পুলিশের ওপর হামলা: খালাস পেলেন সাবেক এমপিসহ বিএনপির ২৮ নেতাকর্মী
Published: 19th, May 2025 GMT
পুলিশের ওপর হামলা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ দলটির ২৮ নেতাকর্মী।
সোমবার (১৯ মে) খুলনা মহানগর হাকিমের বিচারিক আদালত-১ এর বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম মামলার রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা।
খালাস পাওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, মহানগর বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মুরাদ, শেখ জামিরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান সোহাগ, নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জ জেলা আ.
নড়াইলে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
আইনজীবী গোলাম মাওলা বলেন, ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর খুলনায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি চলাকালে সদর থানার ওসি হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। ওই দিন নজরুল ইসলাম মঞ্জু, তারিকুল ইসলামসহ সিনিয়র নেতাদের ওপরও লাঠিচার্জ করা হয়। এ ঘটনায় উল্টো বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধেই মামলা করে পুলিশ। পুলিশ যথাযথ স্বাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত আসামি পক্ষের সবাইকে খালাস দিয়েছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয় বিএনপি নেতারা পুলিশের ওপর হামলা করেছিলেন।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ল ইসল ম ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও ১৪ দলীয় জোটের শরীক বাকি দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনসহ সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ওই দলগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে বলা হয়।
লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী পরিচয় দেওয়া হোসাইন মো. আনোয়ারের পক্ষে রোববার আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগান এ নোটিশ পাঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।
আইনজীবী সালাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, নোটিশের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে।
অন্যদিকে নোটিশদাতা হোসাইন মো. আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ দমন-নিপীড়ন একা একা চালায়নি। ১৪ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তেই তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও বাকিদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই সেই সব দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ চেয়ে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা হলো- জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, গণ আজাদী লীগ, বাসদ (রেজাউর), সাম্যবাদী দল (দিলীপ বড়ুয়া), ন্যাপ (মোজাফফর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাসদ (ইনু), শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র।