নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দিতে ঘেরাও কর্মসূচি: নজরুল ইসলাম খান
Published: 21st, May 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা বিস্মিত হই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল রায় দেওয়ার পরেও আমাদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যিনি মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছেন, প্রশাসনিক ক্ষমতায় তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। যে নির্বাচন কমিশনকে এই অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিয়োগ দিয়েছে, সেই কমিশন স্বাধীনভাবে মতামত ব্যক্ত করলেও তাদের (নির্বাচন কমিশন) হুমকি দেওয়ার জন্য ঘেরাও করার কর্মসূচি হচ্ছে। বিষয়গুলো ভালো দৃষ্টান্ত নয়।’
আজ বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন নজরুল ইসলাম খান।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা–কর্মীরা। আজ বেলা সোয়া একটার দিকে এনসিপির নেতারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কমিশন কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেন। ময়মনসিংহে দলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গত সাড়ে ৯ মাস তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) দায়িত্ব পালন করে চলেছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বর্তমান সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে এখনো প্রশ্ন তুলিনি। কিন্তু বেশ কিছু বিষয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারে থেকে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ আমাদের ভালো লাগে না। কারণ, আমরা সরকারটাকে পছন্দ করি।’
বিভাগীয় বিএনপি আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রাশেদুজ্জামান। বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী ও আবু ওয়াহাব আকন্দের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম শফিকুল ইসলাম, জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ কালাম প্রমুখ।
বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লজ্জাজনক পলায়ন করতে হয়েছে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারকে। যে কারণে আমরা প্রথম বলেছিলাম, গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়নি। আর সেটা হতে পারে শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। কারণ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা বা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতার হাতবদল হয় না। এসব প্রতিষ্ঠানের আইন প্রণয়ন বা বদলের ক্ষমতা নেই। এগুলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যম হতে পারে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যম হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যে জাতীয় সংসদ আইন বানাতে পারে, সংবিধান বদলাতে পারে। আমরা বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আমরা সংস্কারও চাই। আমাদের চেয়ে বেশি সংস্কার আর কোনো দল চায় না। বিএনপি যখন সংস্কারের প্রস্তাব করে, তখন বহু রাজনৈতিক দল সংস্কারের দন্ত্য–স উচ্চারণ করেনি, আবার অনেকের জন্মও হয়নি।’
আরও পড়ুনইসি আর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নেই, বিএনপির দলীয় কার্যালয় হয়েছে: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী৩০ মিনিট আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম খ ন ব ব এনপ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
এমন তো হবার কথা ছিল না: তারেক রহমান
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়, সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শেষ পর্যন্ত কোনো অগণতান্ত্রিক কিংবা অপশক্তির কাছে বিনা শর্তে আত্মসমর্পণের পথে হাটতে হয় কি-না, এমন শঙ্কাও জানিয়েছেন তারেক রহমান। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে মাঠে থাকা সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে এমন বিপদের কথাও স্মরণ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসন আমলে জনগণের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনোই আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা বাড়ছে, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে?... এমন তো হবার কথা ছিল না।’
বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।’
দেশে প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্য নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তবে তাঁর বিশ্বাস, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী নাগরিকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পরাজত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ‘ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, তবে বিএনপির প্রতি দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের আস্থা, ভালোবাসা থাকায় সে সংকট কাটিয়েছে তাঁর দল।
তারেক রহমান বলেন, ‘দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে একদিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যতটুকু সম্ভব, যতটুকু যথাসাধ্য সম্ভব আমাদের অবস্থান থেকে আমরা সহযোগিতা করে আসছি।’
প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে