৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য করণীয়
Published: 12th, May 2025 GMT
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় পাস করতে হলে ভালো প্রস্তুতির বিকল্প নেই। প্রিলিমিনারিতে সফল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ৪১তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডার পাওয়া ও ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকারী শানিরুল ইসলাম শাওন।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রথমেই পিএসসির সিলেবাস দেখে নিতে হবে। এরপর আগের বিসিএস প্রিলিমিনারির সব প্রশ্ন ভালোভাবে পড়তে হবে। কার্যকর প্রস্তুতির অভাবে অনেকের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল খারাপও আসতে পারে। অনেক প্রার্থীই সঠিক চর্চা বা পরিকল্পনার অভাবে নেগেটিভ মার্কিংয়ের কারণে পরীক্ষায় খারাপ করেন। তাই প্রার্থীদের এ বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।
বাংলা বিষয়ে সন্ধি, ধ্বনি, বাগ্ধারা, শব্দ, বানান ইত্যাদি বিষয়ে চোখ বুলিয়ে নিন। আর প্রকৃতি-প্রত্যয়, সমাস—এ বিষয়গুলো আগে না পড়ে থাকলে বা সমস্যা লাগলে শুধু বিগত প্রশ্ন পড়ুন। তা ছাড়া লিখিত পরীক্ষায় এগুলোর প্রয়োগও কম। বাংলা সাহিত্য অংশে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় মৌলিক তথ্য রিভিশন করুন। আন্দোলন–সংক্রান্ত সাহিত্য এবং পিএসসির নির্ধারিত কবিদের পাশাপাশি ফররুখ আহমদ, আহসান হাবীব, গোলাম মোস্তফা ও আল মাহমুদের লেখা রচনাগুলো ভালোভাবে দেখে যেতে পারেন।
ইংরেজির অংশের গুরুত্ব এখন বেশি। তাই ইংরেজি গ্রামারের অংশের জন্য ইডিয়মস, ফ্রেজ অ্যান্ড ক্লোজ, জিরান্ড অ্যান্ড পার্টিসিপল, ডিটারমিনার, ভয়েস, ভার্ব, নাউন, প্রোনাউন ও ভোকাবুলারি—এসব বিষয়ের ওপর জোর দিন। অবশ্যই বিগত সব চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করবেন।
ইংরেজি লিটারেচার অংশে বিগত দুটি প্রিলি পরীক্ষায় ১০টি করে প্রশ্ন এসেছে। তাই এ অংশে এখন পরিশ্রম কমে গেছে। তা ছাড়া বিগত ৪৬ বিসিএস প্রিলিতে ইংরেজি সাহিত্যের ১০টির মধ্যে ৭-৮টি প্রশ্নই আগে চাকরির পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন। তাই অন্তত সব বিগত চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সমাধান করুন। আর মৌলিক প্রশ্নের উত্তর করার জন্য উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, ইউনিভার্সিটি উইটস, রোমান্টিক পিরিয়ড, ভিক্টোরিয়ান পিরিয়ড, জোনাথন সুইফট, ডব্লিউ বি ইয়েটস, ডিকেন্স প্রমুখ লেখকের রচনা প্রাধান্য দিতে পারেন। তা ছাড়া সাহিত্যে সর্বশেষ নোবেল পুরস্কার, বুকার ও ম্যান বুকার পুরস্কারের তালিকা দেখে যাবেন।
বিগত কয়েকটি প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ বিষয়াবলির প্রশ্ন সহজ হচ্ছে। এবার প্রাচীন যুগ থেকে ইংরেজ শাসন পর্যন্ত বিভিন্ন শাসনামল, বাংলাদেশের কৃষিপণ্য, ভূমিকম্প ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রকৃতি ও পর্বত, নানা ধরনের অর্থনীতি (যেমন ব্লু, গ্রিন, সার্কুলার, রুরাল) ও এর ক্ষুদ্রঋণ–সম্পর্কিত তথ্য, সংবিধান ও এর বাতিল করা অনুচ্ছেদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জীবনীর উল্লেখযোগ্য তথ্য, ১৯৪৭-৭১–এর মৌলিক তথ্য দেখে যেতে পারেন।
আরও পড়ুনঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পুনর্নিয়োগ, পদ ৬৩, ফি ২২৩০২ মে ২০২৫আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে সার্ক, জাতিসংঘ, আসিয়ান, বিমসটেক, কপ সম্মেলন, ওআইসি, আরব লিগ, সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু, লেবানন-ইসরায়েল ইস্যু, সিরিয়ার বাশার সরকারের পতন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের ভূমিকম্প, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও এর প্রভাব, সর্বশেষ কপ২৯ সম্মেলন, সর্বশেষ অস্কার, নোবেল, পুলিৎজার, র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার ইত্যাদি দেখে যেতে পারেন।
গাণিতিক যুক্তি অংশে বর্তমানে পাটিগণিতের গুরুত্ব কমে গিয়ে বীজগণিতের প্রশ্ন আসার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া সাম্প্রতিক প্রিলিগুলোতে নবম-দশম শ্রেণির উচ্চতর গণিত থেকেও দু–একটা প্রশ্ন আসতে দেখা গেছে। এ জন্য শেষ সময়ে পাটিগণিতে সরল ও যৌগিক মুনাফা, লাভ-ক্ষতি, শতকরা, অনুপাত ও ঐকিক নিয়মে জোর দিন। বীজগণিত অংশে সেট, ফাংশন, সূচক ও লগারিদম, বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা, উৎপাদকে বিশ্লেষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো অবশ্যই বারবার চর্চা করুন। প্রয়োজনীয় সূত্র খাতায় আলাদা করে লিখে রাখুন, যেন পরীক্ষার আগের রাতে চট করে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যায়।
মানসিক দক্ষতায় আসলে বিগত সব প্রিলি ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান করলেই বেশ কিছু প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়। তবে হিসাব ও চিত্রনির্ভর প্রশ্নগুলো নতুন ও মৌলিক ডেটা দিয়ে করা হয়। এ জন্য অধিকতর চর্চা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে কৌশল/সূত্রগুলো নোট করে রাখুন। আর বাংলা বানান, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, ইংরেজি ভোকাবুলারি, স্পেলিং—এগুলো চর্চা করলে মানসিক দক্ষতার প্রস্তুতিতেও সহায়ক হয়।
আরও পড়ুনবেসরকারি ব্যাংকে এমটি পদে চাকরি, বেতন ৭৫০০০ টাকা০৯ মে ২০২৫দৈনন্দিন বিজ্ঞান ডেটানির্ভর প্রশ্নগুলো লিখে পড়বেন। তাহলে পরীক্ষার আগের রাতে রিভিশন সহজ হবে। বিজ্ঞানে প্রশ্ন বর্তমানে একটু কঠিন হয়। সব বিগত প্রশ্ন সমাধান করেও অন্তত দুবার পড়ুন। কমন পাবেন। আর জীবাণু, খাদ্যপ্রাণ, রোগ ও প্রতিকার, পদার্থ, রসায়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল, চিকিৎসাক্ষেত্রের সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য অর্জন/ঘটনা অবশ্যই দেখে যাবেন।
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে মেমোরি, পেরিফেরালস, ল্যাঙ্গুয়েজ, ডেটাবেজ, অপারেটিং সিস্টেম (কম্পিউটার ও স্মার্টফোন) ওয়েব সার্ভার, ব্রাউজার, বুলিয়ান অ্যালজেবরা, বাইনারি কনভারশন, আধুনিক প্রযুক্তিগত বিষয় (সর্বশেষ সুপারকম্পিউটার, জেমিনি, ডিপসিক, ব্লকচেইন, এআই, সর্বশেষ উইন্ডোজ ইত্যাদি) দেখে যাবেন। আর অবশ্যই বিগত সব চাকরির প্রশ্ন সমাধান করবেন। ব্যাংকের পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলোর সমাধান করা বেশি জরুরি।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ভালোভাবে আয়ত্ত করলে ভূগোল বিষয়ের পরিশ্রম অনেক কমে যায়। আগের বিসিএস পরীক্ষায় আসা সব প্রশ্ন একাধিকবার সমাধান করুন। আলাদাভাবে শিলা, বায়ুমণ্ডল, স্তর, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা, ভূপ্রাকৃতিক বিষয়গুলো দেখে গেলে ভালো হবে।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনের জন্য বিগত বিসিএস ও অন্য প্রশ্নগুলো সমাধান করুন। আর বিখ্যাত মনীষীদের বইয়ের নাম ও তাঁদের উক্তি মুখস্থ করে যাবেন। এ অংশের প্রশ্নে সব অপশন প্রায় একই রকম লাগে। তাই এ প্রশ্নগুলো নিশ্চিত না হয়ে যথাসম্ভব কম দাগানো ভালো।
বিশেষভাবে লক্ষণীয়
প্রতিদিন মডেল টেস্ট দিতে হবে এবং নেগেটিভ মার্কিং ৫ শতাংশের নিচে রাখার চেষ্টা রাখুন। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষা শেষ করার চর্চা করুন। প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় চোখ বোলানো যেন মিস না হয়। সর্বশেষ তথ্য জানা থাকা প্রয়োজন। ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১৩০ নম্বর টার্গেট রেখে পরিকল্পনা সাজাবেন। এর বেশি নম্বর পেলে ভালো, তবে মডেল টেস্টের চেয়ে কম নম্বর যেন না আসে। পরীক্ষার উত্তরপত্র বিশ্লেষণ করে বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতা বা শক্তির জায়গা বের করে নিন। যে অংশে উত্তর করলেই ভুল বেশি হচ্ছে, তা পরিহার করুন। যে উত্তরগুলো পারছেন না বা ভুল করছেন, সেগুলোর সঠিক উত্তরগুলো গুরুত্ব বুঝে আলাদাভাবে নোট রাখতে পারেন। চাপ নিলেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। সর্বোপরি চিন্তামুক্ত থেকে পড়ার টেবিলে সময় বাড়ান।
আরও পড়ুন৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা: বিষয়ভিত্তিক মডেল টেস্ট-১ ১২ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র প প রস ত ত র র প রস ত ত ব স এস প র জন য ন কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
৪৭তম বিসিএস প্রিলিতে কম উত্তীর্ণে কী বার্তা দিল পিএসসি
সদ্য প্রকাশিত ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফলাফলে অনেকের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বলা যায়। প্রিলিমিনারিতে মাত্র ১০ হাজার ৬৪৪ জন উত্তীর্ণের বিষয়টি কল্পনাতীত ছিল, যেখানে জেনারেল, শিক্ষা ও কারিগরি মিলিয়ে মোট ক্যাডার পদসংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৪০০। অনেকে বলছেন, এতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারে অনেক পদ পূরণ হবে না। কিন্তু বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) বিষয়টি নিয়ে খুব বিচলিত বলে মনে হচ্ছে না। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, অতীতে এর থেকে কম পদসংখ্যা থাকলেও পদের তুলনায় সাত-আট গুণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ করা পিএসসির এবার এত কম উত্তীর্ণের পেছনে কৌশলগত কারণ কী হতে পারে? সেই বিষয়গুলোতে একটু আলোকপাত করা যাক।
পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রতা কমানো
পদের তুলনায় কম উত্তীর্ণের একটা উল্লেখযোগ্য কারণ—বিসিএস পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রতা কমানো। অনেক বছর ধরেই আলোচনায় ছিল পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া স্বল্পতম সময়ে শেষ করার জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ। বিগত ৪১তম বিসিএসের সার্কুলার থেকে শুরু করে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের কর্মে যোগদানের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে পাঁচ বছরের বেশি সময়। এতে পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র—সবাই বঞ্চিত হয়েছে। ১২ হাজার ৭৮৯ পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশে সোয়া এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে ৪৫তম বিসিএসের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। প্রিলিমিনারিতে কম পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হলে লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন দ্রুততর হওয়া সম্ভব। সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমবে, তাই মৌখিক সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও ফলাফল তৈরিও দ্রুততম সময়ে হবে।
নন-ক্যাডার আন্দোলনের প্রভাব
গত বেশ কয়েকটি বিসিএস ফলাফলের পর নন-ক্যাডারে নিয়োগ নিয়ে ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত না হওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। অনেক চাপ সৃষ্টিকারী গ্রুপ দাবি করছে যাতে প্রিলিমিনারি, লিখিত, ভাইভা পাস করলে পরীক্ষার্থীদের কোনো না কোনো পদে যাতে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা এত বেশি নয় যে সবাইকে সুপারিশ করা সম্ভব। অধিকাংশই তৃতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম পরীক্ষার্থী প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ করা পিএসসির জন্য সুবিধাজনক বলা চলে।
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে নিয়োগ, পদ ১২৭৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫খাতা মূল্যায়নে নৈর্ব্যক্তিকতা বৃদ্ধি করা
খাতা মূল্যায়নে পিএসসি বেশ ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। পরীক্ষকদের পিএসসিতে ডেকে নিয়ে এসে সার্কুলার সিস্টেমে প্রতি পরীক্ষককে দিয়ে একটি মাত্র প্রশ্নের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এতে খাতা দেখার গতি যেমন বাড়বে, তেমনি প্রত্যেক শিক্ষক একটি মাত্র প্রশ্নের উত্তর মূল্যায়ন করলে তাতে পরীক্ষকদের একই খাতা মূল্যায়নে নম্বরের বিচ্যুতি দূর হবে। এই সিস্টেমে খাতার সংখ্যা যত কম হবে, মূল্যায়ন ততই ভালো হবে বলা যায়।
পদ খালি থাকার চ্যালেঞ্জের সমাধান
পিএসসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, এক বছরের ভেতরে ফলাফল প্রকাশ করতে পারলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ইত্যাদি ক্যাডারে পদ খালি থাকলেও তাতে বড় সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এর চেয়ে বড় সমস্যা সৃষ্টি হয় চূড়ান্ত যোগদানে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে। এতে দীর্ঘদিন মন্ত্রণালয়, মাঠপর্যায়ে জনবলসংকট বিরাজ করে। বরং এক বছরের রোডম্যাপ বাস্তবায়িত হলে এক বিসিএসে কোনো ক্যাডার পদে নিয়োগ আশানুরূপ না হলেও সে সংকট কাটাতে সর্বোচ্চ পরবর্তী ২ বিসিএস, অর্থাৎ দুই বছর সময় প্রয়োজন হবে। সর্বোপরি দীর্ঘ মেয়াদে এটি লাভজনকই বটে।
পিএসসি ইতিমধ্যেই তার রোডম্যাপ বাস্তবায়নে ইতিবাচক সূচনা করেছে। সর্বশেষ ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফলাফল ৯ দিনের মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষাও দুই মাস পরই শুরু করবে বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরাও এই ইতিবাচক পরিবর্তন ও নতুনত্বকে স্বাগত জানাই।
লেখক: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিএস পরীক্ষার্থী