১৫ শহরে পাকিস্তানের হামলা প্রতিহতের দাবি ভারতের
Published: 8th, May 2025 GMT
ভারত দাবি করেছে, বুধবার রাতে ১৫টি শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান, কিন্তু ভারতীয় বাহিনী সফলভাবে তা প্রতিহত করেছে। খবর সিএনএনের।
ভারত সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ভারত পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে লাহোরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে এয়ার ডিফেন্স রাডার ও সিস্টেমের উপর হামলা চালায়, এতে লাহোরে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার রাতভর পাকিস্তান উত্তর ও পশ্চিম ভারতের অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভূজ সহ বেশ কয়েকটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ করেছিল।
আরো পড়ুন:
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
এবার পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় ভারতের হামলা
ভারতের দাবি, ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তা মোকাবিলা করা হয়। পাকিস্তানের আক্রমণের সাক্ষ্য হিসাবে নষ্ট হওয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রর ধ্বংসস্তূপ উদ্ধার করা হয়েছে।
হামলার জবাবে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে সামরিক পরিকাঠামোর উপর হামলা চালায়। এ হামলায় লাহোরে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।
বিবৃতিতে ভারত সরকার বলেছে, “পাকিস্তানের মতো একই তীব্রতার সাথে ভারতীয় প্রতিক্রিয়া একই ক্ষেত্রে ছিল।”
পাকিস্তানের সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, একটি ভারতীয় ড্রোন লাহোরের কাছে সামরিক লক্ষ্যে আঘাত করেছে। এতে ৪ জন সেনা আহত হয়েছেন।
ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোতে প্রকাশিত সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার এবং রাজৌরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তান বিনা উস্কানিতে মর্টার এবং ভারী ক্যালিবার আর্টিলারি ব্যবহার করে গুলিবর্ষণের তীব্রতা বাড়িয়েছে। পাকিস্তানের গুলিতে তিন নারী ও পাঁচ শিশুসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান থেকে মর্টার ও আর্টিলারি গুলিবর্ষণ বন্ধ করার জন্য ভারতকে জবাব দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণার পর নীরব নেতানিয়াহু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে ‘যুদ্ধবিরতি’র ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার এই নীরবতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।
জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরপরই নেতানিয়াহু একটি জরুরি নিরাপত্তা ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকেন। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চলে ওই বৈঠক। সেখানে তিনি মন্ত্রীদের কোনো ধরনের সাংবাদিক বা জনসমক্ষে মন্তব্য না করার নির্দেশ দেন। খবর আলজাজিরার।
এদিকে, ইরান জানিয়েছে, তারা আর প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে না— যদি ইসরায়েল তাদের ওপর হামলা বন্ধ করে। তবে ট্রাম্পের ঘোষণার পরও দুই দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েল-ইরান প্রায় একই সাথে এসে বলেছিল, শান্তি চাই: ট্রাম্প
ট্রাম্পের ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণার পর কমছে তেলের দাম
ঢাকা/ইভা