খুলনায় বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতিসহ আটক ৪, অস্ত্র উদ্ধার
Published: 21st, June 2025 GMT
অস্ত্রসহ খুলনা নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন মোল্লা বুলবুল, ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান তৌহিদসহ চারজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। শুক্রবার রাতে টুটপাড়া তালতলা মেইন রোড থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক অন্য দু’জন হলেন, যুবদল নেতা তৌহিদের ছেলে তাসফিকুর রহমান ও আরিফ মোল্লা।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম জানান, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা রাত দেড়টার দিকে নগরীর টুটুপাড়া তালতলা হাসপাতাল মেইন বোডে অভিযান চালায়। ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অভিযান চলে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ চারজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি, একটি রিভলবার, একটি শর্টগান, চার রাউন্ড কার্তুজ, তিনটি রামদা, দু’টি চাইনিজ কুড়াল, তিনটি চাপাতি, ১৭০ গ্রাম গান পাউডার ও ১০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, বুলবুলের বিরুদ্ধে তিনটি এবং তৌহিদুরের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় অস্ত্র এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হচ্ছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের হেনস্তা রাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র: ছাত্রদল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলনে শিক্ষকদের হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তাদের অভিযোগ, শিক্ষকেরা একটি ছাত্রসংগঠনের গুপ্ত নেতা–কর্মীদের দ্বারা এই ন্যক্কারজনক হামলা ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এ হামলার ঘটনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
আজ শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
আরও পড়ুনসহ-উপাচার্যকে আটকে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি৪ ঘণ্টা আগেআজ বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুবেরী ভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিপ্রক্রিয়ায় পোষ্য কোটা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাব্যবস্থায় ন্যায্যতা ও সমতা নিশ্চিতকরণের পথে একটি বড় বাধা হয়ে আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোটা পুনর্বহালের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তাভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত। এর মাধ্যমে নিতান্তই বঞ্চনা ও বৈষম্য তৈরি হবে। ভর্তিপ্রক্রিয়ায় মেধাই হওয়া উচিত একমাত্র মানদণ্ড। তবে যেকোনো প্রতিবাদের ভাষাই গঠনমূলক ও শান্তিপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা অবিলম্বে বাতিল এবং শিক্ষকদের ওপর হামলার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন ছাত্রদলের দুই শীর্ষ নেতা। বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা বলেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকেরা একটি ছাত্রসংগঠনের গুপ্ত নেতা–কর্মীদের দ্বারা আজ যে ন্যক্কারজনক হামলা ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন, এটা রীতিমতো অভূতপূর্ব। আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের গায়ে এভাবে হাত তোলা ও হামলার বিষয়টি কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা মনে করি, আজকের এই হামলার ঘটনাটি রাকসু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।’