রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের (ভারপ্রাপ্ত) বাসায় ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার প্রতিবাদে ছাত্র-শিক্ষক-নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও জড়িতদের এখনো গ্রেপ্তার না করায় তার এ কর্মসূচি পালন করেন। 

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘নিপীড়ন বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক ঐক্য’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

সমাবেশে ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, “আমরা যে ভয় পেয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি, ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। আমাদের অবস্থান জানান দিতে দাঁড়িয়েছি। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে বিপ্লবের পর এখনো মুখোশধারী কিছু ফ্যাসিস্ট আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা যারা দায়িত্ব পেয়েছি, তারা নিশ্চিন্তে দায়িত্ব পালন করতে চাই।”

আরো পড়ুন:

রাবিতে আন্তঃবিভাগ খেলার পুরস্কার বিতরণী

রাবিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৫ দাবিতে স্মারকলিপি

তিনি বলেন, “আজ আমাদের নানা বাধার সম্মুখীন করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, নৈতিক শক্তিতে যারা পরাজিত, তারাই এই ঘৃণ্য কাজ করছে। তারা কাপুরুষ ছাড়া আর কিছুই না। কারণ তাদের নৈতিক সাহস নেই। আমরা এসব কাপুরুষকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলাম বলেন, “রাবি রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আলম মাসউদের ওপর হামলা মানে শিক্ষার ওপর হামলা, ছাত্র জনতার ওপর হামলা, বুদ্ধিজীবীদের ওপর হামলা। এক সপ্তাহ পার হওয়ার পরেও এই হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারা আমাদের জন্য অনেক বেশি লজ্জার ও বেদনার।”

তিনি বলেন, “অনতিবিলম্বে এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের উদঘাটন করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যদি তা না করা হয় তাহলে আমাদের আন্দোলন আরো তীব্রতর রূপ ধারণ করবে।”

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

গত ৩০ এপ্রিল গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা। বিনোদপুরের মন্ডলের মোড়ে তার নিজ বাসার দরজার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

আপাতত ভারত থেকে পণ্য কিনছে না অ্যামাজন-ওয়ালমার্টের মতো খুচরা বিক্রেতারা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর ভারত থেকে পণ্য নেওয়া স্থগিত করেছে ওয়ালমার্ট, অ্যামাজন, টার্গেট, গ্যাপসহ বড় মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা। শুক্রবার এনডিটিভি প্রফিট এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারতীয় রপ্তানিকারকরা মার্কিন ক্রেতাদের কাছ থেকে চিঠি ও ইমেইল পেয়েছেন। এতে বলা হয়েছে- পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য পাঠানো আপাতত বন্ধ রাখতে চান ক্রেতারা। বাড়তি শুল্কের বোঝা বহন করতে চান না তারা। এই ব্যয় রপ্তানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দিতে চান তারা।

এনডিটিভি জানিয়েছে, উচ্চ শুল্কের কারণে খরচ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রগামী কার্যাদেশ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এর ফলে ভারতের ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে।

ওয়েলস্পান লিভিং, গোকালদাস এক্সপোর্টস, ইন্ডো কাউন্ট, ট্রাইডেন্টের মত বড় ভারতীয় রপ্তানিকারকরা তাদের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ পণ্য বিক্রি করে কেবল যুক্তরাষ্ট্রে।

ভারতের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৫ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে এই খাতে মোট ৩৬ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির মধ্যে ২৮ শতাংশই গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বে ষষ্ঠ বৃহত্তম টেক্সটাইল ও পোশাক রপ্তানিকারক দেশ ভারতের এখন আশঙ্কা, তারা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের কাছে কার্যাদেশ হারাতে পারে। এ দুটি দেশ ভারতের চেয়ে কম- অর্থাৎ ২০ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়ছে।

ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে এবং বাকি ২৫ শতাংশ ২৮ অগাস্ট থেকে কার্যকর হবে। রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ