পাকিস্তানে ভারতের হামলাকে ঘিরে পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। হামলার জেরে পাকিস্তান সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে তীব্র হয়েছে যে কোনো সময় পাল্টা হামলার শঙ্কা। সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ এখন ‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ দ্বারপ্রান্তে।

গতকাল বুধবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানে হামলাকে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি। গত ২২ এপ্রিলের ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে তারা। অবশ্য পাকিস্তান বলছে, তারা এ জন্য দায়ী নয়। তারা নিজেরাই সন্ত্রাসবাদের ভুক্তভোগী। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে ছয়টি পৃথক স্থানে হামলা চালায় ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে এটা বিরল ঘটনা। এর আগে ২০১৬ সালে ভারত আজাদ কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালালেও এত ব্যাপক পরিসরে কোনো হামলা হয়নি। 

কাশ্মীর নিয়ে এর আগেও দুই দেশ সংঘাতে জড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ১৯৯৯ সালের সংঘাত। তখন যুদ্ধে দুই দেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়। তবে সে সময়ের সংঘাত সর্বাত্মক যুদ্ধে পৌঁছায়নি। 

ভারত হামলা চালানোর পর দুই দেশের ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তে তীব্র গোলাবর্ষণ শুরু হয়।

 এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেহেলগামে হামলাকারীদের ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত’ খোঁজার অঙ্গীকার করেছিলেন। এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বললেন, ভারতে হামলার অধিকার তাদের রয়েছে। 

এ উত্তেজনা নিয়ে দ্বৈত মন্তব্য দেখা যাচ্ছে বিশ্লেষকদের মধ্যে। ওয়াশিংটনভিত্তিক হাডসন ইনস্টিটিউটের ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভের পরিচালক অপর্ণা পাণ্ডে বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এ উত্তেজনার চিত্র আমরা আগেও দেখেছি। কয়েক বছর অন্তর ভারতের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলা হয় এবং দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। প্রতিবারই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এগিয়ে আসে এবং উত্তেজনার প্রশমন ঘটে। এ পুনরাবৃত্তি একটা চক্রের মতো, বলা যায়।’

সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো অমিত রঞ্জন বলেন, ১৯৯৯ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত কার্গিল যুদ্ধ বেশির ভাগই পাহাড়ি এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। তাই বেসামরিক লোক কম হতাহত হয়। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন মনে হচ্ছে। যদি দুই দেশের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র-বৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। হামলায় বেসামরিক লোক হতাহত হলে যে কারও পক্ষে প্রতিশোধ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। 

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, পাকিস্তানে ভারতের সামরিক আক্রমণ ২০১৯ সালের তুলনায় বড় পরিসরে হয়েছে। এবার পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াও বড় পরিসরে জানানো হয়েছে, যা আগের মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। অবশ্য ভারতের এই হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

ভারতের হামলার পর শাহবাজ শরিফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, পাকিস্তানের পাঁচটি স্থানে কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়েছে ভারত। এ ‘জঘন্য আগ্রাসনের’ তাদের শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে। পাকিস্তান হামলার চূড়ান্ত জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করে। 

আক্রান্ত এলাকাগুলো সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ শিবিরি ছিল– ভারতের এ দাবি অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, হামলায় বেসামরিক লোকেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারত এখান থেকে পিছু হটলে আমরা প্রতিক্রিয়া জানানো বন্ধ করব।  

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সংঘাতের গতিপথ পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার মাত্রা এবং প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। র‌্যান্ড করপোরেশনের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যান এবিসিকে বলেন, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা সৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিমান হামলা। এ উত্তেজনা চরম পর্যায়ে গেলে তা পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে পরিচালিত হতে পারে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তারা প্রতিশোধস্পৃহায় অটল থাকলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হতে পারে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, সে ব্যাপারে উভয় পক্ষই সতর্ক। 

ডেরেক গ্রসম্যান বলেন, এ সংঘাতে বৃহৎ শক্তিগুলো জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম। রাশিয়ার সহায়তা থেকে ভারত উপকৃত হচ্ছে। ক্রেমলিন সম্প্রতি নতুন ক্ষেপণাস্ত্রও সরবরাহ করেছে। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে এবং ওয়াশিংটন ভারতকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর পাকিস্তানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদার হলো চীন।  

মুডিস রেটিংও সতর্ক করে দিয়েছে, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিপরীতে ভারতের জন্য এমন নেতিবাচক কোনো পূর্বাভাস নেই। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াবের বিবৃতির জবাবে যা বল‌লেন উপপ্রেস সচিব

দৈ‌নিক জনকণ্ঠ দখল, সাংবা‌দিক‌দের হুম‌কি, সাংবা‌দিকের চাক‌রিচ‌্যু‌তি, সচিবালয়ের অ্যাক্রেডিটেশন বা‌তিল ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নি‌য়ে ক্ষোভ প্রকাশ ক‌রে কড়া বিবৃ‌তি দি‌য়ে‌ছিল নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

সংগঠন‌টির বিবৃ‌তির প্রসঙ্গে শুক্রবার (৮ আগস্ট) ফেসবুক পোস্ট দেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তি‌নি বলেন, “গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার প্রতি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “সম্প্রতি নোয়াব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যপ্রাপ্তি পরিস্থিতি নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, আমরা তা স্বীকার করছি। তবে গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীকার ক্ষুণ্ণ করেছে-এমন ইঙ্গিত আমরা দৃঢ়ভাবে ও স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।”

এ সময় মৌলিক মূল্যবোধ রক্ষায় ও উন্নত করতে সরকার সব অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

নোয়াবকে জবাব: সত্য ঘটনা তুলে ধরা শীর্ষক শিরোনামে উপপ্রেস সচিব নোয়াবের দেওয়া বিবৃতির বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা দেন:
১.গণমাধ্যমের কার্যক্রমে সরকারের হস্তক্ষেপ নেই
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমের সম্পাদকীয়, পরিচালনা বা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করেনি। বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার মুখেও আমরা অসাধারণ সংযম দেখিয়েছি। টেলিভিশন টক শো ও কলামে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রায়ই মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে। তবুও আমরা না সেন্সর করেছি, না প্রতিশোধ নিয়েছি; এমনকি প্ররোচিত হলেও আমরা অভিযোগ করিনি, লাইসেন্স স্থগিত করিনি। বরং আগের সরকারের সময় জোরপূর্বক বন্ধ করে দেওয়া কিছু গণমাধ্যমকে পুনরায় প্রকাশনা বা সম্প্রচারের সুযোগ করে দিয়েছি। এটি আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি অঙ্গীকারের স্পষ্ট প্রমাণ।

২. সরকারে প্রবেশাধিকার সবসময় উন্মুক্ত ছিল
সীমিত প্রবেশাধিকারের অভিযোগের বিপরীতে সাংবাদিকরা আমাদের উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীদের সঙ্গে সরাসরি ও উন্মুক্তভাবে যোগাযোগের সুযোগ পেয়েছেন। কোনো সাংবাদিককে তার গণমাধ্যমের পরিচয় বা সম্পাদকীয় অবস্থানের কারণে সাক্ষাৎকার বা ব্রিফিং থেকে বঞ্চিত করা হয়নি। আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি এবং আমাদের আচরণ সেটিরই প্রতিফলন।

৩. সচিবালয়ের অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়ার সংস্কার
অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে নোয়াবের সমালোচনা ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। আগের পদ্ধতিটি ছিল মারাত্মকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত; প্রবেশপত্র এমন ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছেছিল যাদের কোনো বৈধ সাংবাদিকতার ভূমিকা ছিল না-যাদের মধ্যে কিছু ছিল রাজনীতিবিদ, লবিস্ট ও সুযোগসন্ধানী, যারা এই বিশেষ সুবিধা ব্যবহার করে নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অন্যায্য প্রভাব বিস্তার করত।

আমরা সেই ভাঙা কাঠামো ভেঙে দিয়ে একটি অস্থায়ী পাস ব্যবস্থা চালু করেছি যা নিশ্চিত করছে যে প্রকৃত সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন।এটি প্রবেশাধিকার সীমিত করার জন্য নয় বরং একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার জন্য। আগের অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালায় সাংবাদিকদের সরকারপন্থি অবস্থান নিতে বাধ্য করার শর্ত ছিল। এমনকি এতে কিছু অপমানজনক ধারা ছিল যা সাংবাদিকদের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি। অন্তর্বর্তী সরকার সেটি সংশোধন করেছে। দীর্ঘমেয়াদি নবায়ন সুবিধাসহ নতুন অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে।

৪. চাকরির নিরাপত্তা
স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন: যেসব সাংবাদিক তাদের চাকরি হারিয়েছেন, তা সরকারের নির্দেশে নয়, বরং গণমাধ্যম মালিকদের সম্পাদকীয় বা করপোরেট কৌশলগত পুনর্বিন্যাসের কারণে হয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণরূপে মালিকপক্ষের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের ফল, সরকারের কোনো চাপ বা নির্দেশ নয়।

৫. সাংবাদিকদের নিরাপত্তা: যৌথ দায়িত্ব
আমরা সব নাগরিকের মতো সাংবাদিকদের শারীরিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার, তবে এই দায়িত্ব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও যৌথভাবে ভাগ করে নিতে হবে।

এই বছরের শুরুর দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত মিডিয়া সংস্কার কমিশন একটি নতুন ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে, যাতে আইনি সুরক্ষা বৃদ্ধি পায় এবং সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ের কারণে স্ব-সেন্সরশিপ কমে। সরকার প্রস্তাবিত আইনটি প্রণয়নের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

৬. শিল্পের ভেতরেও আত্মসমালোচনার প্রয়োজন
আমরা গঠনমূলক সমালোচনার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও নোয়াবকে পরামর্শ দিচ্ছি প্রথমে নিজেদের ভেতরে নজর দিতে। নিজেদের সদস্যদের কার্যকলাপ পরীক্ষা করা উচিত-বিশেষ করে সাংবাদিকদের বেতন বঞ্চনা, শ্রম অধিকার হরণ, সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়া শত্রুভাবাপন্ন পরিবেশে কাজ করানো এবং অসহনীয় কর্মপরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

একটি সূক্ষ্ম রূপান্তরের সময়কাল পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন হিসেবে আমরা ইচ্ছাকৃতভাবেই ‘হ্যান্ডস-অফ’ পদ্ধতি বজায় রেখেছি, যাতে গণমাধ্যম ভয় বা হস্তক্ষেপ ছাড়া কাজ করতে পারে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের কাছে কেবল একটি স্লোগান নয়; এটি এমন একটি নীতি, যা আমরা পালন করি।

তথ্যের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্টভাবে দায়ী পক্ষকে লক্ষ্য করে উপস্থাপিত হলে নোয়াবের উদ্বেগ অধিক গুরুত্ব পেত। ঘটনাবলির ভুল ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে করা সাধারণীকৃত অভিযোগ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অগ্রসর করে না, বরং বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাতের প্রকৃত সমস্যাগুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেয়।

আমরা স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই মৌলিক মূল্যবোধ রক্ষায় ও উন্নত করতে আমরা সকল অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ