ধর্ষণ, নিপীড়ন, অসমতা, অন্যায্যতা, পিতৃতন্ত্র, শ্রমের অবমূল্যায়ন, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত কণ্ঠে আওয়াজ তুলেছেন নারী–পুরুষ সবাই। ‘নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ ব্যানারে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে স্লোগানে, গানে, পদযাত্রায় এ আওয়াজ ওঠে। ঘোষণাপত্রে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বৈষম্য চালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টাকে মেনে না নেওয়ার স্পষ্ট অবস্থানের কথা জানানো হয়।
লড়াই অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ‘আমরা সরকার ও প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নারীবিষয়ক অবস্থানকে নজরদারিতে রাখব। যে ক্ষমতাকাঠামো জুলুমবাজি জিইয়ে রাখে, সেই কাঠামো ভাঙব। আমরা চুপ করব না, হুমকির মুখে নত হব না। অধিকার আদায়ের দাবিতে অটল থাকব। ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন ও তা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে হাল ছাড়ব না।’
‘নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ কর্মসূচিতে সমবেত কণ্ঠে প্রতিবাদী গান। গতকাল মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বকেয়া বেতন-বোনাসের দাবি, টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত হোসেন মার্কেট এলাকার বিএসআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, কারখানাটির প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক গত এপ্রিল ও চলতি মে মাসের মাসের বকেয়া বেতন, শ্রমের অতিরিক্ত মজুরি (ওভারটাইম) ও ঈদ-উল-আযহার বোনাসের টাকা পরিশোধের তারিখ নির্ধারণের দাবি জানায় কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। শনিবার সকালে কারখানাটির বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি দাবি জানিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করে।
শ্রমিক জাহানারা বেগম জানান, গত এপ্রিল ও মে মাসের মাসের বকেয়া বেতন, ও ঈদ বোনাসের টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়ে ছিলাম আমরা। কবে পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে সে বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। আমরা পালাক্রমে কারখানাটি পাহারা দিচ্ছি। মালিক কারখানার মালামাল ও মেশিনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
গাজীপুরে শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) ইসমাইল হোসেন বলেন, কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান করছে। কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা চলছে।