ঢাকাগামী দেড়’শতাধিক যাত্রী ফেরত পেলেন ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা
Published: 14th, June 2025 GMT
ঢাকা থেকে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে এসে আবার ফিরে যাওয়ার সময় যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে- এমন অভিযোগ পেয়ে জয়পুরহাটে বাস কাউন্টারগুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড়’শতাধিক যাত্রীকে অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা ফেরত দিয়েছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। বিভিন্ন কাউন্টারে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত নেওয়া প্রায় ৭০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন তৌফিক-ই-এলাহী।
জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারগুলোতে ঈদ পরবর্তী নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জয়পুরহাট শহরের বিভিন্ন বাস কাউন্টারগুলোসহ জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় যাত্রীদের টিকিট যাচাই-বাছাই ও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পায় সেনাবাহিনী। তাৎক্ষণিক কাউন্টারগুলোতে গিয়ে পরিবহন কোম্পানিকে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়। এর মধ্যে শ্যামলী পরিবহনের ৬ হাজার ৫০০ টাকা, তিশা এন্টারপ্রাইজের ৮ হাজার ৫০০ টাকা, অরিন ট্রাভেলসের ১১ হাজার টাকা, পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ৬ হাজার টাকা, মুরাদ এন্টারপ্রাইজের ২৭ হাজার টাকা, তানজিল এক্সপ্রেসে ২ হাজার টাকা এবং এসএ প্লাস নামক বাসের ৯ হাজার টাকা যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হয়।
ক্যাপ্টেন তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, ‘সাধারণ যাত্রীদের স্বার্থে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।' তিনি জানান, গত তিনদিনে জেলায় প্রায় ৫০০ যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত নেওয়া ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক উন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
ঈদে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে এসে ফুফাত ভাইয়ের ধর্ষণের পর প্রাণ হারাতে হয়েছে ১০ বছরের শিশুকে। তার মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রচার করে ওই ফুফাত ভাই। কিন্তু পুলিশের নিবিড় তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে এসেছে।
ফুফাত ভাই নাজমুস সাকিব ওরফে নয়নকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নয়ন পাশের উপজেলা মনিরামপুরে কাওমী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের ইলিয়াস রহমানের ছেলে।
আর নিহত শিশুর নাম সোহানা আক্তার (১০)। সে ঝিকরগাছা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে এবং বায়সা-চাঁদপুর মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রবিবার (৮ জুন) পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচিকে হত্যার অভিযোগ
মাঠে পড়ে ছিল স্ত্রীর মরদেহ, গাছে ঝুলছিল স্বামীর লাশ
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, ৭ জুন ঈদের দিন সোহানা হাড়িয়া গ্ৰামে ছোট ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তার সাত বছরের ভাই বোনের পিছু পিছু ফুফু বাড়িতে যায়। এদিন দুপুরে নয়ন মামাত ভাইকে মামা বাড়ি দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। এসে দেখে নয়নের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া বোন তন্বী ঘুমিয়ে আছে। আর সোহানা উঠানে দোলনায় খেলছে।
জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন পুলিশকে জানায়, এ সময় পরিবারের আর কোনো সদস্য বাড়িতে ছিল না। এ সুযোগে তিনি সোহানাকে জাপটে ধরে তার রুমে নিয়ে যায়। সেখানে সোহানার গলা ও মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সোহানা শ্বাসরোধে মারা যায়। এরপর নয়ন মৃতদেহটি বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে আসে।
পুলিশ আরো জানায়, নিজের অপরাধ ঢাকতে নয়ন এরপর তার বোন তন্বীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে মিথ্যা গল্প সাজাতে থাকে। সোহানাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। পরে তারা দুজন মিলে সোহানার বাড়িতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর জানায়।
বিকেলে খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে বাড়ির পাশের পুকুরে তার মরদেহ ভাসতে দেখা যায়।
সোহানার বাবা আব্দুল জলিল ঝিকরগাছা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, তার মেয়ের ঠোঁটে জখমের চিহ্ন এবং মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখেছেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে। মঙ্গলবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় পুলিশ নয়নকে তাদের বাড়ি থেকে আটক এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে। নয়নকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার রওনক জাহান জানান, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
ঢাকা/রিটন/বকুল