১৯৩৮ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের (লিওনার্ড হাটন, মরিস লেল্যান্ড ও জো হার্ডস্টাফ), আরেকটি ১৯৮৬ সালে কানপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের (সুনীল গাভাস্কার, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও কপিল দেব)।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিন শেষে):জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ১২৫। নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ১৩০ ওভারে ৬০১/৩ (রবীন্দ্র ১৬৫*, কনওয়ে ১৫৩, নিকোলস ১৫০*, ইয়াং ৭৪; মুজারাবানি ১/১০১)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ