গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ বর্ধনকুটি রাজবাড়ীর সরোবর এলাকায় সদ্য খনন করা পুকুরে গোসল করতে নেমে গর্তে তলিয়ে গিয়ে শাওন শেখ (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

রবিবার (১১ মে) বিকেলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত শাওন শেখ গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার সোনারপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী সাদেকুল ইসলাম শেখের ছেলে। শাওন বর্ধনকুটি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, নিহত শাওন তার আপন ছোট ভাই ও চাচাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সদ্য খননকৃত এ পুকুরে গোসল করতে নেমেছিল। খননকালে পুকুরটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। গোসল করার এক পর্যায়ে হঠাৎ করে শাওন সেই গর্তে পড়ে তলিয়ে যায়। এসময় সঙ্গে থাকা দুই ভাই উদ্ধারের চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে বিষয়টি আশপাশের লোকজন ও পরিবারকে জানায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্বজন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্তির সময়কালে বর্ধনকুঠির সর্বশেষ রাজা শৈলেশ চন্দ্র ভারতে চলে যান। বর্তমানে ইতিহাসের স্বাক্ষী প্রাচীন আমলের রাজবাড়ী, সরোবর, পুকুর ও জায়গা-জমির অধিকাংশ প্রভাবশালীদের দখলে।

এরমধ্যে বর্ধনকুটি এলাকার প্রভাবশালী চার ভাই সরোবরের বিশাল এলাকার জমি দখলে নেয়। কয়েক মাস ধরে তারা পুকুর খননের নামে দখল করা জমির মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করছেন। এতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে তাতে পানি জমে। সেই গর্তের পানিতে গোসল করতে নেমে মৃত্যু হয় শাওনের। 

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, “পুকুরের পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে জেনেছি। তবে এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/লুমেন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ব ন দগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে হিলিতে আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারা প্রাণদণ্ড ঘোষণার পর দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পর তাদের আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।

আনন্দ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। মিছিল শেষে বিএনপির নেতাকর্মীরা পথচারী, হোটেল শ্রমিক, রিকশাচালকসহ সাধারণ মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন।

উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে এটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আনন্দ প্রকাশ করেছি। ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

ঢাকা/মোসলেম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ