খুলনায় বিএনপি-যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
Published: 21st, June 2025 GMT
খুলনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। এ সময় বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। শুক্রবার (২০ জুন) রাতে নগরীর টুটপাড়া তালতলা মেইন রোড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২১ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো.
আরো পড়ুন:
সময় এসেছে ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে গড়ে তোলার: ফখরুল
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের সুযোগ নেই: আব্দুস সালাম
পুলিশ জানায়, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে নগরীর টুটপাড়া তালতলা হাসপাতাল মেইন রোডের বাসিন্দা বাবুল মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানটি শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে। এ সময়ে ওই বাড়ি থেকে বাবুল মোল্লার ছেলেসহ চারজনকে আটক করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। এ সময়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি, একটি রিভলবার, একটি শর্টগান, চার রাউন্ড কার্তুজ, তিনটি রামদা, দুইটি চাইনিজ কুড়াল, তিনটি চাপাতি, ১৭০ গ্রাম গান পাউডার ও ১০৫ পিস ইয়াবা জব্দ করে।
দলীয় নেতা গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা সদর থানা বিএনপির সভাপতি কেএম হুমায়ুন কবির জানান, মো. সালাউদ্দিন মোল্লা ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং শেখ তৌহিদুর রহমান নগর যুবদলের সাবেক সদস্য। যুবদলের কমিটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বর্তমানে তার কোনো সদস্য পদ নেই। তবে তারা কিভাবে এবং কেন গ্রেপ্তার হয়েছেন তা তার জানা নেই।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা টুটপাড়া থেকে চারজনকে দেশি এবং বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে। সকালে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বুলবুলের বিরুদ্ধে তিনটি এবং তৌহিদুরের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় অস্ত্র এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হচ্ছে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ম ইন র ড র রহম ন ট টপ ড় ব এনপ য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে দিলেন মাইক্রোবাস চালক
চট্টগ্রামে ছিনতাইকালে একজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন রিপন নামে এক মাইক্রোবাসের চালক। শনিবার ভোরে আসকারদীঘির পশ্চিম পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই চালকের গলায় ছুরি ধরা হলেও তিনি তা ধরে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। আঘাতপ্রাপ্ত হয়েও একজনকে ধরে ফেলেন। অন্য দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, জিইসি এলাকায় মাইক্রোবাস রেখে অটোরিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন রিপন। ভোররাত ৪টায় রিমা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আরেকটি অটোরিকশায় করে আসা তিন দুর্বৃত্ত তাঁর গতিরোধ করে। তারা ছুরি দিয়ে রিপনের হাত ও কানে আঘাত করে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। গলায় ছুরিকাঘাতের সময় তিনি সেটি ধরে ফেলেন।
রিপনের ভাষ্য, ‘গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ওরা ভয় দেখাচ্ছিল। তখন ভেবেছিলাম, চুপ থাকলে হয়তো আমাকে খুন করে ফেলবে। তখনই আমি ছুরিটা ধরে ফেলি। এ সময় তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুইজন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। মাটিতে ফেলে রাখা একজনকে ধরে রাখি।’
ওই সড়কে টহলরত পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছে জানতে পারে। এ সময় ওই ছিনতাইকারীকে একটি অটোরিকশাসহ আটক করা হয়।
কোতোয়ালি থানার এসআই মো. আশরাফুল জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চালক রিপনের সাহসিকতায় ছিনতাইকারী ধরা পড়ে।
এদিকে লোহাগাড়ায় বিশেষ অভিযানে ডাকাতি মামলায় অভিযুক্ত এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো বাঁশখালীর গুলুল্যাখালী মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মনজুর আলম (৫২) ও তার স্ত্রী হাছিনা বেগম (৪০)। মনজুর এখন বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর হিমছড়িপাড়ায় বাস করে।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আধুনগর ইউনিয়নের খাসমহল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। দু’জনের কাছে দুটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলি, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায় বলে জানান লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, অস্ত্র আইনে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়।