বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে অনেক প্রাণ গেছে। ছাত্র জনতার এ অভ্যুত্থানে আমাদের একটা নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে, গণতান্ত্রিক একটা পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য, ঐক্যবদ্ধভাবে ও গণতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য যে পরিবেশটি সৃষ্টি করা হয়েছে সেজন্য ছাত্র-জনতার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’

শুক্রবার বিকেলে শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে মির্জা রুহুল আমিন স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছরে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দল মত নির্বিশেষে সকল প্রতিষ্ঠানসহ দেশ ও দেশের ক্রিড়াকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশটা আমার, আমাদের। বক্তৃতার মঞ্চে চলে গেছি অনেক আগেই। আমার জগৎটা এখন রাজনীতিতে। আমি খেলার মধ্যে রাজনীতি আনার পক্ষে ছিলাম না। আমি কখনোই ক্রীড়াঙ্গণ ও রাজনীতিকে এক করতে চাই না। খেলাধুলা ও ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিৎ।’

শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়াম নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই স্টেডিয়ামে চমৎকার একটি পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। একসময় আমিও খেলতাম। আমার সুযোগ হয়েছিল ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য হওয়ার। দেশ ও দেশের বাইরের বড় বড় খেলোয়াড়রা এ মাঠে খেলা করেছেন। স্টেডিয়ামে জোনাল ও জাতীয় দলের খেলার আয়োজন করতে হবে। এতে ক্রিকেটের মান ও খেলার মান বাড়বে।’

অনুষ্ঠিত টি-২০ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে ১৬টি দল। ফাইনালে দিনাজপুর ডোমিনেটরসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চাম্পিয়ন হয় পাবনা ক্রিকেটার্স।

এ সময় টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক নুর-ই শাহাদাত স্বজন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোস্তফা সরদার শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন ও আয়োজক কমিটি, টিম ম্যানেজম্যান্টসহ সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ম র জ ফখর ল ঠ ক রগ ও গণত ন ত র ক ছ ত র জনত র র জন য পর ব শ র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

শক্তি, হজম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে কলা খাওয়ার সঠিক সময়

কখন খেলে বেশি শক্তি পাওয়া যায়

ব্যায়ামের আগে

ব্যায়াম করার ১৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে একটি কলা খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি আসে, পেশি কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়।

নাশতার সঙ্গে

দই, ওটস বা পাউরুটির সঙ্গে কলা খেলে দিনের শুরুটা হয় চাঙা, ক্লান্তি আসতে দেরি হয়।

দুপুর বা বিকেলে

দুপুরের খাবারের পর বা বিকেলের ক্ষুধায় একটি কলা খেলে শক্তি ফিরে পাওয়া যায়, মনও ভালো থাকে।

আরও পড়ুনবয়স্কদের কি শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম করা ভালো নয়? ৬টি মিথের বিপরীতে সত্য জেনে নিন১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫হজমশক্তি ভালো রাখার উপায়

খাবারের সঙ্গে

নাশতা বা দুপুরের খাবারের সঙ্গে কলা খেলে ফাইবার হজমপ্রক্রিয়া সহজ করে তোলে।

অপক্ব কলা

আধাপাকা বা কাঁচা কলায় থাকে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ, যা পেটে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় ও হজমে সাহায্য করে।

রাতে খাওয়া নিয়ে দ্বিধা

অনেকে মনে করেন রাতে কলা খেলে হজম ধীর হয়। তবে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ তেমন নেই। যাঁদের সমস্যা হয়, তাঁরা রাত এড়িয়ে চলতে পারেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে কলার ভূমিকা

খাবারের আগে

ভাত বা রুটি খাওয়ার আধঘণ্টা আগে একটি কলা খেলে দ্রুত পেট ভরে যায়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।

স্ন্যাকস হিসেবে

দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝের সময়ে একটি কলা ক্ষুধা মেটায়, ক্যালরিও বাড়ায় না বেশি।

ব্যায়ামের আগে

ব্যায়ামের আগে কলা খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি মেলে, যা পরে ক্যালরি পোড়াতে কাজে দেয়।

অপক্ব কলা

এতে ফাইবার বেশি, চিনি কম। তাই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতে উপকারী।

আরও পড়ুনকাঁচা দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যকর নাকি ঝুঁকিপূর্ণ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫পুষ্টিগুণ

একটি মাঝারি আকারের কলায় থাকে প্রায় ১০৫ ক্যালরি, পাশাপাশি পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি ও বি৬। পাকা কলায় চিনি কিছুটা বেশি হলেও অপক্ব কলায় ফাইবার ও স্টার্চ বেশি থাকে। নাশতার সঙ্গে, স্মুদিতে কিংবা ওটমিলের সঙ্গে খেলে কলার পুষ্টিগুণ আরও ভালোভাবে কাজে লাগে।

সতর্কতা

ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ বা বিশেষ কোনো স্বাস্থ্যসমস্যা থাকলে নিয়মিত কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়া সীমিত পরিমাণে ও সঠিক সময়ে খেলে কলা উপকার দেবে বেশি।

দিনে একটি কলাই যথেষ্ট। নিজের শরীর ও হজমের ধরন অনুযায়ী সময় বেছে নিলে এই সহজ-সরল ফল হয়ে উঠবে আপনার শক্তি, হজম আর ওজন নিয়ন্ত্রণের সঙ্গী।

সূত্র: ওয়েব এমডি

আরও পড়ুনদিনের কখন কোন ভিটামিন খাবেন, কিসের সঙ্গে খাবেন২৯ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ