মামলার সাক্ষী হওয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 9th, May 2025 GMT
ময়মনসিংহে ইয়াসিন আলী স্বপন (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আমির হোসেন নামের আরেকজন আহত হয়েছেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যা মামলায় সাক্ষী দেওয়ায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মামলার আসামিরা।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর আকুয়া মড়লবাড়ি গন্দ্রপা এলাকায় নিজ দোকানে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন তিনি। পরে শুক্রবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত স্বপন এলাকার রজব আলীর ছেলে। তিনি আনন্দ মোহন কলেজে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি ওই এলাকায় তার একটি মুদি দোকানও রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালে ইয়াসিন আলী স্বপনের চাচা পারভেজকে দিলীপ ও তার সহযোগীরা হত্যা করে। তাদের দায়ের করা এ মামলায় দিলীপ কারাগারে ছিলেন। বছরখানেক আগে দিলীপ জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে স্বপনের দোকানে তার চাচাতো ভাই আমির হোসেনকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় দিলীপ। রাজি না হওয়ায় দিলীপ ও তার সহযোগীরা আমির হোসেন ও স্বপনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে আহত করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক প য় হত য ময়মনস হ স বপন
এছাড়াও পড়ুন:
দিনে ঢাকায় মিছিল, রাতে বাড়িতে ফিরতেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার ব্যানারে মিছিলে অংশ নেওয়ার পর রাতে বাড়িতে ফিরতেই তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নূর হামীম রুশো (২০), ছাত্রলীগ কর্মী আলিফ জাহান ওরফে পার্থ (২০), মো. মারুফ মিয়া (২৫)। তাঁরা সবাই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
আজ শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে ঢাকায় মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা রাজধানীর উত্তরার মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।