ময়মনসিংহে ইয়াসিন আলী স্বপন (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আমির হোসেন নামের আরেকজন আহত হয়েছেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যা মামলায় সাক্ষী দেওয়ায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মামলার আসামিরা।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর আকুয়া মড়লবাড়ি গন্দ্রপা এলাকায় নিজ দোকানে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন তিনি। পরে শুক্রবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত স্বপন এলাকার রজব আলীর ছেলে। তিনি আনন্দ মোহন কলেজে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি ওই এলাকায় তার একটি মুদি দোকানও রয়েছে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালে ইয়াসিন আলী স্বপনের চাচা পারভেজকে দিলীপ ও তার সহযোগীরা হত্যা করে। তাদের দায়ের করা এ মামলায় দিলীপ কারাগারে ছিলেন। বছরখানেক আগে দিলীপ জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা শুরু করেন। 

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে স্বপনের দোকানে তার চাচাতো ভাই আমির হোসেনকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় দিলীপ। রাজি না হওয়ায় দিলীপ ও তার সহযোগীরা আমির হোসেন ও স্বপনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। 

কোতোয়ালি মডেল থানার (ওসি) মো.

শফিকুল ইসলাম খান বলেন, মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকাজ চলছে, দ্রুত আসামি গ্রেপ্তার হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক প য় হত য ময়মনস হ স বপন

এছাড়াও পড়ুন:

ছাগল বিক্রি করতে গিয়ে নিখোঁজ, পরে সেপটিক ট্যাংকে মিলল মরদেহ

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারী ছাগল বিক্রি করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রযুক্তির সহায়তায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে নিখোঁজ নারীর মুঠোফোন।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীর নাম সুফিয়া খাতুন (৩৪)। তিনি ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের পাতিলগাঁও গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের দাদরা গ্রামের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, দাদরা গ্রামের ফরিদুল ইসলামের বাড়ির পাশে দুর্গন্ধ পেয়ে তাঁরা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খুলে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।

নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ওই নারীর ছোট ভাই মো. ইলিয়াছ ২ জুলাই ফুলপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন তারাকান্দায় মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি থানায় গিয়ে পরনের কাপড় দেখে লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

পুলিশ জানায়, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে আজ শুক্রবার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওই নারীর স্বজনেরা জানান, গত রোববার বিকেলে সুফিয়া খাতুন ছাগল বিক্রি করতে ফুলপুর উপজেলার আমুয়াকান্দা বাজারে যান। চার হাজার টাকায় ছাগল বিক্রির পর মাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। এরপর তিনি দ্বিতীয় স্বামী রইছ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর স্বামী ফুলপুর উপজেলার পাগলা এলাকার বাসিন্দা এবং আমুয়াকান্দার একটি মাদ্রাসায় বাবুর্চির কাজ করেন। রইছ উদ্দিন তাঁকে রাতের খাবার খাইয়ে রাত আটটার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য গাড়িতে তুলে দেন। এরপর সুফিয়া খাতুন এক প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরবেন বলে জানান। এর পর থেকে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।

নিহত সুফিয়া খাতুনের আগের স্বামীর সংসারে ১২ বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান আছে।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, ওই নারীর মুঠোফোনটি পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই মুঠোফোনের সূত্র ধরে রোহন মিয়া (৩৫) নামের একজনকে আটক করা হয়। তিনি দাদরা গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে। যেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়, তার পাশেই রোহনের বাড়ি।

ওসি আরও বলেন, দ্বিতীয় বিয়ে হলেও স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন ওই নারী।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয় বলে আমাদের ধারণা। আটক হওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে নারীর মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। ভিন্ন সিম লাগিয়ে ফোনটি ব্যবহার করছিলেন তিনি। কারা, কীভাবে, কী কারণে ওই নারীকে হত্যা করেছে, তা জানতে আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীর প্রতিভা বিকশিত হতে দেয় না
  • তিন বিভাগে ৪ ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে
  • অসহায় প্রবীণদের ‘বাবা–মায়ের’ মতো যত্ন করেন রফিকুল-কল্পনা দম্পতি
  • মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা, বাড়ছে দুর্ঘটনা
  • টানা পাঁচদিন সারাদেশে বৃষ্টির বার্তা
  • ছাগল বিক্রি করতে গিয়ে নিখোঁজ, পরে সেপটিক ট্যাংকে মিলল মরদেহ