শাবিপ্রবিতে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু জুলাইয়ে
Published: 8th, May 2025 GMT
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে রাইজিংবিডি ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাবিপ্রবি ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল (বুধবার) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকেই সব আসন পূরণ হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে ড্রেন
সিকৃবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রায়হানুল, সম্পাদক মাহমুদ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ড.
নতুন শিক্ষার্থীদের হলে আসন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে সবাইকে হল বরাদ্দ দিয়েছি। পরবর্তীতে হলগুলো থেকে খালি আসনের সংখ্যা জানানো হলে আমরা মেরিট অনুযায়ী আসন বরাদ্দ দেব।”
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেধাক্রম ৩২ হাজার: পোষ্য কোটায় ভর্তি হলেন ববি উপাচার্যের মেয়ে
পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলমমের মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪০ এবং ফলাফলে মেধাক্রম ছিল ৩২ হাজার। তবে ওই অনুষদে কোটা ব্যাতিত মেধাতালিকার সর্বশেষ ৫০৩৫ মেধাক্রম পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বিভিন্ন দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের ফের মহাসড়ক অবরোধ
নির্মাণাধীন নভোথিয়েটার ও বিটেক ভবন ববি শিক্ষার্থীদের দখলে
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি হওয়া তিনজন শিক্ষার্থীর পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়ে যার প্রাপ্ত নম্বর ৪০, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ছেলে (৩৯.৫০ নম্বর) ও ইলেকট্রিশিয়ান আরিফ হোসেন সুমনের ছেলে (৫৩.৫০ নম্বর)। চলতি বছর পোষ্য কোটাসহ বিভিন্ন কোটায় ভর্তি হয়েছেন মোট ২১ জন শিক্ষার্থী।
চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য কোটায় ভর্তি হন ১৮ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে প্রতিবন্ধী কোটায় তিনজন, হরিজন ও দলিত কোটায় একজন। ‘বি’ ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা (সন্তান) চারজন, প্রতিবন্ধী দুইজন, হরিজন ও দলিত একজন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী একজন। ‘সি’ ইউনিটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দুইজন, বিকেএসপি একজন, মুক্তিযোদ্ধা একজন, হরিজন ও দলিত একজন, প্রতিবন্ধী একজন।
গত বছর কোটা নিরসনে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রুপ নেয়। পরে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। কিন্তু তারপরেও কোটা পদ্ধতি বহাল রেখে উপাচার্য নিজ মেয়েকে কোটায় ভর্তি করানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, পোষ্য কোটা হলো সবচেয়ে বড় অযোক্তিক কোটা। একজন উপাচার্যের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হতে না পেরে কোটার সুযোগ নিয়ে ভর্তি হয়, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই এই অযোক্তিক কোটা বাতিল করা হোক এবং যোগ্যদের সুযোগ দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে ভর্তি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, “গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী ৩০ নম্বর পাস মার্ক অতিক্রম করলেই কোটা ব্যবহার করা যায়। উপাচার্যের মেয়ে শর্ত পূরণ করেই কোটার সুবিধা পেয়েছেন। এখানে নিয়মের বাহিরে কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি।”
ঢাকা/আরিফ/মেহেদী