অনেক প্রস্তাব পেয়েছি, তবু রাজি হইনি: হানিফ সংকেত
Published: 21st, May 2025 GMT
দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র উপস্থাপক হানিফ সংকেত বরাবরই নীতিনিষ্ঠ ও নির্লোভ অবস্থানে থেকেছেন। কখনো বিজ্ঞাপনে অংশ নেননি, কোনো পণ্যের সঙ্গে নিজের নাম বা কণ্ঠ জড়াননি। অথচ এবার সেই কণ্ঠই ব্যবহার করা হলো একটি ভুয়া বিজ্ঞাপনচিত্রে। তা-ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব।
মঙ্গলবার (২০ মে) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি লেখেন, “প্রযুক্তির এই যুগে সুবিধার পাশাপাশি অপব্যবহারও বেড়েছে। এখন এমন এক সময়, যেখানে প্রযুক্তি দিয়ে প্রতারণাও সম্ভব। আমি লক্ষ্য করেছি, একটি প্রতারক চক্র ইত্যাদি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার ভঙ্গি ও আমার কণ্ঠ অনুকরণ করে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি ডায়াবেটিস বিষয়ক ভুয়া বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। কণ্ঠ শুনলেই বোঝা যায়, এটা আসল নয়— বিদেশি উচ্চারণে নকল কণ্ঠ।”
আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে হানিফ সংকেত লেখেন, “আমি কখনো কোনো বিজ্ঞাপনে অংশ নিইনি। অনেকবার প্রস্তাব পেয়েছি, তবুও রাজি হইনি। তাই কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন। এই প্রতারণার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এই প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
আরো পড়ুন:
ঢাকার রাস্তাঘাটই এখন আমার র্যাম্প, বললেন ক্ষুব্ধ পিয়া
শিল্পীদের নিরাপত্তা, মর্যাদার দাবিতে অভিনয়শিল্পী সংঘের বিবৃতি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়ে হানিফ সংকেত লেখেন, “শিল্প-সংস্কৃতিকে রক্ষায় এখনই এআই-এর অপব্যবহার ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি। ব্রিটেনের অনেক শিল্পী, সাহিত্যিক কপিরাইট আইন হালনাগাদের দাবি তুলেছেন। ডুয়া লিপা, এলটন জন, ডেভিড হেয়ার, কাজুও ইশিগুরোর মতো ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আমিও একমত।”
সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর দৃষ্টিআকর্ষণ করে হানিফ সংকেত লেখেন, “এআই প্রযুক্তি যেন মানুষের অধিকার হরণ না করে, সেটা নিশ্চিত করতে সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর এখনই নীতিমালা করা উচিত।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির পাল্টা শক্তি হতে তৎপর ইসলামি দলগুলো
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির বিপরীতে ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যে একটা ‘সমঝোতায়’ যাওয়ার তৎপরতা চলছে। সব আসনে একক প্রার্থী দেওয়া এবং ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপির বিকল্প শক্তি হিসেবে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের পাশাপাশি আরও কিছু দল সক্রিয় রয়েছে।
তবে এই ‘সমঝোতা’ উদ্যোগকে এখনই জোট বলতে চাইছে না সংশ্লিষ্ট দলগুলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এখনই জোট গঠনের কোনো ঘোষণা দেওয়া হবে না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে এটা একটা রূপ পেতে পারে।
এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কতটা যুক্ত হবে, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। দলটির সঙ্গে সংস্কার–সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে একধরনের মতৈক্য আছে ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতের সঙ্গে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনসিপিও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা নিয়ে এগোচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া আছে। নতুন করে ফ্যাসিস্ট না আসুক, সেটি তারাও চায়। তাদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ আছে। হয়তো সামনেও যোগাযোগ হতে পারে।’
রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না, এটা ধরে নিয়েই ইসলামপন্থী ও মধ্যপন্থী দলগুলো বিএনপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চাচ্ছে।
সংবিধানসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার প্রশ্নেও এসব দলের অধিকাংশের অবস্থান কাছাকাছি। জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসের দুই অংশসহ অনেকগুলো দল সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে। এর মধ্যে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ কিছু কিছু দল উচ্চকক্ষের মতো নিম্নকক্ষেও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা কমাতে প্রস্তাবিত সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি গঠনের প্রস্তাবে এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি বদলাতেও তারা একমত। জামায়াত ও এনসিপি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়।
পল্টনে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ