সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেম ব্যবহার করতে হয়। প্রতিটি অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড আলাদা হওয়ায় পাসওয়ার্ড মনে রাখা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। তবে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই এক বা একাধিক পাসওয়ার্ড অনলাইনে রাখা যায়। ফলে কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপে প্রবেশের জন্য বারবার পাসওয়ার্ড লিখতে হয় না। আর তাই অনেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের এ আগ্রহ কাজে লাগিয়ে কিপপাস পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের ভুয়া সংস্করণ তৈরি করে আট মাস ধরে সাইবার হামলা চালাচ্ছে একদল সাইবার অপরাধী।

সম্প্রতি কিপপাস পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের ভুয়া সংস্করণের মাধ্যমে তথ্য চুরি এবং ভার্চ্যুয়াল সার্ভারে র‍্যানসমওয়্যার হামলার ঘটনা ধরা পড়েছে। সংঘবদ্ধ এক সাইবার অপরাধী চক্র এ হামলার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও দলটি বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান উইথসিকিউর। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, কিপপাস একটি উন্মুক্ত কোডযুক্ত পাসওয়ার্ড ম্যানেজার। পাসওয়ার্ড ম্যানেজারটির মূল কোডে পরিবর্তন এনে কিপলোডার নামের নতুন একটি সংস্করণ অনলাইনে প্রকাশ করেছে সাইবার অপরাধীরা। ট্রোজান ভাইরাস যুক্ত থাকায় সংস্করণটি ডাউনলোড করলেই ব্যবহারকারীদের সব পাসওয়ার্ড দূর থেকে সংগ্রহ করা যায়।

এ ধরনের সাইবার হামলা থেকে নিরাপদ থাকতে পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের মতো সংবেদনশীল সফটওয়্যার কখনোই অনির্ভরযোগ্য লিংক বা বিজ্ঞাপন দেখে ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। যেকোনো সফটওয়্যার, বিশেষ করে নিরাপত্তা–সম্পর্কিত অ্যাপ্লিকেশন সরাসরি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প সওয় র ড ম য ন জ র ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

লাইটবার খুলে পড়ার আশঙ্কায় টেসলার সাইবারট্রাকের ১০ শতাংশ গাড়ি প্রত্যাহার

আবারও বাজার থেকে সাইবারট্রাক ফিরিয়ে নিচ্ছে টেসলা। এবার এর কারণ সফটওয়্যার নয়, সরাসরি যান্ত্রিক ত্রুটি। যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ১৯৭টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহারের বা রিকলের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনএইচটিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, এসব গাড়ির সামনের লাইটবার খুলে পড়ে সড়কে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ মডেলের কিছু সাইবারট্রাকে লাইটবার বসানোর সময় ভুল ধরনের ‘সারফেস প্রাইমার’ ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে আঠালো সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সহজভাবে বললে, টেসলা কিছু গাড়িতে লাইটবার লাগাতে ভুল আঠা ব্যবহার করেছিল। যেসব গাড়িতে এই ত্রুটি রয়েছে, সেগুলোর লাইটবার পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রয়োজনে নতুনভাবে লাইটবার বসানো হবে। সবই গ্রাহকদের জন্য বিনা খরচে। প্রায় ৬ হাজার ২০০টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার মানে টেসলার বিক্রি হওয়া মোট গাড়ির প্রায় ১০ শতাংশই সমস্যাগ্রস্ত।

এর এক সপ্তাহ আগেই আরও একটি বড় ত্রুটির কারণে ৬৩ হাজার ৬১৯টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তখন দেখা যায়, গাড়ির সামনের পার্কিং লাইট অতিরিক্ত উজ্জ্বল হয়ে ওঠায় তা সামনের দিক থেকে আসা গাড়ির চালকদের দৃষ্টিকে ব্যাহত করতে পারে। তবে সেই সমস্যা সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। টেসলার সাইবারট্রাক নিয়ে একের পর এক প্রত্যাহার এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর অনেক সমস্যাই হার্ডওয়্যার–সংক্রান্ত, যেগুলো দূর থেকে সফটওয়্যার আপডেট দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়।

সূত্র: ম্যাশেবল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিটা প্রকল্প যথাযথ পরিমার্জনের আহ্বান
  • লাইটবার খুলে পড়ার আশঙ্কায় টেসলার সাইবারট্রাকের ১০ শতাংশ গাড়ি প্রত্যাহার