বড় পর্দায় আবার এক শক্তিশালী চরিত্রে আসতে চলেছেন অভিনেত্রী কাজল। বিশাল ফুরিয়া পরিচালিত ‘মা’ ছবিতে নিজের সন্তানকে রক্ষা করতে তাঁকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা যাবে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ ছবিকে ঘিরে কিছু কথা বলেছেন কাজল।
আরও পড়ুনসিনেমা রিভিউ: পারলেন না কাজল৩০ অক্টোবর ২০২৪ছবিতে কাজলকে এক কিশোরীর মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে। বাস্তব জীবনে দুই সন্তানের মা কাজল। মাতৃত্ব নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কাজল বলেছেন, ‘আমি মনে করি, মা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মধ্যে এক অদ্ভুত শক্তি চলে আসে, আমরা তখন সারা দুনিয়ার সব ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত হয়ে যাই। আর নিজের সন্তানকে যখন রক্ষা করার প্রশ্ন আসে, তখন নিজেদের মধ্যে এক ক্ষমতা চলে আসে। আপনি তখন যা কিছু করতে প্রস্তুত থাকেন।’
নারীদের সঙ্গে সব সময় ‘সুপারওম্যান’-এর তকমা জুড়ে দেওয়া হয়। এই ‘সুপারওম্যান’ ট্যাগ নারীদের জন্য কোথাও কি বোঝা? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় এই ট্যাগ কোথাও আমরাই আমাদের সঙ্গে জুড়ে দিই। আমি কখনো শুনিনি যে অন্য কেউ আমাদের সুপারওম্যান বলছে। আমরা আমাদেরই সুপারওম্যান মনে করি। সবকিছু নিখুঁত করার চাপ আমরা নিজেরাই নিজেদের ওপর দিয়ে থাকি। আদতে এটা কখনো হয় না। আমরা সুপারওম্যান হলেও নিখুঁত কখনোই নই। রোজ নতুন নতুন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমি কখনো ভালো মা, কখনো ভালো অভিনেত্রী, আবার কখনো ভালো মেয়ে বা ভালো বউ, এভাবে আমার ভূমিকা রোজ বদলাতে থাকে। এভাবেই আমি সুপারওম্যান হয়ে উঠি।’
কাজল। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠায় আইন মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট
সারা দেশে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
প্রস্তাবে জেলা জজদের মধ্য থেকে বাণিজ্যিক আদালতের বিচারক নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক হাইকোর্ট বিভাগে বাণিজ্যিক আপিল বেঞ্চ গঠনের বিষয়টিও প্রস্তাবে উঠে এসেছে। প্রস্তাবে মামলা দায়েরের আগে মধ্যস্থতাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে মামলা দায়েরের আগেই অনেক বিরোধ আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হবে এবং আদালতের ওপর মামলার ক্রমবর্ধমান চাপ অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো বাণিজ্যিক মামলা বা আবেদনের মূল্যমান ৫০ লাখ টাকা হলে তা বাণিজ্যিক আদালতে বিচার্য হবে প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার সময়ে সময়ে এই নির্ধারিত মূল্যমান সীমা পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ব্যবসায়ী, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বণিকদের সাধারণ লেনদেন থেকে শুরু করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম, বিমান ও নৌপরিবহন, নির্মাণ ও অবকাঠামোগত প্রকল্প, ফ্র্যাঞ্চাইজ চুক্তি, বিতরণ ও লাইসেন্সিং, প্রযুক্তি উন্নয়ন, ট্রেডমার্ক, কপিরাইট, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ডোমেইন নাম, ভৌগোলিক নির্দেশক, বিমা এবং অংশীদারত্ব চুক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পরিষেবা খাত এবং শেয়ারহোল্ডার বা যৌথ উদ্যোগ–সম্পর্কিত বিরোধকে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালতের এখতিয়ারভুক্ত করার কথা প্রস্তাবে বলা হয়েছে। এর ফলে আধুনিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ–সম্পর্কিত প্রায় সব ধরনের বিরোধ একটি বিশেষায়িত আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা যায়।
বিচারপ্রক্রিয়াকে দ্রুত ও কার্যকর করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ করার বিষয়ে প্রস্তাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চূড়ান্ত শুনানি অবশ্যই ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব এড়াতে সংক্ষিপ্ত বিচারের সুযোগও প্রস্তাবে রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবে আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আর বলা হয়, বাণিজ্যিক আপিল আদালত ছয় মাসের মধ্যে এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে। প্রস্তাবে বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা ও কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, বিচারক ও আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং ধারাবাহিক পেশাগত উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।