নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে অবৈধভাবে ইলিশ আহরণের সময় প্রায় ৪ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের ৬১৫ কেজি ইলিশ ও ছয়টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার সময় কোস্টগার্ড হাতিয়া স্টেশন ও মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টাংকি ঘাট ও চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন এলাকায় ছয়টি ফিশিং বোট তল্লাশি করে প্রায় ৪ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের ৬১৫ কেজি ইলিশসহ ৯৩ জন জেলেকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে জব্দকৃত মাছ হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফয়েজুর রহমানের উপস্থিতিতে স্থানীয় মাদ্রাসা, এতিমখানা, গরীব প্রান্তিক পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় এবং আটককৃত বোটগুলোকে জরিমানা ও ৯৩ জন জেলেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, সরকার প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন মোট ৫৮ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মৎস য
এছাড়াও পড়ুন:
আগস্টের পাঁচ দিনে রেমিট্যান্স এল ৪ হাজার কোটি টাকা
চলতি ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টের প্রথম পাঁচ দিনে বাংলাদেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
বুধবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি আগস্টের প্রথম পাঁচ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, তা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮১ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালে আগস্টের প্রথম পাঁচ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অর্থপাচার রোধে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে।
গত জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
২০৪-২০২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আহরণ ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। ওই অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ মার্কিন, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার এবং জুন মাসে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক