ভারত দাবি করেছে, বুধবার রাতে ১৫টি শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান, কিন্তু ভারতীয় বাহিনী সফলভাবে তা প্রতিহত করেছে। খবর সিএনএনের। 

ভারত সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ভারত পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে লাহোরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে এয়ার ডিফেন্স রাডার ও সিস্টেমের উপর হামলা চালায়, এতে লাহোরে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার রাতভর পাকিস্তান উত্তর ও পশ্চিম ভারতের অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভূজ সহ বেশ কয়েকটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ করেছিল।

আরো পড়ুন:

চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

এবার পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় ভারতের হামলা

ভারতের দাবি, ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তা মোকাবিলা করা হয়। পাকিস্তানের আক্রমণের সাক্ষ্য হিসাবে নষ্ট হওয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রর ধ্বংসস্তূপ উদ্ধার করা হয়েছে।

হামলার জবাবে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে সামরিক পরিকাঠামোর উপর হামলা চালায়। এ হামলায় লাহোরে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। 

বিবৃতিতে ভারত সরকার বলেছে, “পাকিস্তানের মতো একই তীব্রতার সাথে ভারতীয় প্রতিক্রিয়া একই ক্ষেত্রে ছিল।” 

পাকিস্তানের সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, একটি ভারতীয় ড্রোন লাহোরের কাছে সামরিক লক্ষ্যে আঘাত করেছে। এতে ৪ জন সেনা আহত হয়েছেন।

ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোতে প্রকাশিত সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার এবং রাজৌরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তান বিনা উস্কানিতে মর্টার এবং ভারী ক্যালিবার আর্টিলারি ব্যবহার করে গুলিবর্ষণের তীব্রতা বাড়িয়েছে। পাকিস্তানের গুলিতে তিন নারী ও পাঁচ শিশুসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান থেকে মর্টার ও আর্টিলারি গুলিবর্ষণ বন্ধ করার জন্য ভারতকে জবাব দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে ইউপি সদস্য হত্যার ঘটনায় মামলা

কক্সবাজারের টেকনাফর উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. ইউনুস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে নিহতের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জায়েদ নূর মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আট জনের নাম উল্লেখ এবং ৭-৮জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

গলা কেটে বিড়াল হত্যা, থানায় জিডি

স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ

কোহিনুর আক্তারের অভিযোগ, তার স্বামী স্বামী ইউনুস সাবেক ইউপি সদস্য এবং টেকনাফ উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের সভাপতি। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে মো. আলম নামে এক ব্যক্তির ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে আটকে রাখা হয় ইউনুসকে। এরপর ৭০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ফেরত দেওয়ার কথা বললেও, ইউনুসের মরদেহ ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার হয়।

কোহিনুর আক্তার বলেন, “আমার স্বামীকে দাওয়াতের কথা বলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে আলম শফুর গ্রুপ। তাদের সঙ্গে তার কোনো টাকার লেনদেন ছিল না। তারা সকালে আমার স্বামীকে জীবিত ফেরত দেবে বলেছিল, কিন্তু পেলাম শুধু লাশ। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।”

গত বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ