ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের কাছে ধরাশায়ী চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
Published: 20th, June 2025 GMT
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি) যখন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে একের পর এক দলকে চূর্ণ করার মিশনে নেমেছে। তখনই তাদের যাত্রায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াল এক দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব ‘বোতাফোগো’। ক্যালিফোর্নিয়ার ঐতিহাসিক রোজ বোল স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২০ জুন) সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফরাসি জায়ান্টদের ১-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে চমক সৃষ্টি করেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি।
এদিন বলের দখল ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল পুরোপুরি পিএসজির। রামোস, উসমান দেম্বেলে, কিংবা দুয়েরার মতো তারকা খেলোয়াড়েরা গোলের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করলেও প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছেন বোতাফোগোর রক্ষণদেয়ালে। পরিসংখ্যান বলছে, পিএসজি ম্যাচে বল দখলে ছিল ৭৫ শতাংশ সময়, নিয়েছে ১৬টি শট। তবে গোলপোস্টে বল জড়াতে পারেনি একবারও।
অন্যদিকে, পুরো ম্যাচে হাতেগোনা কয়েকটি সুযোগ পেলেও বোতাফোগো ঠিকঠাক কাজে লাগিয়েছে একটি। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে স্যাভারিনোর নিখুঁত পাসে বক্সে ঢুকে গোল করেন স্ট্রাইকার ইগোর জেসুস। এই একমাত্র গোলই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়। এরপর ম্যাচের বাকি সময় ধরে পিএসজি আক্রমণ চালালেও বোতাফোগোর গোলকিপার ও ডিফেন্ডাররা ছিলেন অনড়।
আরো পড়ুন:
মেসি যাদুতে মায়ামির দারুণ জয়
ক্লাব বিশ্বকাপে জুভেন্টাসের বড় জয়
অন্য ম্যাচে, একই গ্রুপ ‘বি’-তে আটলেটিকো মাদ্রিদ ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সিয়াটেল সাউন্ডার্সকে। এদিন স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে জোড়া গোল করেছেন তরুণ মিডফিল্ডার পাবলো ব্যারিওস। একটি গোল যোগ করেছেন অভিজ্ঞ তারকা অ্যাক্সেল উইটসেল।
গ্রুপ ‘বি’-এর পয়েন্ট টেবিল এখন বেশ জমজমাট। দুই ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বোতাফোগো। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পিএসজি আছে দুই নম্বরে, এবং সমান এক জয় থাকা আটলেটিকো আছে তিন নম্বরে। এখনও কোনো পয়েন্ট না পাওয়া সিয়াটেল অবস্থান করছে সবার নিচে।
টেবিলের এই পরিস্থিতিতে গ্রুপের শেষ রাউন্ড হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী ম্যাচে পিএসজি মুখোমুখি হবে সিয়াটেলের। অন্যদিকে বোতাফোগোর সামনে চ্যালেঞ্জ আটলেটিকোর। এই ম্যাচ দুটিই নির্ধারণ করবে কারা যাবে শেষ ষোলোয়, আর কে বিদায় নেবে গ্রুপপর্বেই।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠায় আইন মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট
সারা দেশে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
প্রস্তাবে জেলা জজদের মধ্য থেকে বাণিজ্যিক আদালতের বিচারক নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক হাইকোর্ট বিভাগে বাণিজ্যিক আপিল বেঞ্চ গঠনের বিষয়টিও প্রস্তাবে উঠে এসেছে। প্রস্তাবে মামলা দায়েরের আগে মধ্যস্থতাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে মামলা দায়েরের আগেই অনেক বিরোধ আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হবে এবং আদালতের ওপর মামলার ক্রমবর্ধমান চাপ অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো বাণিজ্যিক মামলা বা আবেদনের মূল্যমান ৫০ লাখ টাকা হলে তা বাণিজ্যিক আদালতে বিচার্য হবে প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার সময়ে সময়ে এই নির্ধারিত মূল্যমান সীমা পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ব্যবসায়ী, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বণিকদের সাধারণ লেনদেন থেকে শুরু করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম, বিমান ও নৌপরিবহন, নির্মাণ ও অবকাঠামোগত প্রকল্প, ফ্র্যাঞ্চাইজ চুক্তি, বিতরণ ও লাইসেন্সিং, প্রযুক্তি উন্নয়ন, ট্রেডমার্ক, কপিরাইট, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ডোমেইন নাম, ভৌগোলিক নির্দেশক, বিমা এবং অংশীদারত্ব চুক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পরিষেবা খাত এবং শেয়ারহোল্ডার বা যৌথ উদ্যোগ–সম্পর্কিত বিরোধকে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালতের এখতিয়ারভুক্ত করার কথা প্রস্তাবে বলা হয়েছে। এর ফলে আধুনিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ–সম্পর্কিত প্রায় সব ধরনের বিরোধ একটি বিশেষায়িত আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা যায়।
বিচারপ্রক্রিয়াকে দ্রুত ও কার্যকর করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ করার বিষয়ে প্রস্তাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চূড়ান্ত শুনানি অবশ্যই ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব এড়াতে সংক্ষিপ্ত বিচারের সুযোগও প্রস্তাবে রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবে আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আর বলা হয়, বাণিজ্যিক আপিল আদালত ছয় মাসের মধ্যে এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে। প্রস্তাবে বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা ও কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, বিচারক ও আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং ধারাবাহিক পেশাগত উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।