রাষ্ট্র সংস্কারে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে জাতীয় সংস্কার জোট। শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জোটের ঘোষণা করেন জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত মেজর আমিন আহমেদ আফসারী। 

দুটি জোট ও আটটি রাজনৈতিক দল নিয়ে এ জোটের যাত্রা শুরু হয়। এগুলো হলো, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, নতুন ধারা জনতার পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, গণমুক্তি জোট, বাংলাদেশ পল্লী পার্টি, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। 

জোটের আহ্বায়ক ১০ দফা ঘোষণার মধ্য দিয়ে তাদের আগামী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংস্কার প্রস্তাবগুলো হলো, 
১.

সংস্কার শুরু করতে হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের মধ্য দিয়ে। স্পিরিট অযোগ্য বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উদ্যোমী সংগ্রামী এবং জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের চেতনা ধারণকারী ব্যক্তিদের নিয়ে সরকার পুনর্গঠন করতে হবে।
২. কালক্ষেপণ না করে আগামী ৫ আগস্ট বিজয়ের বর্ষপূর্তির পূর্বেই সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. এই অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ নয়, তারা জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সরকার এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার সরকার বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।
৪. অনতিবিলম্বে সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে।
৫. আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করতে হবে।
৬. জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহত সংগ্রামী বীরদের চিকিৎসা, নিরপত্তাসহ সকল বিষয়ে পূর্ণ দৃশ্যত সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
৭. শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে, শিক্ষা কমিশন গঠন করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
৮. সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার ও আধুনিকায়নে উদ্যোগ নিতে হবে।
৯. সকল অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলসহ (অনিবন্ধিত) বৈষম্যবিহীনভাবে আলোচনা করে সকল সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
১০. নির্বাচনের তিন মাস আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে জাতীয় নির্বাচন বির্তকিত হতে পারে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান, পরে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ

জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ না পাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে তাঁরা যমুনার বিপরীত পাশে রমনা পার্কের অরুণোদয় গেটের সামনে অবস্থান নেন। বিকেলে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আন্দোলনকারীরা ঘোষণাপত্রের দাবিতে রমনা পার্কের পাশে অবস্থান নেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আর কোনো টালবাহানা চলবে না বলে উল্লেখ করেন আন্দোলনকারীরা। বলেন, তাঁরা শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করেছিলেন, তখন বলা হয়েছিল ঘোষণা দেওয়া হবে। সর্বশেষ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটিও বাস্তবায়ন হয়নি।

এ বিষয়ে রাত আটটার দিকে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার কাছে কিছু ব্যক্তি বেআইনি সমাবেশের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের সরিয়ে দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উল্লেখ্য, জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে, যা এখনো বলবৎ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি আসামিদের
  • নতুন ঘটনা নেই, নজরদারিতে শিথিলতা 
  • নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ
  • জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান, পরে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
  • ‘এটা জাস্ট একটা ভুল’, উপদেষ্টা আসিফের ম্যাগাজিন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলাম’
  • আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • সোহাগ পাটোয়ারী নামে আরও ১ জনকে গ্রেপ্তার করল দুদক
  • সোহাগ পাটোয়ারী নামে আরও ১ প্রতারককে গ্রেপ্তার করল দুদক
  • দেশের নারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে: মহিলা পরিষদের বিবৃতি