রাষ্ট্র সংস্কারে ১০ দাবি ঘোষণা জাতীয় সংস্কার জোটের
Published: 17th, May 2025 GMT
রাষ্ট্র সংস্কারে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে জাতীয় সংস্কার জোট। শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জোটের ঘোষণা করেন জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত মেজর আমিন আহমেদ আফসারী।
দুটি জোট ও আটটি রাজনৈতিক দল নিয়ে এ জোটের যাত্রা শুরু হয়। এগুলো হলো, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, নতুন ধারা জনতার পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, গণমুক্তি জোট, বাংলাদেশ পল্লী পার্টি, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি।
জোটের আহ্বায়ক ১০ দফা ঘোষণার মধ্য দিয়ে তাদের আগামী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংস্কার প্রস্তাবগুলো হলো,
১.
২. কালক্ষেপণ না করে আগামী ৫ আগস্ট বিজয়ের বর্ষপূর্তির পূর্বেই সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. এই অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ নয়, তারা জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সরকার এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার সরকার বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।
৪. অনতিবিলম্বে সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে।
৫. আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করতে হবে।
৬. জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহত সংগ্রামী বীরদের চিকিৎসা, নিরপত্তাসহ সকল বিষয়ে পূর্ণ দৃশ্যত সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
৭. শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে, শিক্ষা কমিশন গঠন করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
৮. সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার ও আধুনিকায়নে উদ্যোগ নিতে হবে।
৯. সকল অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলসহ (অনিবন্ধিত) বৈষম্যবিহীনভাবে আলোচনা করে সকল সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
১০. নির্বাচনের তিন মাস আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে জাতীয় নির্বাচন বির্তকিত হতে পারে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শাটডাউনের বিপক্ষে জনজীবন
আওয়ামী লীগের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায় জনজীবনে তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি হয়নি।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, চানখারপুল, সচিবালয়, জিপিওসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে- যান চলাচল স্বাভাবিক, মানুষের চলাচল স্বাভাবিক এবং বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডও অন্যান্য দিনের মতোই চলছে।
আরো পড়ুন:
ঢাবি শিক্ষক এরশাদের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি ছাত্র ফ্রন্টের
ঢাবিতে কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা-বিষয়ক জাতীয় প্রতিযোগিতা
সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে রিকশা ও অটোরিকশার আধিক্য যেমন লক্ষ্য করা গেছে, বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীও দেখা গেছে। কোথাও যান সংকট হয়নি, বরং কিছু বাসে বাড়তি যাত্রীর চাপ ছিল।
গুলিস্তানে এক বেসরকারি অফিসকর্মী রিফাত হোসেন বলেন, “শাটডাউন বলে আজকে কিছুই বুঝলাম না। প্রতিদিন যেমন বের হই, আজও ঠিক তেমনই বের হয়েছি। রাস্তায় কোনো সমস্যা দেখিনি।”
চানখারপুলে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ মাহমুদা আক্তার বলেন, “শাটডাউনের নামে মানুষকে ভয় দেখানো ঠিক না। বাস কম হলেও চলাচল পুরোপুরি থেমে যায়নি। আমরা স্বাভাবিকভাবেই অফিসে যাচ্ছি।”
ঠিকানা পরিবহন শ্রমিক শহীদুল ইসলাম বলেন, “শাটডাউন ডেকেছে শুনেছি, কিন্তু রাস্তায় কোনো প্রভাব নেই। পুলিশের বাড়তি অবস্থানও দেখি নাই। গাড়ি চলছে, যাত্রীও আছে।”
সচিবালয়ের কাছে একজন সরকারি চাকরিজীবী হাসিবুল করিম বলেন, “শাটডাউনের মতো কর্মসূচি কখনোই জনস্বার্থের পক্ষে নয়। এতে ব্যবসার ক্ষতি হয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয়। আজকে যানচলাচল প্রতিদিনের মতোই।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক
নিষিদ্ধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সতর্ক উপস্থিতি বিশেষভাবে দেখা যায়নি। নিয়মিত দায়িত্বপালন ছাড়া আলাদা কোনো প্রস্তুতি চোখে পড়েনি।
শাটডাউনের বিপক্ষে জনমতই শক্তিশালী
সরেজমিন চিত্র, সাধারণ মানুষের বক্তব্য এবং বিভিন্ন পরিবহন সংশ্লিষ্টদের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট- রাজধানীবাসী শাটডাউনের পক্ষে নয়। বরং জনজীবন স্বাভাবিক রাখার পক্ষেই তাদের মত।
রাজধানীর ৩৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসিম উদ্দীন বলেন, ব্যস্ত সকাল, মানুষের স্বাভাবিক আনাগোনা এবং চলমান পরিবহন কার্যক্রম প্রমাণ করেছে- শাটডাউন ঢাকার জনজীবনে চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বরং জনগণ নিষেধাজ্ঞামূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত অবস্থানই দেখিয়েছে।
ঢাকা/আসাদ/ফিরোজ